২৮ সেপ্টেম্বর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে মেরিলিন মনরোর জীবন অবলম্বনে নির্মিত ছবি ‘ব্লন্ড’। মনরোর জীবন নিয়ে ছবি বিতর্ক হবে না, তাই কি হয়! মুক্তির আগে ছবিটিকে ‘অ্যাডাল্ড অনলি’ রেটিং দিয়েছে মোশন পিকচার অ্যাসোসিয়েশন রেটিং সিস্টেম। এ ‘অ্যাডাল্ড অনলি’ বা ‘এনসি-সেভেনটিন’ রেটিং বলতে বোঝায় ছবিটি ১৮ বা এর বেশি বয়সীরা দেখতে পারবেন। গত মাসে এ রেটিং নিয়ে নিজের বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন ছবিতে মনরোর চরিত্রে অভিনয় করা আনা ডে আরমাস।
তখন এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘বুঝতে পারছি না, এটা কেন দেওয়া হলো। আমি অনেক সিরিজ ও সিনেমার নাম বলতে পারি, যেখানে “ব্লন্ড”-এর চেয়ে অনেক বেশি নগ্ন দৃশ্য আছে। মনরোর জীবনের গল্প বলতে গিয়ে যা প্রয়োজন, সেটা আমরা করেছি। শুধু আমি একাই নই, এ ছবির সব অভিনয়শিল্পীই জানেন, আমাদের অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে।’
এবারের ভেনিস চলচ্চিত্রে উৎসবে মুক্তির পর ছবিটিতে আরমাসের অভিনয় সমালোচকদের ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে। তবে ছবি মুক্তি আগে অভিনেত্রীর চিন্তায় ছবির ‘নগ্ন দৃশ্য’।
আরমাসের আশঙ্কা মুক্তির পর ‘ব্লন্ড’-এর নগ্ন দৃশ্যগুলো আলাদাভাবে নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়বে। আরমাস বলেন, ‘আমি জানি, কী ভাইরাল হতে যাচ্ছে এবং এটা খুবই বিরক্তকর। এটা নিয়ে আমি হতাশ, তবে বিষয়টি তো নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না।’
এর আগে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘ব্লন্ড’-এ নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন কেবল মনরোর জন্যই। অন্য কোনো সিনেমা হলে কোনোভাবেই রাজি হতেন না। চলতি বছর ভেনিসে ছবিটির প্রিমিয়ারের পর ১৪ মিনিট ধরে দর্শকেরা দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান।
‘ব্লন্ড’ তৈরি হচ্ছে জয়েস ক্যারল ওটসের লেখা একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে। আরমাস জানান, পর্দায় মনরো হয়ে উঠতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি, ‘আমি জয়েসের উপন্যাস পড়েছি। তাঁর শত শত আলোকচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, অডিও রেকর্ড ও সিনেমা দেখেছি। সিনেমার প্রতিটি দৃশ্যই তাঁর কোনো না কোনো আলোকচিত্র প্রেরণায় তৈরি।’ ‘বন্ড’-এর পরিচালক অ্যান্ড্রু ডোমিনিক, অন্যতম প্রযোজক ব্র্যাড পিট।