জিজি ও বেলা হাদিদ। রয়টার্স
জিজি ও বেলা হাদিদ। রয়টার্স

ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে পোস্ট দেওয়ার পর হত্যার হুমকি, ফোন নম্বর বদলাতে বাধ্য হলেন জনপ্রিয় মডেল

দিন কয়েক আগেই এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন মার্কিন সুপার মডেল জিজি হাদিদ।

এরপর থেকেই একের পর এক হত্যার হুমকি দেওয়া বার্তা পেতে থাকেন তিনি। ঘটনা এতটাই গুরুতর যে মৃত্যুর হুমকি পাওয়ার জিজি তো বটেই, তাঁর পরিবারের সব সদস্যই মুঠোফোন নম্বর বদলাতে বাধ্য হয়েছেন। খবর টিএমজেড

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের ১২তম দিন পার হলো। ৮ অক্টোবর হামাসের হামলার মধ্য দিয়ে এ যুদ্ধের শুরু। হামলার পরপরই ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালায়। গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে, এখন পর্যন্ত এ যুদ্ধে তিন হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

জিজি হাদিদ। রয়টার্স

নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ইসরায়েলের এই হামলার সমালোচনা করেন জিজি। তিনি বলেন, এই হামলায় যেভাবে ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে শিশুরা মারা যাচ্ছে, তা তাঁকে গভীরভাবে শোকাহত করেছে।

জনপ্রিয় এই মডেলের পোস্ট অনেকেই ভালোভাবে নেননি। খোদ ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকেও হতাশা প্রকাশ করা হয়। নামে, বেনামে মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হয় জিজিকে। মুঠোফোন, ই–মেইল থেকে নানা মাধ্যমে এসব বার্তা আসতে থাকে। একপর্যায়ে জিজির ব্যক্তিগত নম্বর ইন্টারনেটে ফাঁস হয়ে যায়। এরপর নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন জিজি।

মার্কিন গণমাধ্যম টিএমজেড জানিয়েছে, হত্যার হুমকি পাওয়া ও ফোন নম্বর ফাঁস হওয়ার পর জিজি, তাঁর বোন আরেক জনপ্রিয় মডেল বেলা হাদিদসহ পরিবারের সব সদস্যই নিজেদের ফোন নম্বর বদল করেছেন। হত্যার হুমকি নিয়ে তদন্ত করছে এফবিআই।

জিজি হাদিদ

জিজি ও বেলার বাবা মোহাম্মদ হাহিদ ফিলিস্তিনি। এই প্রথম নয়, এর আগেও অনেকবার জিজি ও বেলা প্রকাশ্যেই ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন।