প্রায় দুই দশক পর এসে পূর্ণ হলো চক্র। ২০০২ সালে বেন অ্যাফ্লেক ও জেনিফার লোপেজের প্রেম হয়ে উঠেছিল হলিউডের অন্যতম চর্চিত বিষয়। দুই তারকার নাম জুড়ে দিয়ে ‘বেনিফার’ নামে ডাকা হতো এই তারকা জুটিকে। চুটিয়ে প্রেমের পর বাগদানও হয়। বাকি ছিল কেবল বিয়ে। কিন্তু ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে ভেঙে যায় বহুল চর্চিত সম্পর্ক। কিন্তু নিয়তি যে আবার তাঁদের সম্পর্ক জোড়া লাগিয়ে দেবে, কে জানত! প্রায় দুই দশক পর ঠিকই বিয়ে করলেন ‘বেনিফার’।
বিয়ের আগে হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় এই দুই তারকার জীবনে সম্পর্কের নানা ওঠানামা দেখা গেছে। বিয়ে ছাড়াও দুজনেই জড়িয়েছেন একাধিক সম্পর্কে। একনজরে জেনে নেওয়া যাক তাঁদের সাবেক প্রেমিক-প্রেমিকাদের খবর।
২০০২ সালে ‘গিগলি’ সিনেমার শুটিংয়ে প্রেমে জড়ান বেন ও জেলো—এ খবর এতক্ষণে অনেকেরই জানা হয়ে গেছে। তবে অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রেম সেবারই প্রথম নয়, আগে সালমা হায়েক, জেমি কিংয়ের সঙ্গে প্রেম করেন বেন অ্যাফ্লেক। সেটা এই ১৯৯৯-২০০০ সালের ঘটনা। এ ছাড়া আরেক অভিনেত্রী গিনেথ প্যালট্রোর সঙ্গে প্রেম করেন বলে গুজব আছে।
বেন থিতু হন জেনিফার গার্নারের সঙ্গে প্রেম করার পর। ২০০৪ সাল থেকে শুরু হওয়া গার্নারের সঙ্গে সম্পর্কই তাঁর জীবনে এ পর্যন্ত আসা সবচেয়ে দীর্ঘ সম্পর্ক। ২০০৫ সালে গার্নারকে বিয়ে করেন বেন, বিচ্ছেদ হয় ২০১৫ সালে। এরপর সম্পর্ক হয় ‘বন্ড গার্ল’খ্যাত কিউবান অভিনেত্রী আনা ডে আরমাসের। ২০২০ সালে শুরু হওয়া সে সম্পর্ক অবশ্য এক বছরের বেশি টেকেনি। আরমাসের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর পুরোনো প্রেমিক-প্রেমিকার ভাঙা সম্পর্ক আবার জোড়া লাগে। গত বছর থেকে প্রকাশ্যেই তাঁদের একসঙ্গে দেখা যায়। চলতি বছর বেন ও জেলোর বাগদান হয়।
বেনের মতো জেনিফার লোপেজের জীবনও সম্পর্কের ক্ষেত্রে টালমাটাল। একাধিক বিয়ে ও প্রেম এসেছে তাঁর জীবনেও। বেনের সঙ্গে এটা জেলোর চতুর্থ বিয়ে। এর আগের ১৯৯৭ সালে ওজানি নোয়া, ২০০১ সালে ক্রিস জাড ও ২০০৪ সালে মার্ক অ্যান্থনিকে বিয়ে করেন লোপেজ। এ ছাড়া ২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত বাস্কেটবল খেলোয়াড় অ্যালেক্স রড্রিগেজের সঙ্গে প্রেম ছিল এই গায়িকা-অভিনেত্রীর। ২০১৯ সালে তাঁদের বাগদানও হয়। এ ছাড়া তৃতীয় স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ২০১১ সাল থেকে ব্যাকআপ ড্যান্সার কাসপার স্মার্টের সঙ্গে প্রেম করেন তিনি।