সিনেমা-সিরিজের নিয়মিত দর্শক সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। চলচ্চিত্র প্রযোজনার সঙ্গেও যুক্ত তিনি। প্রতিবছরই নিজের প্রিয় সিনেমার তালিকা ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করলেন। গতকাল শুক্রবার রাতে ২০২৪ সালে তাঁর দেখা প্রিয় ১০টি সিনেমার তালিকা শেয়ার করেছেন ওবামা। যে তালিকার শীর্ষ সিনেমায় রয়েছে চমক।
ওবামার প্রিয় সিনেমার তালিকার দশে রয়েছে ‘আ কমপ্লিট আননোন’। জেমস ম্যানগোল্ড পরিচালিত সিনেমাটি তৈরি হয়েছে তরুণ বয়সের বব ডিলানের গল্প নিয়ে। ২৫ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। এরপর ওবামা বেছে নিয়েছেন ‘সুগারকেন’। একটি ভারতীয় আবাসিক স্কুলে শিশুদের যৌন নির্যাতন ও নিখোঁজের ঘটনা নিয়ে তথ্যচিত্রটি বানিয়েছেন এমিলি ক্যাসি ও হুলিয়ান ব্রেভ নোসিক্যাট।
ওবামার করা তালিকার অষ্টম স্থানে রয়েছে চলতি বছরের আলোচিত কামিং অব এজ কমেডি সিনেমা ‘ডিডি’। সানড্যান্স উৎসবে প্রিমিয়ারের পর গত জুলাই মাসে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় শন ওয়াং।
তালিকার সাতে রয়েছে চলতি বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে স্বর্ণপামজয়ী সিনেমা ‘আনোরা’। একজন যৌনকর্মীর জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে শন বেকারের সিনেমাটি ‘আনোরা’।
ওবামার প্রিয় দশ সিনেমার তালিকার ছয় ও পাঁচে রয়েছে ‘ডুন: পার্ট ২’ ও ‘দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ’। ডেনিস ভিলেনিউভের ‘ডুন ২’ চলতি বছর মুক্তির পর ব্যাপক ব্যবসা করে। অন্যদিকে প্রখ্যাত ইরানি পরিচালক মোহাম্মদ রাসুলফের ‘দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ’ তৈরি হয়েছে দেশটির বিচারব্যবস্থা নিয়ে। সিনেমাটি অস্কারে মনোনীত করেছে জার্মানি।
তালিকার চতুর্থ, তৃতীয় ও দ্বিতীয় স্থানে আছে ‘দ্য প্রমিস ল্যান্ড’, ‘দ্য পিয়ানো লেসন’ ও ‘কনক্লেভ’। ‘দ্য প্রমিস ল্যান্ড’ ডেনমার্ক, জার্মানি ও সুইডেনের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমা। নিকোলাজ আর্সেল পরিচালিত এ সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে ম্যাডস মিকেলসেন।
অভিনেতা ডেনজেল ওয়াশিংটনের ছেলে ম্যালকম ওয়াশিংটন পরিচালনা করেছেন ‘দ্য পিয়ানো লেসন’ সিনেমাটি। ‘কনক্লেভ’ হলো মিস্ট্রি-থ্রিলার ঘরানার সিনেমা। পিটার স্ট্রগনের ছবিটি তৈরি হয়েছে ২০১৬ সালে প্রকাশিত রবার্ট হ্যারিসের একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে।
তালিকার শীর্ষ রয়েছে চমক। চলতি বছর ওবামার পছন্দের শীর্ষে রয়েছে দুই ভারতীয় নার্সের গল্প নিয়ে নির্মিত বহুল আলোচিত সিনেমা ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’। চলতি বছর কান উৎসবে গ্রাঁ প্রি জেতে ছবিটি।
এর গল্প প্রভা ও অনু নামের দুই নার্সকে ঘিরে। ভারতের অন্য শহর থেকে কাজের সূত্রে মুম্বাই আসার পর তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এই বন্ধুত্বের গল্প নিয়েই এগিয়েছে সিনেমাটি।
পায়েল কাপাডিয়া পরিচালিত সিনেমাটি তৈরি হয়েছে ভারত, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ ও ইতালির যৌথ প্রযোজনায়।