শেষ পর্যন্ত হলো না। ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’ হার মেনেছে ‘অ্যাভাটার’ ছবির কাছে। বিশ্বের সবচেয়ে আয় করা ছবির মুকুট অর্জন করা হলো না। যখন বিশ্বের সবচেয়ে আয় করা ছবি ‘অ্যাভাটার’ থেকে মাত্র ১৭৮ কোটি টাকা দূরে, তখন নতুন করে মুক্তি দেওয়া হয় ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’ ছবিটি। তবু হলো না।
জেমস ক্যামেরুন পরিচালিত সায়েন্স ফিকশন ছবি ‘অ্যাভাটার’ ২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর মুক্তি পায়। বিশ্বজুড়ে ছবিটি আয় করেছে ২৩ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’ ছবির আয় ২৩ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ, প্রথম আর দ্বিতীয় ছবির মধ্যে মাত্র ১৭২ কোটি টাকার দূরত্ব।
‘অ্যাভাটর’ ছবির রেকর্ড ভাঙার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’। ডিজনিকে দিয়ে দ্বিতীয়বার মহাসমারোহে মুক্তি দেওয়া হয় ছবিটি। ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। পরিচালক অ্যান্টনি রুশো বিশেষ বক্তব্য দেন। নতুন ট্রেলার যুক্ত করা হয় ‘স্পাইডার ম্যান: ফার ফ্রম হোম’ ছবির সঙ্গে। ছবিতে যোগ করা হয় আরও ৬ মিনিটের দৃশ্য। ‘হাল্ক’-এর সঙ্গে একটা বিশেষ দৃশ্যও রাখা হয়। কমিক বুক লেখক স্ট্যান লিকে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয় অতিরিক্ত সেই ৬ মিনিটে। কিন্তু ভক্তরা আশাহত হয়েছেন। কারণ, এই ফুটেজ নাকি ডিভিডি আর ব্লুরে ছাড়া অন্য কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।
যাহোক, এখন বিশ্বের সবচেয়ে অর্থ উপার্জনকারী পাঁচটি ছবির নতুন তালিকা হলো প্রথম ‘অ্যাভাটার’, দ্বিতীয় ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’, তৃতীয় ‘টাইটানিক’, চতুর্থ ‘স্টার ওয়ারস: দ্য ফোর্স অ্যাওয়েকেনস’ আর পঞ্চম ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার’। ভাবছেন, এখন এসব বলা কেন? এখনো তো সময় আছে! না, আর সময় নেই।
‘ফোর্বস’ ম্যাগাজিনের মতে, ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’ ছবিকে এখন ১ নম্বরে যাওয়ার কথা ভুলে যেতে হবে। কারণ, মার্ভেলের এই ছবির আর কোনো সম্ভাবনা নেই। প্রথম আর দ্বিতীয়র পার্থক্য গড়ে দেওয়া এই কয়েকটি অঙ্কই এখন চলে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাহলে অ্যান্টনি রুশো আর জো রুশোর পরিচালনায় রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, ক্রিস হেমসওয়ার্থ, স্কারলেট জোহানসন, মার্ক রাফালোরা মিলে বিশ্বের সবচেয়ে আয় করা ছবির অংশীদার হতে পারলেন না।