পুরস্কারের পালা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেল কান চলচ্চিত্র উৎসবের আঙিনায়। সর্বোচ্চ আকাঙ্ক্ষিত পুরস্কার পাম দ’র ঘোষণা হবে শেষ দিন। কিন্তু এর আগেই অন্যান্য পুরস্কার দেওয়া শুরু হলো। গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হয় ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট বিভাগের পুরস্কার। এ আয়োজনে এসএসিডি পুরস্কার জিতেছে ফরাসি চলচ্চিত্রনির্মাতা রেবেকা জ্লোটভস্কির অ্যান ইজি গার্ল।
ফরাসি চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির আয়োজনে ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট কান চলচ্চিত্র উৎসবের প্যারালাল একটি বিভাগ। বিভাগটি বেশ কয়েক বছর ধরেই বিশ্বের ভালো নির্মাতাদের নজর কেড়েছে। এসএসিডি কমিশন প্রধান ডমিনিক স্যাম্পেরিও ছবিটিকে মোহাবিষ্টকারী ছবি বলে উল্লেখ করেন। এবার এ শাখায় বাঘা বাঘা চলচ্চিত্রকারের সিনেমা ছিল। এর মধ্যে রবার্ট এগারের ছবি লাইটহাউস অন্যতম। ছবিটিতে উইলেম ডেফো ও রবার্ট প্যাটিনসনের মতো তারকারা আছেন। প্রতিযোগিতায় ছিল কুয়েন্টিন ডুপিয়েক্সের ডারস্কিন ও বাট্রান্ড বেনেল্লোর জম্বি চাইল্ড–এর মতো সিনেমা।
দ্য ইউরোপা সিনেমাস অ্যাওয়ার্ডটি ঘরে তুলেছে নিকোলাজ পারিসারের পলিটিক্যাল ড্রামা অ্যালিস অ্যান্ড দ্য ম্যাওর। এই পুরস্কারটি ইউরোপে সিনেমার প্রচার, বিতরণ ও পরিবেশনার পক্ষ থেকে দেওয়া হয়। চারজন পরিবেশক পুরস্কারটি দিয়ে থাকেন। অ্যান ইজি গার্ল একজন তরুণীকে ঘিরে। এটা জ্লোটভস্কির চতুর্থ সিনেমা। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন মিনা ফরিদ, জাহিদ দেহার, বেনোইত ম্যাজিম প্রমুখ।
এ ছাড়া পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে সিনেফন্ডেশন বিভাগের। শিক্ষার্থী নির্মাতাদের বিভাগ এটি। বিভিন্ন দেশের ফিল্মস্কুলগুলোর শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। বিভাগটিতে এবারে পুরস্কার জিতল লুই কোরভয়জিয়ের পরিচালিত মানো আ মানো। গত বৃহস্পতিবার বিভাগের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এই বিভাগের বিচারকদের সভাপতি ছিলেন ফরাসি নারী নির্মাতা ক্লেয়ার ডেনিস। মানো আ মানো ছবিটি দুজন সার্কাস অ্যাক্রোব্যাটকে ঘিরে। তাদের প্রেম–ভালোবাসা ও বিশ্বাস নিয়ে ছবির গল্প। দ্বিতীয় পুরস্কারটি ঘরে তুলেছে মার্কিন তরুণ রিচার্ড ভ্যানের হিউ সিনেমাটি। যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে ফিলিস্তিনের শিক্ষার্থী উইসাম আল জাফারির অ্যামবিয়েন্স ও পোল্যান্ডের শিক্ষার্থী বারবারা রুপিকের দ্য লিটল সৌল।
১৯৯৮ সালে শুরু হয় সিনেফন্ডেশন বিভাগ। এবার এর ২২ তম আসর বসে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ৩৬৬টি ফিল্ম স্কুলের দুই হাজার ছবি এবার জমা পড়ে। ভ্যারাইটি, দ্য হলিউড রিপোর্টার, ডেডলাইন