শুভ জন্মদিন সোফিয়া লরেন

এক ঝলকে সোফিয়া লরেন
এক ঝলকে সোফিয়া লরেন

১৯৩৪—অনেক দূরের একটি সাল, কিন্তু সোফিয়া লরেনের কথা ভাবলেই সালটিকে মনে হয় খুব কাছের। সময়ের দূরত্ব থেকে তাঁকে দেখা যায় না, তিনি এতটাই সমসাময়িক। তাঁর নামটি শুনলেই ‘টু উইমেন’ ও ‘সানফ্লাওয়ার’ ছবি দুটির কথাই আমাদের দেশের দর্শকদের মনে পড়ে সবার আগে।

তিনি ১৯৩৪ সালের এই দিনে জন্মেছিলেন ইতালির রোমে। বড় হয়েছিলেন সে দেশের নেপোলিতে, খুবই দরিদ্র একটি পরিবারে। সেই মেয়েটিই একসময় হয়ে উঠল আন্তর্জাতিক তারকা। তাঁর অভিনয় প্রতিভা এবং সৌন্দর্য দিয়ে বিশ্ব মাতিয়েছেন তিনি।

এক ঝলকে সোফিয়া লরেন



তারুণ্যের শুরুতেই বিভিন্ন সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন সোফিয়া। একসময় তিনি ইতালিয়ান প্রযোজক কার্লো পন্টির নজরে পড়েন। বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে পন্টি সোফিয়াকে চলচ্চিত্রের ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করান। পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি কালো চুলের এই মেয়েটি পরিণত হন তারকায়। আন্তর্জাতিক খ্যাতি পান তিনি ইংরেজি ভাষায় নির্মিত ছবি ‘বয় অন এ ডলফিন’ ও ‘দ্য প্রাইড অ্যান্ড দ্য প্যাশন’ ছবিতে অভিনয় করে। প্রথম ছবিতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন অ্যালান ল্যাড। দ্বিতীয়টির নায়ক ফ্র্যাঙ্ক সিনাত্রা ও ক্যারি গ্রান্ট। ছবি দুটির পরিচালক স্ট্যানলি ক্র্যামার, যার ‘জাজমেন্ট অব ন্যুরেমবার্গ’, ‘গেস হু’স কামিং টু ডিনার’ ছবিগুলোর কথাও নিশ্চয় অনেক পাঠকের মনে পড়ে যাবে।

এক ঝলকে সোফিয়া লরেন

সোফিয়া লরেন বিয়ে করেন ১৯৫৭ সালে। বর কার্লো পন্টি। আগের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর তিনি সোফিয়াকে বিয়ে করেন। ইতালিতে ক্যাথলিকদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের নিয়ম নেই। তাই তাঁদের বিয়ে হয় মেক্সিকোতে।

এক ঝলকে সোফিয়া লরেন



ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক ছবিতে অভিনয় করতে থাকেন সোফিয়া। ১৯৬০ সালে ক্লার্ক গেবলের বিপরীতে ‘ইট স্টারটেড ইন নেপলস’, একই বছর পিটার সেলার্সের সঙ্গে ‘দ্য মিলিওনিয়ার্স’, চার্লটন হেস্টনের বিপরীতে ১৯৬১ সালে ‘এল সিড’ ছবিতে অভিনয় করে নাম কুড়ান। ১৯৬২ সালে তিনি ‘টু উইমেন’ ছবির জন্য একাডেমি অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন (ছবিটি ১৯৬১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পেয়েছিল)। বিদেশি ভাষার ছবিতে অভিনয় করে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার তিনিই প্রথম পান। মার্চেলো মাস্ত্রোইয়ানির সঙ্গে সোফিয়া লরেন যে ছবিগুলো করেছেন (যার মধ্যে আছে ‘সানফ্লাওয়ার’, ‘ম্যারেজ ইটালিয়ান স্টাইল’ ইত্যাদি), সেগুলো ছিল দর্শকনন্দিত। পল নিউম্যান, গ্রেগরি পেক, মার্লন ব্রান্ডোর মতো অভিনেতা​দের সঙ্গে তিনি দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। চার্লি চ্যাপলিন পরিচালিত শেষ ছবি ‘এ কাউন্টেস ফ্রম হংকং’-এ ছিলেন সোফিয়া লরেন।

এক ঝলকে সোফিয়া লরেন

দুই ছেলের জন্মের পর সোফিয়া ধীরে ধীরে পর্দার আড়ালে চলে যেতে শুরু করেন। ২০০২ সালে ছেলে এদোয়ার্দো পন্টির পরিচালনায় ‘ইন বিটউইন স্ট্রেনজারস’ ছবিতে অভিনয় করেন।

আজ জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই।