রাজপরিবারের যেসব নিয়ম ভেঙেছিলেন মেগান

ছবিতে কেট মিডলটনের সঙ্গে মেগানের দূরত্ব স্পষ্ট। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ছবিতে কেট মিডলটনের সঙ্গে মেগানের দূরত্ব স্পষ্ট। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

প্রিন্স হ্যারি (৩৫) ও তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কেল (৩৮) আকস্মিক এক ঘোষণায় রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে দেন। স্বনির্ভর জীবনযাপনের জন্য যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি কানাডায় বসবাসের কথা জানান। রানির অবাধ্য হয়ে রাজকুমার হ্যারি ব্রিটিশ রাজপরিবারে যে সংকট তৈরি করেছেন, তা কার্যত দুই মহাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।

১৮ জানুয়ারি শনিবার বাকিংহাম প্রাসাদ এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাজ্যের ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল তাঁদের রাজকীয় উপাধি আর ব্যবহার করতে পারবেন না। এর ফলে মা রাজকুমারী ডায়ানা ব্রিটিশ রাজপরিবারে যে ধরনের টানাপোড়েনের জন্ম দিয়েছিলেন, তাঁর পুত্র হ্যারি সম্ভবত তার চেয়েও বড় সংকটের জন্ম দিয়েছেন বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে বিবিসি।

এই ছবিটি এখন কেবলই স্মৃতি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

হ্যারি-মেগান দম্পতি আকস্মিকভাবে কেন রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, সেটি নিয়ে শুরু থেকেই চলছে নানা জল্পনাকল্পনা। এক পক্ষের বিশ্বাস, হ্যারি ও মার্কিন টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী মেগানের প্রতি যুক্তরাজ্যের ট্যাবলয়েড পত্রিকাগুলোর ক্রমাগত হয়রানিমূলক আচরণের কারণেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এবার একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমও দাবি করেছে, ব্রিটিশ মিডিয়ায় কেট মিডলটনের সঙ্গে মেগানের ‘অন্যায় তুলনা’ এই দম্পতিকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে।

নারীবাদী হিসেবে পরিচিতি আছে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বান্ধবী মেগানের। যে পাঁচবার মেগান মার্কেল ব্রিটিশ রাজপরিবারের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন, তা নিয়েই এ আয়োজন।

হ্যাট ছাড়া জনসম্মুখে মেগান, সঙ্গে রানি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

এক. বিয়ের দিনই মেগান মার্কেল জানিয়ে দিয়েছেন, রাজপরিবারের এসব নিয়মকানুন তাঁর জন্য নয়। রাজকীয় সেই বিয়েতে তিনি নিজেই গাউন ধরে হেঁটে চলে গেছেন। নিজের টায়রা নিজেই পছন্দ করেছেন। আর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ না করেই সমাপ্তি টেনেছেন।

দুই. ব্রিটিশ রাজপরিবারে কালো রংটিকে কেবল শোকের অনুষ্ঠানের জন্য তুলে রাখা হয়। কিন্তু মেগানকে প্রায়ই কালো রঙের পোশাকে দেখা গেছে। তাঁর মতে, কালো রঙেই তাঁর ব্যক্তিত্ব পূর্ণতা পায়। আর কালো রুচিশীল ও মার্জিত। কে জানে, নিষেধ অমান্য করতেই বেশি বেশি কালো পোশাক পড়েছেন কি না!

তিন. রাজপরিবারের দীর্ঘদিনের প্রথা অনুসারে যেকোনো পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে হ্যাট পরা বাধ্যতামূলক। কিন্তু মেগানের ইচ্ছা করেনি, তাই পরেননি। হ্যাট ছাড়াই তাঁকে রানি এলিজাবেথের সঙ্গে হাসিমুখে আলাপ করতে দেখা গেছে।

পরিবার নিয়ে মেগান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

চার. নিয়ম অনুযায়ী রাজপরিবারের সদস্যরা হাতাকাটা পোশাক পরতে পারবেন না। নিয়মটি মেগান একেবারেই আমলে নেননি। তাঁকে একাধিকবার ‘অফ শোল্ডার’ পোশাকে জনসম্মুখে আসতে দেখা গেছে। এটাই তাঁর জন্য আরামদায়ক।

পাঁচ. রাজপরিবারের অলিখিত নিয়ম অনুসারে, রাজপরিবারের সদস্যদের পরিপাটি করে চুল বেঁধে জনসম্মুখে আসতে হবে। মেগান প্রায়ই সাধারণভাবে চুল খোঁপা করে বেরিয়ে পড়েছেন। সেই খোঁপার শৃঙ্খল ভেঙে বেরিয়ে এসেছে চুল। সেই এলোমেলো ‘হেয়ারস্টাইলে’ও অবশ্য মেগানকে ভালোই লেগেছে!