অমক্রিনও ঠেকাতে পারেনি। প্রিয় মাকড়সা–মানবকে দেখতে হলিউডের সিনেমা হলে দল বেঁধে হাজির হয়েছিলেন ভক্তরা। আর তাতে ডমেস্টিক বক্স অফিস রেকর্ডে জনপ্রিয় ছবি ‘টাইটানিক’কে ডোবাল ‘স্পাইডারম্যান: নো ওয়ে হোম’।
বিশ্বজুড়ে হু হু করে বাড়ছে করোনার নানা ভেরিয়েন্ট। অমিক্রন, ডেল্টা এখন পরিচিত নাম। তবুও সিনেমা হল থেকে নামাতে পারেনি স্পাইডারম্যানকে। টানা চতুর্থ সপ্তাহ ধরে চলছে ছবিটি। আর এই দৌড়ে ছবিটি জায়গা করে নিয়েছে অভ্যন্তরীণ (ডমেস্টিক) বক্স অফিসে সর্বকালের সেরা আয় করা ১০ সিনেমার তালিকায়।
টম হল্যান্ড ও জেন্ডায়া অভিনীত ছবিটি ডমেস্টিক বক্স অফিসে আয়ের দিক থেকে ষষ্ঠতম ছবি। ছবিটির আয় ৬৬৮ মিলয়ন ডলারের বেশি। এর মধ্য দিয়ে ছবিটি পেছনে ফেলল ‘টাইটানিক’ ও ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’–এর মতো জনপ্রিয় ছবিকে।
জেমস ক্যামেরন পরিচালিত ও কেট উইন্সলেট-লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও অভিনীত ‘টাইটানিক’ আয় করেছিল ৬৫৯ মিলিয়ন ডলার। আর ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’ আয় করেছিল ৬৫২ মিলিয়ন ডলার। মনে করা হচ্ছে, অমক্রিনের প্রভাবে আবার সিনেমা হল বন্ধ হয়ে না গেলে ব্লকবাস্টার ‘অ্যাভেঞ্জারস: ইনফিনিটি ওয়ার’ ও ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’কেও হারিয়ে দিতে পারে। ছবি দুটি যথাক্রমে ডমেস্টিক বক্স অফিসে আয় করে ৬৭৯ মিলিয়ন ও ৭০০ মিলিয়ন ডলার।
‘স্পাইডারম্যান: নো ওয়ে হোম’ ছবির আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সব মিলিয়ে আয় ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। তবে শুধু বক্স অফিসেই যে রাজত্ব করেছে এমনটি নয়। সাধারণত সুপারহিরো সিনেমার দিকে সমালোচকেরা ভ্রু কুঁচকে তাকান। তবে এই ছবি নিয়ে সমালোচকেরাও ভালো রিভিউ দিয়েছেন। রটেন টমেটোসে ছবিটিকে ৯৩ শতাংশ ফ্রেশ রেটিং করা হয়েছে। সমালোচকেরাও টম হল্যান্ডের অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। ছবিতে টম হল্যান্ড ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ, জেমি ফক্স, উইলেম ডেফো প্রমুখ।