অস্কারদৌড়ে আরও একটু এগিয়ে গেল নোম্যাডল্যান্ড। ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবের পরে টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও পুরস্কৃত হলো ক্লোয়ি ঝাও পরিচালিত এই ছবি। এটি জিতেছে উৎসবের ‘পিপলস চয়েজ অ্যাওয়ার্ড’। এর আগে উৎসবের শুরুতেই ছবির পরিচালককে টিআইএফএফ ট্রিবিউট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়েছিল।
ঠিকানা হারিয়ে যাযাবরের মতো ঘুরে বেড়ানো মানুষের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে নোম্যাডল্যান্ড ছবিটি। তথ্যচিত্র ও কাহিনিচিত্রের মিশেলে চলচ্চিত্রের এক নতুন সংজ্ঞা দাঁড় করিয়েছেন ক্লোয়ি ঝাও। উৎসবে ছবিটি দেখে দর্শকের হাততালি পেয়েছেন নির্মাতার পাশাপাশি, ছবির কেন্দ্রীয় অভিনেত্রী ফ্রান্সেস ম্যাকডোরম্যান্ড। আগত দর্শকেরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, এই অভিনেত্রীর হাতে নোম্যাডল্যান্ড–এর বদৌলতে আবারও উঠতে পারে অস্কার। ছবিটি এবার ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবেও ‘গোল্ডেন লায়ন’ জিতেছিল।
এবারের টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দর্শকের ভোটে দেওয়া সেরা তিনটি ছবির পুরস্কারই জিতেছেন নারী নির্মাতারা। ‘পিপলস চয়েজ অ্যাওয়ার্ড’–এ প্রথম রানারআপ হয়েছে রেজিনা কিং পরিচালিত ওয়ান নাইট ইন মিয়ামি এবং দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছে ট্রেসি ডিয়ার পরিচালিত বিনস। দুজনই নারী নির্মাতা। এমনকি প্রামাণ্যচিত্র বিভাগেও ‘পিপলস চয়েজ অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কারজয়ী ছবি ইনকনভেনিয়েন্ট ইন্ডিয়ান–এর পরিচালক কানাডীয় অভিনেত্রী মিশেল লাটিম। ছবিটি বেস্ট কানাডিয়ান ফিচার ফিল্ম বিভাগেও পুরস্কার জিতেছে।
তিন বছর ধরে উৎসব কর্তৃপক্ষ প্রতিযোগিতা বিভাগের ছবিগুলো নির্বাচনের ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ধীরে ধীরে বাড়াচ্ছে। তাদের লক্ষ্য, ২০২২ সাল নাগাদ নারী নির্মাতাদের অংশগ্রহণের হার ৫০ শতাংশ করে নারী ও পুরুষ নির্মাতাদের মধ্যে সমতা নিশ্চিত করা।
এ বছরের টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরুষ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সঙ্গে নারী নির্মাতাদের অংশগ্রহণের হার ছিল ৪৩ শতাংশ। তিন বছর ধরে উৎসব কর্তৃপক্ষ প্রতিযোগিতা বিভাগের ছবিগুলো নির্বাচনের ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ধীরে ধীরে বাড়াচ্ছে। তাদের লক্ষ্য, ২০২২ সাল নাগাদ নারী নির্মাতাদের অংশগ্রহণের হার ৫০ শতাংশ করে নারী ও পুরুষ নির্মাতাদের মধ্যে সমতা নিশ্চিত করা।