ভাগ্যিস সেদিন স্ত্রীর কথা শুনেছিলেন। না হলে হয়তো ‘মেন ইন ব্ল্যাক’–এ তাঁর অভিনয় করা হয়তো হতোই না। না হলেই কি তখন রাতারাতি পরিচিতি পেতেন উইল স্মিথ? হয়তো না। নব্বই দশকের শুরুতে বেশ কয়েকটি ছবিতে ভালো অভিনয় করলেও মোটা দাগে ‘ব্যাড বয়েজ’ ও ‘মেন ইন ব্ল্যাক’–এর কল্যাণে সাধারণ দর্শকের কাছে ব্যাপক পরিচিতি পান অভিনেতা। অথচ শুরুতে ছবিতে অভিনয় করেতই রাজি ছিলেন না তিনি! কারণ, চিত্রনাট্য। এর আগের বছরই (১৯৯৬) ‘ইনডিপেনডেন্স ডে’ ছবিতে অভিনয় করেন স্মিথ। সেটাও ছিল এলিয়েন নিয়ে। ফলে একই বিষয় নিয়ে পরের বছরই আরেকটি ছবি করতে চাননি। তবে স্ত্রী জাডা পিংকেট স্মিথই স্বামীকে রাজি করান। শুরুতে ছবিতে অভিনয়ের কথা ছিল ডেভিড শুইমারের। তিনি না করাতেই স্মিথের কাছে প্রস্তাব যায়। তবে স্মিথের কাছে প্রস্তাব যাওয়ার পেছনে ভূমিকা আছে আরেক ‘স্ত্রী’র। তিনি ছবির পরিচালক ব্যারি সোনেনফিল্ডের স্ত্রী। যিনি আবার স্মিথের ভক্ত। চূড়ান্ত হওয়ার পর ছবিটি নিয়ে কথা বলতে স্মিথকে ফোন করেন স্টিভেন স্পিলবার্গ। যিনি সিনেমাটির নির্বাহী প্রযোজকও বটে। স্মিথ তখন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না খোদ স্পিলবার্গ তাঁকে ফোন করেছেন। শুরুতে ছবিটি অবশ্য স্পিলবার্গেরই পরিচালনার কথা ছিল।
‘মেন ইন ব্ল্যাক’ নিয়ে এত কথার হেতু হলো আজ দিনটি ২ জুলাই। স্মিথের ক্যারিয়ারের গতিপথ বদলে দেওয়া সিনেমাটির ২৫ বছর পূর্তি। ১৯৯৭ সালে আজকের দিনে মুক্তি পেয়েছিল সায়েন্স ফিকশন–অ্যাকশন কমেডি সিনেমাটি। মুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৩ ও ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে আবারও মুক্তি পাবে ‘মেন ইন ব্ল্যাক’।
ছবিতে নিউইয়র্ক পুলিশের সাবেক গোয়েন্দা, এমআইবিতে সদ্য যোগ দেওয়া এজেন্ট জের চরিত্রে অভিনয় করেন স্মিথ। তাঁর সঙ্গী এজেন্ট কের ভূমিকায় দেখা যায় টমি লিকে। মুক্তির পর বক্স অফিসে রীতিমতো ঝড় তোলে ছবিটি। ৯০ মিলিয়ন বাজেটের ছবিটি শেষ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫৯০ মিলিয়ন ডলার ব্যবসা করে। যা ছিল সেই বছরের তৃতীয় সর্বোচ্চ।
অস্কারে তিন মনোনয়ন পায় ছবিটি। জেতে কেবল সেরা মেকআপের পুরস্কার। প্রথম ছবির পর ২০০২ ও ২০১২ সালে ‘মেন ইন ব্ল্যাক–এর দুটি সিকুয়েল মুক্তি পায়। ২০১৯ সালে মুক্তি পায় স্পিন–অফ ছবি ‘মেন ইন ব্ল্যাক—ইন্টারন্যাশনাল’। তবে কোনোটাই প্রথমটার মতো সাফল্য পায়নি।