কোয়ারেন্টিনে থাকার সময়ে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলেন হলিউড তারকা জেনিফার গার্নার। সেখান থেকে নয়টি ছবি কোলাজ করে ভক্তদের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নিতেও ভোলেননি তিনি। এ ছবির নিচে এক ভক্তের মন্তব্য ও জেনিফার গার্নারের উত্তর থেকে এ প্রতিবেদনের সূত্রপাত।
ওই ভক্ত লিখেছেন, ‘আহা, আমারও যদি আপনার মতো সুখ আর নিরাপত্তা থাকত! আপনাকে দেখে আমার মনে হয়, আপনি একজন ভালো আর দয়ালু মানুষ। জানেন, বছরের পর বছর মানসিক নির্যাতনের পর অবশেষে আমার স্বামীকে ছেড়ে যাওয়ার কথা বলতে পেরেছি। একসময় আমার মনে হচ্ছিল, বাকি জীবনে আমি আর কখনোই সুখী হতে পারব না। একটা নিরাপদ জীবনের সঙ্গে এ জীবনে আমার আর কোনো দিনই দেখা হবে না। আপনাকে দেখে আমার ভেতরে সুন্দর একটা অনুভূতি হয়। জানি না কী হবে! আমার স্বামী অত্যন্ত প্রতিহিংসাপরায়ণ আর ক্ষমতাবান।’
জেনিফার এ মন্তব্যের উত্তর না দিয়ে পারেননি। তিনি ওই ভক্তকে লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে, তোমার হৃদয় ভারাক্রান্ত। তোমার কথা জেনে আমি খুবই দুঃখিত। তবে আমি বিশ্বাস করি, তোমার ভেতরে একজন শক্তিশালী নারী আছেন। আশা করি, শিগগিরই তুমি নিজেকে শান্ত করতে পারবে। প্রার্থনা, মেডিটেশন, ইয়োগা ও ব্যায়াম করো। শিল্পচর্চাও এ সময় নিজেকে শান্ত করতে ভালো কাজে দেয়। তুমি তোমার যুদ্ধ চালিয়ে যাও। তোমার মুখে যুদ্ধজয়ের হাসি ফিরবেই। সেদিনটা না আসা পর্যন্ত আমার ভালোবাসা তোমার সঙ্গে রইল।’
জেনিফারের প্রথম স্বামী স্কট ফলের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় বিয়ের চার বছর পর, ২০০৪ সালে। পরের বছরই বেন অ্যাফ্লেকের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন গার্নার। ২০১৫ সালের ২৯ জুলাই দশম বিবাহবার্ষিকীতে তাঁদের তিন সন্তান ভায়োলেট, সেরাফিনা ও স্যামুয়েলের বয়স ছিল যথাক্রমে নয়, ছয় ও তিন বছর। ঠিক তার পরদিন, ২০১৫ সালের ৩০ জুলাই জেনিফার বেনের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন গার্নার। ২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এ জুটির বিচ্ছেদ হয়।