আজ যুক্তরাজ্যে মুক্তি পাচ্ছে নো টাইম টু ডাই। নানা কারণেই জেমস বন্ড সিরিজের এই ছবি স্মরণীয়। ০০৭ সিরিজের এটি ২৫তম ছবি। ১৫ বছর ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ড্যানিয়েল ক্রেগ। এই ছবির পর তাঁকে আর জেমস বন্ডরূপে দেখা যাবে না। কোভিড–১৯ সংক্রমণের কারণে বারবার পিছিয়ে যায় ছবিটির মুক্তি। অবশেষে গত মঙ্গলবার লন্ডনের রয়্যাল আলবার্ট হলে ছবিটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়। নো টাইম টু ডাই, ড্যানিয়েল ক্রেগ ও জেমস বন্ড নিয়ে আমাদের এই বিশেষ আয়োজন।
২৫তম ছবি ‘নো টাইম টু ডাই’
বন্ড সিরিজের ২৫তম ছবি নিয়ে আগ্রহের যেন শেষ নেই। অপহৃত বিজ্ঞানীকে উদ্ধার করা নিয়ে এই ছবির কাহিনি। নির্মাণের পুরো সময়টায় নানা ইস্যুতে আলোচনার তুঙ্গে ছিল নো টাইম টু ডাই। শুরুতেই পরিচালক–বিতর্ক। প্রথমে ছবিটি ড্যানি বয়েলের পরিচালনা করার কথা ছিল। কিন্তু প্রযোজকদের সঙ্গে সৃজনশীল মতপার্থক্য দেখা দেওয়ায় সরে দাঁড়ান তিনি। তাঁর জায়গায় আসেন ট্রু ডিটেকটিভখ্যাত ক্যারি জোজি ফুকুনাগা।
পরিচালক–সংকট কাটতে না কাটতেই দেখা দিল নায়ক–সংকট। ড্যানিয়েল ক্রেগ ঘোষণা করে বসলেন, তিনি আর বন্ড হবেন না। তাহলে কে হবেন জেমস বন্ড? যাহোক, শেষ পর্যন্ত ক্রেগকে রাজি করিয়েছেন প্রযোজকেরা। তবে এটাই হতে যাচ্ছে বন্ড হিসেবে ক্রেগের শেষ ছবি। এখানেই শেষ নয়। শুটিং সেটে আগুন, স্টান্ট করতে গিয়ে ক্রেগের আহত হওয়া—অনেক ফাঁড়াই গেছে।
এরপর করোনা সংক্রমণের কারণে বারবার মুক্তির শিডিউল পিছিয়ে যায়। সবকিছু মিলিয়ে বন্ড সিরিজের এই ছবি নিয়ে মানুষের আগ্রহ বাড়তেই থাকে। সে যা–ই হোক, ১৯৬২ সালে ড. নো দিয়ে ছোট পরিসরে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, ২৪টি ছবি পার হয়ে ব্রিটিশ স্পাইভিত্তিক সেই সিরিজ এখন বিশ্বের অন্যতম বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি। দেখা যাক, নো টাইম টু ডাই তাতে নতুন কী পালক যোগ করে।