এই না হলে নায়ক! এ নায়ক শুধু পর্দার নয়, বাস্তব জীবনেরও। তিনি টম হ্যাংকস, যিনি এক মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার প্লাজমা দান করেছেন করোনা চিকিৎসায়।
করোনাযুদ্ধে জয়ী হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে খুব বেশি সময় নেননি টম হ্যাংকস। এরই মধ্যে দ্বিতীয়বার করোনা ভ্যাকসিন গবেষণাগারে রক্ত দিয়ে তিনি আবারও বাস্তব জীবনের নায়কের পরিচয় দিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ছবিও শেয়ার করেছেন ‘ফরেস্ট গাম্প’-এর অভিনেতা। সঙ্গে লিখেছেন ‘প্লাজম্যাটিক’। এক মাস আগেও গবেষণার জন্য প্লাজমা দিয়েছিলেন টম হ্যাংকস।
করোনা মোকাবিলায় প্লাজমা থেরাপি নিয়ে ভারতসহ বিভিন্ন দেশেই গবেষণা চলছে। যেকোনো ধরনের সংক্রমণের ক্ষেত্রেই আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। সেই অ্যান্টিবডি কোনো সুস্থ ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি করতে পারছে কি না, সেটা দেখাই প্লাজমা থেরাপি। এককথায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির প্লাজমা দিয়ে অন্যদের ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচাতেই প্লাজমা থেরাপি নিয়ে বিশ্বজুড়ে গবেষণা চলছে।
মার্চ মাসে অস্ট্রেলিয়ায় শুটিং চলাকালীন করোনায় আক্রান্ত হন টম হ্যাংকস ও তাঁর স্ত্রী রিটা উইলসন। তাঁরাই প্রথম সেলিব্রিটি, যাঁরা প্রকাশ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান। এ মুহূর্তে হলিউডের সেলিব্রিটি দম্পতি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় করোনা মোকাবিলার অভিজ্ঞতা শেয়ারও করছেন। একই সঙ্গে নিজের প্লাজমা দিয়ে করোনার হাত থেকে অন্যকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন টম হ্যাংকস।
অস্ট্রেলিয়ায় একটি বায়োপিকের জন্য শুটিং করছিলেন, সেখানেই টম ও স্ত্রী রিটা উইলসনের করোনা অর্থাৎ ‘কোভিড-১৯’ পজিটিভ ধরা পড়ে। পরে দম্পতি মার্চ মাসের প্রথম দিকে ফিরে আসেন লস অ্যাঞ্জেলেসে এবং দুই সপ্তাহের বেশি সময় কোয়ারেন্টিনে ছিলেন।
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর ইনস্টাগ্রামে জানিয়ে টম হ্যাংকস লিখেছিলেন, ‘আমাদের হঠাত্ করেই খুব ক্লান্ত লাগছিল, সর্দি হয়েছিল এবং সারা শরীরে যন্ত্রণা হচ্ছিল। রিটার মাঝেমধ্যে কাঁপুনি দিয়ে জ্বরও আসছিল। নিশ্চিত হতেই আমাদের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা হয়। আর তখনই জানা যায়, আমরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এবার কী করণীয়? কিছু পদ্ধতি রয়েছে, যা এখন মেনে চলতে হবে। আমাদের আরও কিছু পরীক্ষা হবে, নজরে রাখা হবে এবং সবার থেকে আলাদা করে রাখা হবে।’