বিশ্ব চলচ্চিত্রের আয়ে ইতিহাস গড়ার পথে ‘স্পাইডার-ম্যান: নো ওয়ে হোম’। সিনেমাটি ১ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার আয় করে ৮ নম্বর তালিকায় রয়েছে, যা বাংলাদেশি টাকায় ১৩ হাজার ১৪৮ কোটির বেশি। গত ডিসেম্বরের ১৫ তারিখে মুক্তি পায় সিনেমাটি। গত ২৭ দিনে এটি প্রতিদিন আয় করেছে ৪৮৬ কোটি টাকার বেশি। সিনেমাটির সাফল্যের গল্প ভারী হলেও করোনার মধ্যে মুক্তির নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।
ভ্যারাইটি সূত্রে জানা গেছে, অ্যাকশন, অ্যাডভেঞ্চার ও ফ্যান্টাসি ঘরানার ‘নো ওয়ে হোম’ সিনেমাটি দেশের মধ্য আয় করে ৬৬৮ মিলিয়ন ডলার এবং আন্তর্জাতিক বাজারে আয় করে ৮৬৭ মিলিয়ন ডলার। ২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘অ্যাভেঞ্জারস: এন্ডগেম’ সিনেমার পর যা নতুন রেকর্ড। করোনার কারণে এ সময় অনেক বড় বাজেটের সিনেমা মুক্তি দেওয়া হয়নি। এদিকে বিশ্বব্যাপী আয় করা বিভিন্ন সিনেমার মধ্যে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে ‘দ্য লায়ন কিং’। সিনেমাটির আয় ১ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার। ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’ ও ‘অ্যাডভেঞ্চারস ইনফিনিটি’ সিনেমা দ্বয়ের আয় ১ দশমিক ৬৭ ও ২ দশমিক শূন্য বিলিয়ন ডলার।
বিশ্বব্যাপী আয় করা সেরা তালিকার অন্য সিনেমাগুলোর মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ‘স্টার ওয়ারস: এপিসোড–৭–দ্য ফোর্স অ্যায়োকেন’। সিনেমাটির আয় ২ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলার। ২ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার আয় করে তৃতীয় তালিকায় রয়েছে টাইটানিক। ‘অ্যাভেঞ্জারস: এন্ডগেম’ সিনেমাটির আয় ২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। সবার ওপরে রয়েছে ২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘অ্যাভাটার’। সিনেমাটির বিশ্বব্যাপী আয় ২ দশমিক ৮৪ ডলার।
স্পাইডার–ম্যান সিনেমার নতুন এই সিরিজ নিয়ে প্রযোজনা সংস্থা মুক্তির সময় ধারণা করেছিল, করোনায় তাদের আশানুরূপ টিকিট বিক্রি হবে না। দর্শক হয়তো সেভাবে হলে আসবেন না। এমনকি অমিক্রনে আবার বন্ধ হয়ে যেতে পারে সিনেমা হল। সেখানে মাইলফলক হয়ে রইল সিনেমাটি। ‘স্পাইডার-ম্যান: নো ওয়ে হোম’ ছবির মাধ্যমে শেষ হচ্ছে স্পাইডার-ম্যান সিরিজের ‘হোমকামিং’ ট্রিলজি। এটি যৌথভাবে প্রযোজনা করবে সনি পিকচার্স এন্টারটেইনমেন্ট ও মার্ভেল স্টুডিওস। সিনেমাটি গত ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পায়।