এনএএসিপি, অর্থাৎ ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব দ্য কালারড পিপল। ১৯০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এনএএসিপি বিশ্বব্যাপী কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সেরা, স্বীকৃত ও প্রশংসিত সংস্থাগুলোর একটি।
সম্প্রতি হলিউডের আলোচিত তারকা দম্পতি রায়ান রেনল্ডস ও ব্লেক লাইভলি এই সংস্থাকে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা দান করেছেন। আর কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার আদায়ের দাবিতে চলমান আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন। আর এতেই খেপেছে একটি দল। তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রায়ান ও ব্লেক দম্পতিকে। ভাবছেন, দান করা তো ভালো। তবে সমালোচনা কেন?
২০১১ সালে আরেক হলিউড তারকা স্কারলেট জোহানসনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর এক বছরও একা থাকেননি ডেডপুল তারকা রায়ান। পরের বছরই ঘটা করে ‘আই ডু’ বলেছেন আরেক হলিউড তারকা ব্লেক লাইভলিকে। ২০১২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঘটা করে এই দম্পতি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনার মাউন্ট প্লিজেন্টের বিখ্যাত বুন হল প্ল্যান্টেশনে। এই ঐতিহাসিক জায়গা দাসপ্রথা ও কৃষ্ণাঙ্গ নির্যাতনের সাক্ষ্য বহন করে।
সেখানে বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও আমোদপূর্ণ ঘটনার উদ্যাপন সেরে এই দম্পতির কালো মানুষদের অধিকার আদায়ের উদ্দেশ্যে অর্থ দেওয়াকে ভালো চোখে দেখেননি অনেকেই। একটি দল তাঁদের বলেছে ‘সুবিধাবাদী দুমুখো সাপ’।
এর আগে ২০১৮ সালে ব্লকবাস্টার হিট সিনেমা ব্ল্যাক প্যান্থারকে এক টুইটে সমর্থন করায়ও একই দুয়োধ্বনি শুনতে হয়েছিল ৪৩ বছর বয়সী কানাডীয় তারকা রায়ান রেনল্ডসকে। এবার তাই সুযোগ বুঝে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে বললেন, ‘ওই জায়গায় বিয়ের সিদ্ধান্ত আমাদের জীবনের নিকৃষ্ট সিদ্ধান্তগুলোর একটি। এই বিয়ের জন্য আমরা দুঃখিত। আর এ জন্য আমরা সারা জীবন আন্তরিকভাবে দুঃখিত আর অনুতপ্ত থেকে যাব।’
লকডাউনে স্ত্রী আর তিন সন্তান জেমস, ইনেজ ও বেট্টিকে নিয়ে সুখেই কাটছে এই দম্পতির জীবন।