মা-বাবা দুজনেই অভিনয়ের মানুষ। মেলানি গ্রিফিথ ও ডন জনসনের মেয়ে ডাকোটা জনসনের রুপালি পর্দায় যে পা রাখবেন, সেটা যেন এক রকম ঠিকই ছিল। মাত্র ১০ বছর বয়সে শুরুও করেন। ২০১০ সালে ‘শিশুশিল্পী’ পরিচয় ঝেড়ে নতুনভাবে শুরু করেন ডাকোটা। তবে কয়েকটি সিনেমা প্রশংসিত হলেও সেভাবে পরিচিতি পাননি। সেটা পান ২০১৫ সালে ‘ফিফটি শেডস অব গ্রে’-তে অভিনয়ের পর। বলা যায় ‘ফিফটি শেডস’ ট্রিলজি তাঁর ক্যারিয়ারের গতিপথ বদলে দেয়। বেশ কিছু দৃশ্য থাকায় ছবি তিনটি নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। তাই ‘ফিফটি শেডস’-এর প্রসঙ্গে এলেই কথা বলতে কিছুটা বিব্রত বোধ করেন ডাকোটা।
তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন তাঁর সেই আলোচিত-সমালোচিত সিনেমাটি নিয়ে। ভ্যানিটি ফেয়ার সাময়িকীকে ডাকোটা বলেন, ‘ওই সিনেমা করার সময় আমার বয়স ছিল মাত্র ২৩, সেটা ছিল ভীতিজাগানিয়া এক অনুভূতি। ওই ছবিতে অভিনয় ছিল একটা পাগলামির মতো। কারণ নানা বিষয়ে আমাদের মধ্যে মতবিরোধ ছিল। বিশেষ করে লেখকের সঙ্গে নানা বিষয়ে তর্কাতর্কি লেগেই থাকত।’
‘ফিফটি শেডস’-এর প্রথম কিস্তি মুক্তির সাত বছরে এসে ছবিটি নিয়ে এখন খোলামেলা কথা বলতে পেরে স্বস্তি পাচ্ছেন অভিনেত্রী। ডাকোটা বলেন, ‘সত্যি বলতে ছবির অনেক বিষয় নিয়ে কখনো কথা বলতে পারিনি। কারণ, সিনেমার প্রচারে সব বলা যায় না। তবে ছবিটি নিয়ে আমি গর্বিত। শেষ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকভাবেই হয়েছে। আমরা এমন একটা সিনেমা বানাতে পেরেছি, যেমনটা হওয়া উচিত। তবে কাজটা সহজ ছিল না।’
ছবিটিতে তাঁর খোলামেলা অবতারে হাজির হওয়া নিয়ে অনেক কথা হলেও ডাকোটা জানান, ‘ফিফটি শেডস’ করা নিয়ে তিনি অনুতপ্ত নন।
ডাকোটা জনসন এখন ব্যস্ত তাঁর সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘চা চা রিয়েল স্মুথ’ নিয়ে। কমেডি-ড্রামা ঘরানার সিনেমাটি গত ১৭ জুন মুক্তি পেয়েছে অ্যাপল টিভি প্লাসে।