টম হ্যাঙ্কস কি টরন্টোতে আছেন এখনো? মেরিল স্ট্রিপ? ওয়াকিন ফিনিক্স কিংবা তাইকা ওয়াতিতি? বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুন, এই মুহূর্তে তাঁদের মন পড়ে আছে কানাডার ব্যস্ততম এই শহরে, এটা মোটামুটি নিশ্চিত। টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবের সবচেয়ে বড় পুরস্কার ‘পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড’ ঘোষণার মাহেন্দ্রক্ষণ দরজায়। জনগণের রায় শুনতে উৎসুক সিনেমা বিশ্ব।
একরকম ঘোষণা দিয়েই এ বছর পুরস্কার অনুষ্ঠানের আড়ম্বর বাদ দিয়েছেন উৎসব কর্তারা। এখন শুধু ভোট গণনার আনুষ্ঠানিকতা। শুরু থেকেই জানতাম, দর্শকদের ভোটে হয় পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ডের ফয়সালা। কিন্তু ব্যাপারটা কীভাবে ঘটে, সেটা খানিক বোঝা যাচ্ছে এখন। টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে যাঁরা টিকিট কেটে ছবি দেখেছেন, সবার কাছে পৌঁছে গেছে ই-মেইল। ই-মেইলের মাধ্যমে জানতে চাওয়া হয়েছে, এবার উৎসবে আপনার পছন্দের ছবির কথা জানান। এই ই-মেইল মনে করুন ব্যালট পেপার। তবে ভোট দেওয়া শেষ কথা নয়। কয়েক ধাপে চলবে ভোটের সত্যতা যাচাই।
সম্ভাব্য বিজয়ীদের কাতারে আছেন ওয়াকিন ফিনিক্স (জোকার), টম হ্যাঙ্কস (আ বিউটিফুল ডে ইন দ্য নেইবারহুড) অথবা তাইকা ওয়াতিতি (জোজো র্যাবিট)। কিন্তু এর বাইরে?
‘প্যারাসাইট’ ছবির পক্ষে আছে শক্ত বাজি। কান বিজয়ী কোরিয়ান এই ‘মাস্টার পিস’ সিনেমার সব কটি প্রদর্শনী গেছে একদম হাউসফুল। টিকিট না পেয়ে বক্স অফিস থেকে ফিরে গেছেন বহু দর্শক। আলোচনায় আছে রিজ আহমেদ অভিনীত ‘সাউন্ড অব মেটাল’। জেনিফার লোপেজের ‘হাসলার’, রোজামুকন্ড পাইকের ‘রেডিও অ্যাকটিভ’। স্কারলেট জোহানসন ও অ্যাডাম ড্রাইভার অভিনীত ‘ম্যারেজ স্টোরি’ আছে অনেকের পছন্দের তালিকায় ওপরের দিকে। পুরস্কারটা এমনকি হয়ে যেতে পারে ট্রে অ্যাডওয়ার্ড পরিচালিত ‘ওয়েভস’ ছবিরও। শেষ মুহূর্তে জনগণের মন কোন দিকে যায়, সত্যিই বলা মুশকিল।