চীনের বেইজিংয়ের ডংঝিমেন এলাকার ১৩ হাজার ১০০ বর্গফুটের সেই বাড়িতে আছে ৬টি শোয়ার ঘর ও দুটি বিশাল আকারের লিভিং এরিয়া। দুটো অ্যাপার্টমেন্টকে এক করে বাড়িটি তৈরি। বর্তমানে বাড়ির বাজারমূল্য ১ কোটি ৪৬ লাখ মার্কিন ডলার। কিন্তু বাড়িটি নিয়ে জটিলতা থাকায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এক কোটি ডলারে এটি নিলামে তুলছে।
জ্যাকি চ্যানের সহায়–সম্পত্তিতে হাত দেয়, এমন বুকের পাটা আছে কয়জনের! মার্শাল আর্টভিত্তিক ছবিতে জ্যাকি চ্যানের অ্যাকশন জগদ্বিখ্যাত। এক হাতে মেরে কুপোকাত করে দিতেন কয়েক ডজন মানুষ। মালিকানা নিয়ে ঝামেলা হওয়ার কারণে সেই তারকারই বাড়ি উঠছে নিলামে। অভিযোগ উঠেছে, চীনভিত্তিক আবাসন প্রতিষ্ঠান ইউজিয়া রিয়েল এস্টেটের গাফিলতির কারণে এ জটিলতা হয়েছে।
২০০৭ সাল থেকে জ্যাকি চ্যান ও তাঁর পরিবার চীনের বেইজিংয়ের ডংঝিমেন এলাকার একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন। ১৩ হাজার ১০০ বর্গফুটের সেই বাড়িতে আছে ৬টি শোয়ার ঘর ও দুটি বিশাল আকারের লিভিং এরিয়া। মূলত দুটো অ্যাপার্টমেন্টকে এক করে পুরো বাড়িটি তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে বাড়িটির বাজারমূল্য ১ কোটি ৪৬ লাখ মার্কিন ডলার। কিন্তু বাড়িটি নিয়ে জটিলতা থাকায় এটি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এক কোটি ডলারে নিলামে তুলছে।
বিলাসবহুল এ বাড়ি তৈরি করেছিল আবাসন প্রতিষ্ঠান ইউজিয়া রিয়েল এস্টেট। বিশ্বখ্যাত তারকা জ্যাকি চ্যান এ প্রতিষ্ঠানের কিছু প্রচারণামূলক কার্যক্রমে অংশ নেন। এর বিনিময়ে সে সময় জ্যাকি চ্যান কোনো পারিশ্রমিক নেননি, বরং এই বিশাল পরিসরের বাড়িটি তিনি কিনে নেন মাত্র ৪৯ লাখ ডলার দিয়ে। কিন্তু বাড়ির মালিকানা নিয়ে শুরু থেকেই ইউজিয়া রিয়েল এস্টেটের সঙ্গে বিরোধ ছিল তেনহং রিয়েল এস্টেট নামের আরেকটি আবাসন প্রতিষ্ঠানের। এ বিরোধের কারণেই জ্যাকি চ্যানকে কখনোই পুরো বাড়ির মালিকানার কাগজপত্র বুঝিয়ে দিতে পারেনি ইউজিয়া রিয়েল এস্টেট। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এ বিরোধ অবশেষে মিটল শহরের মিউনিসিপ্যাল কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়ে। বাড়িটিকে নিলামে তুলল স্থানীয় সরকার। ৩০ সেপ্টেম্বর নিলামের ডাক দেওয়া হয়।
বিশ্বের খ্যাতিমান ও সর্বোচ্চ উপার্জনকারী তারকার মধ্যে জ্যাকি চ্যান অন্যতম। আর এ কারণেই তাঁর বাড়িটিও ছিল বেইজিংয়ের খুব পরিচিত একটি স্থাপনা। এ বাড়িতেই জ্যাকি চ্যানের ছেলে জেসি ২০১৪ সালে গাঁজাসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। তাঁকে এ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে দফায় অবৈধভাবে মাদক রাখার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডও হয়। সূত্র: ভ্যারাইটি