পেশাজীবনে অস্কারজয়ী হ্যালি বেরি যতই সফল হোন না কেন, ব্যক্তিজীবনে তিনি নাকি চূড়ান্ত ব্যর্থ। ১৯৯৩ সালের প্রথম দিনে ভালোবেসে হ্যালি বিয়ে করেছিলেন মার্কিন বেসবল খেলোয়াড় ডেভিড জাস্টিসকে। ১৯৯৬ সাল থেকে তাঁরা আলাদা থাকতে শুরু করেন। সে সময় হ্যালি এতটাই হতাশ আর বিষণ্ন হয়ে পড়েছিলেন যে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন। ১৯৯৭ সালে তাঁরা কাগজে–কলমে আলাদা হন। এরপর মার্কিন সংগীত তারকা এরিক বেনেট আর ফরাসি অভিনেতা অলিভার মার্টিনেজকেও সাদা গাউন পরে হাতে ফুল নিয়ে দুই দফায় বলেছেন ‘আই ডু’। ২০১৩ সালে ফ্রান্সে গিয়ে বিয়ের পর ২০১৬ সালে অলিভারের সঙ্গে বিচ্ছেদের সেই মামলা এখনো হ্যালির পিছু ছাড়েনি। মাঝে কানাডিয়ান মডেল গ্যাব্রিয়েল অব্রির সঙ্গে প্রেম করেছেন পাঁচ বছর। গ্যাব্রিয়েল আর অলিভার মারামারি করে দুজন একবার হাসপাতালে ভর্তিও হয়েছিলেন।
দুই সন্তানের এই মাকে অনলাইনে একজন বলেছেন, তিনি নাকি ব্যর্থ প্রেমিকা, ব্যর্থ স্ত্রী, ব্যর্থ নারী। একজন লিখেছেন, ‘কারও থাকতে পারল না।’ এই মন্তব্যে ৫৪ বছর বয়সী হ্যালি বেরি রেগে আগুন! ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে দিয়েছেন তার সমুচিত জবাব। তিনি লিখেছেন, ‘নারীরা এসব পুরুষ বা এসব মন্তব্যকারীর ধার ধারেন না। যত্ত সব আবর্জনা।’ সেখানে এসে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আপনার সঙ্গে আপনার সকল স্বামী, সব সঙ্গীরই ঝামেলা হয়েছে। কেউ টেকেনি।’
সঙ্গে সঙ্গে হ্যালি তার সমুচিত জবাব দিয়ে লিখেছেন, ‘আমার কারও সঙ্গে ঝামেলা হয়নি। তারা প্রত্যেকেই আমার সঙ্গে ঝামেলা করেছে। কোনো পুরুষই আমাকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসেনি। বলা যেতে পারে, এটা আমার দুর্ভাগ্য। ভুল মানুষের সঙ্গে জীবন কাটানোর কী মানে? এর চেয়ে নিজের মতো করে একা বাঁচা অনেক শ্রেয়। প্রত্যেক নারীরই ভুল মানুষকে ছেড়ে নিজের মতো জীবন যাপন করা উচিত।’