এবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গুপ্তচর ফ্রিদা

ফ্রিদা পিন্টো
ইনস্টাগ্রাম

পর্দায় নুর হয়ে ওঠা প্রসঙ্গে ফ্রিদা বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একজন অন্য রকম “হিরোইন” তিনি। অহিংসায় বিশ্বাস করতেন। কখনো অস্ত্র তুলে নেননি। তাঁর বাবা ইনায়েত খান ছিলেন নামকরা সংগীতজ্ঞ আর সুফি। আর নুর কাজ করেছেন ব্রিটিশ গুপ্তচর হিসেবে। নোরা বেকার ছদ্মনামে ফ্রান্সে বেতার অপারেটর হিসেবে কাজ নিয়েছিলেন টিপু সুলতানের এই বংশধর। পরে যুদ্ধক্ষেত্রে ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে তাঁর দক্ষতা আর ফরাসি ভাষায় পারদর্শিতার জন্য ২৯ বছর বয়সে তাঁকে ফ্রান্সের গুপ্তচর হিসেবেও নিয়োগ দেওয়া হয়। ধরা পড়ার পর গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দ্যখো কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে মাত্র ৩০ বছর বয়সে মেরে ফেলা হয় তাঁকে। এই রহস্যময়, দুর্দান্ত নারীকে পর্দায় নতুন করে জন্ম দেওয়া আমার জন্য জীবনের দারুণ এক সুযোগ। আমি তার ষোল আনা সদ্ব্যবহার করতে চাই।’

ফ্রিদা পিন্টো

বড় পর্দায় নাম লেখানোর আগে লেখালিখি করতেন ফ্রিদা। তখন প্রেম করতেন রোহান অ্যান্টাও নামের এক প্রকাশকের সঙ্গে। ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’–এর পরে তিনি প্রেম শুরু করেন এই ছবির সহশিল্পী দেব প্যাটেলের সঙ্গে। ২০০৮ সাল থেকে ছয় বছর এক ছাদের নীচে থাকার পর ২০১৪ সালে সেই সম্পর্ক ভেঙে খান যায়। এরপর সময় নিয়েছেন। নতুন করে সম্পর্কে জড়িয়েছেন মার্কিন আলোকচিত্রী কোরি ট্রানের সঙ্গে। ট্রানের জন্মদিনে তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা বাগদান সেরে ফেলেছেন। তবে বিয়ের আসরে কবে বসবেন, তা এখনো জানা যায়নি।
নারীবাদী হিসেবে নামডাক আছে ৩৬ বছর বয়সী ফ্রিদার। যদিও ‘নারীবাদ’ শব্দটাকে মানুষ ভুল বোঝে বলে আক্ষেপও আছে তাঁর। এক শব্দে নারীবাদ তাঁর কাছে সমতা।