৫৯ বছর বয়সী হলিউড তারকা শন পেন করোনায় আক্রান্ত। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়ার মালিবুতে আছেন। সামান্য সর্দি ছাড়া তেমন কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায়নি। নিজের স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘কোর’–এ (কমিউনিটি অর্গানাইজড রিলিফ এফোর্ট) এমনিতেই নিয়মমাফিক একটা পরীক্ষা করান। সেই পরীক্ষার ফল কোভিড-১৯ পজিটিভ। করোনা বিশ্বকে ছেয়ে ফেলার পর থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নানা রকম সহযোগিতা দিয়ে আসছিল এই প্রতিষ্ঠান। ডেইলি মেইলসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম শন পেনের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সপ্তাহখানেক আগে শন পেনের নাক দিয়ে পানি ঝরছিল। কেউ একজন তাঁকে ঠাট্টা করে করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দেন। শনও কী ভেবে যেন পরীক্ষা করান। তবে তিনি ভাবেননি যে তাঁর করোনা হয়েছে। তাঁর যে করোনা হয়নি, পরীক্ষা করে ওই ব্যক্তিতে জানাতে চেয়েছিলেন। তবে তাঁকে যাঁরা পরীক্ষা করেন, তাঁরা সবাই পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েই পরীক্ষা করিয়েছেন।
কোর এর আগেও নানা দুঃসময়ে মানুষের জন্য কাজ করেছে। মিস্ট্রিক রিভার(২০০৩) ও মিল্ক (২০০৮) ছবির জন্য দুবার একাডেমি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী শন পেন যেমন অভিনয়ের ব্যাপারে একাগ্র, তেমনি মানবসেবাতেও তিনি বদ্ধপরিকর। বিপদগ্রস্ত মানুষ দেখলেই তিনি সব ভুলে ঝাঁপিয়ে পড়েন সাহায্য করতে। ২০০৫ সালের হারিকেন ক্যাটরিনা যখন আঘাত হানে যুক্তরাষ্ট্রে, সে সময় পাওয়া গিয়েছিল শন পেনের সেই সাহসী রূপ। তিনি ছুটে যান হারিকেনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তায়। ব্যক্তি উদ্যোগেই উদ্ধার করেন হারিকেনের তাণ্ডবে আটকে পড়া ৪০ জনকে। ২০১০ সালেও এই কোর হাইতির ভূমিকম্পে আক্রান্ত মানুষের জন্য কাজ করে।
এখনো করোনার কালে কোর কাজ করে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র এরিক গারসেটির সঙ্গে। বিনা মূল্যে করোনা টেস্ট করার ব্যবস্থা করেছে কোর। শন পেন নিজেও উপস্থিত থেকে কাজ করেছেন। সেখান থেকেই কোনোভাবে আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের অধীন ইতিমিধ্যে গত ৩০ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত শন পেনের এই অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে ৬ হাজার ৫০০ মানুষের বিনা মূল্যে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।