তাঁর বাবা ছিলেন একসময়ের স্বনামধন্য অভিনেতা। বাবা আব্বাস খানের হাত ধরেই বিনোদনজগতের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। অভিনয় যাঁর রক্তে, তিনি কি আর অভিনয় থেকে দূরে থাকতে পারেন? নাম লেখান সিনেমায়। শুরুটা ব্যাটে–বলে মিলে গেলেও বলিউডে সফলতা পাননি এই জায়েদ খান। নায়ক থেকে এখন তাঁকে পার্শ্বচরিত্রে দেখা যায়। এই বলিউড অভিনেতা জায়েদ খানের আজ জন্মদিন।
জায়েদ খান বলিউডে ক্যারিয়ার শুরু করেন ‘চুরালিয়া হায় তুমনে’ সিনেমা দিয়ে। তাঁর নায়িকা ছিলেন এশা দেওল। প্রথম সিনেমা দিয়েই নায়ক হিসেবে পেয়েছেন জি সিনে অ্যাওয়ার্ডের সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে মনোনয়ন। এই জুটিকেও পছন্দ করেন দর্শক।
পরে জায়েদ নাম লেখান শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘মে হু না’ সিনেমায়। সিনেমাটি জনপ্রিয় হয়। ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়। শাহরুখের সৎভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হন জায়েদ খানও। এই সিনেমার পর থেকে তিনি বলিউডে পাল্লা দিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করেন।
পরবর্তী সময়ে তিনি একের পর এক সিনেমায় নাম লেখাতে থাকেন। কিন্তু সেভাবে ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে পারেননি। তাঁকে বেশির ভাগ দেখা যেতে থাকে পার্শ্বচরিত্রে। নাসির উদ্দীন শাহ, অক্ষয়, সঞ্জয় দত্ত, রণবীর কাপুরসহ আরও অনেকের সঙ্গে তাঁকে দেখা গেছে। নিয়মিত অভিনয় করতে থাকেন। তাঁর অভিনীত সিনেমাগুলো ছিল গড়পড়তা। বেশির ভাগ সিনেমাই বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়।
‘শাদি নাম্বার-ওয়ান’, ‘রকি’, ‘ক্যাশ’, ‘স্পিড’, ‘ব্লু’, ‘লাভ ব্রেক আপস জিন্দেগি’, ‘দেশি ম্যাজিক’সহ দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ২০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগ সিনেমাই ফ্লপ। তাঁকে বলা হয় ভারতের ফ্লপখ্যাত অভিনেতা। কারণ দীর্ঘ দুই যুগের ক্যারিয়ারে তিনি কোনো সুপারহিট সিনেমা উপহার দিতে পারেননি। নায়ক হিসেবেও এগিয়ে যেতে পারেননি। একসময় মন খারাপ করে ২০১৭ সালে সিনেমা থেকে কিছুটা বিরতি নিয়ে টেলিভিশন শো ‘হাসিল’–এ অভিনয় করেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাতে জায়েদ খান বলেন, ‘শাহরুখ খানের কাছ থেকে আমি শুটিংয়ের প্রথম দিন থেকেই অনেক কিছু শিখেছে। এর মধ্যে অন্যতম ধৈর্য। আমি এখনো আশা দেখি।’ জায়েদ খান ১৯৮০ সালের ৫ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। বলিউডের সঙ্গে তাঁর আরও যোগসূত্র রয়েছে। তিনি চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ফিরোজ খানের ভাতিজা। অভিনেত্রী সুজানা খানের ভাই। ২০১৪ সালে নভেম্বর মাসে সুজানা খানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় হৃতিকের।