‘আমি রূপনগরের রাজকন্যা রূপের জাদু এনেছি...’

তাঁর সময়ে চলচ্চিত্রে পোশাক ও চুলের সাজ অন্যদের থেকে আলাদা থাকত। ষাটের দশকে এমন নারী অভিনেত্রী ভারতীয় উপমহাদেশে কম ছিলেন।
অভিনয়জীবনের শুরুতে তিনি ছিলেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি অভিনেত্রী। এখন পর্যন্ত উর্দু ভাষার ২৩টি সিনেমা হীরকজয়ন্তী উদ্‌যাপন করেছে। তার মধ্যে শবনম অভিনীত সিনেমা ১২টি। সেরা অভিনেত্রীর জন্য তিনি ১৩ বার নিগার পুরস্কার জয় করেছেন
ছবি: সংগৃহীত
প্রায় তিন দশক ধরে পাকিস্তানে তাঁর অভিনীত সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। পাকিস্তানে সর্বোচ্চ তারকাখ্যাতি পাওয়া অভিনেত্রীদের মধ্যে এখনো ধরা হয় শবনমকে। বাংলা ও উর্দু মিলিয়ে দীর্ঘ পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে তিনি ১৮০টি মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন
১৯৬০ সালে ‘হারানো দিন’ সিনেমা দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। সিনেমায় ‘আমি রূপনগরের রাজকন্যা রূপের জাদু এনেছি’ গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। আর পেছনে তাকাতে হয়নি এই অভিনেত্রীকে। তখন থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশের তাঁর খ্যাতি ছড়াতে থাকে
তাঁর সময়ে চলচ্চিত্রে পোশাক ও চুলের সাজ অন্যদের থেকে আলাদা থাকত। ষাটের দশকে এমন নারী অভিনেত্রী ভারতীয় উপমহাদেশে কম ছিলেন
তাঁর সময়ে চলচ্চিত্রে পোশাক ও চুলের সাজ অন্যদের থেকে আলাদা থাকত। ষাটের দশকে এমন নারী অভিনেত্রী ভারতীয় উপমহাদেশে কম ছিলেন
পাকিস্তানে ৫০টি সিনেমায় অভিনয় করার পর তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সিনেমা থেকে অবসরে যাবেন। তিনি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘অবসরের জন্য নিজেকে গুটিয়ে নিতে আরও ১০ বছর লেগেছিল। কারণ, আমি আমার পুরোনো ও চুক্তিবদ্ধ ছবিগুলো শেষ করতে চেয়েছিলাম। এরপর আমি পাকিস্তান ত্যাগ করি।’
১৯৮৮ সালের দিকে শবনম বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের চলচ্চিত্রে সমানতালে অভিনয় করতে থাকেন। নব্বইয়ের দশকের শেষ ভাগে ঢাকায় স্থায়ীভাবে বাস করতে শুরু করেন। তবে বাংলাদেশের আসার পরও পরবর্তী ১০ বছর বিভিন্ন সময় শবনমের একাধিক সিনেমা উর্দু ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। এসব ছবির কোনোটির শুটিং হয়েছিল এক-দেড় দশক আগে। তিনি পাকিস্তানে না থাকলেও তাঁকে নিয়ে সেখানে আলোচনা হতো
এই অভিনেত্রীর জন্ম ১৯৪৬ সালের ১৭ আগস্ট। ১৩ বছর বয়সে তাঁর সিনেমার ক্যারিয়ার শুরু হয়। আজ তাঁর জন্মদিন
শবনম নামে পরিচিত হলেও নামটি সিনেমায় জড়ানোর পর হয়েছে। তাঁর আসল নাম ঝর্ণা বসাক। গুণী নির্মাতা এহতেশাম শবনম নামটি রেখেছিলেন। প্রথম এহতেশামের ‘রাজধানীর বুকে’ সিনেমায় অভিনয় করেন। ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে শবনমের নাচ দেখে এই পরিচালক অভিনয়ের প্রস্তাব দেন
সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘আম্মাজান’। সিনেমাটির জন্য এখনো তিনি স্মরণীয়। বর্তমানে তিনি আর কোনো সিনেমায় অভিনয় করতে চান না
‘আম্মাজান’ সিনেমার পর দীর্ঘ ২২ বছর তিনি ব্যক্তিগত কিছু কারণে চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে দূরে ছিলেন। সর্বশেষ নীরবতা ভেঙে এই বছর এপ্রিলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ইফতার উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শবনমকে প্রথম দেখা যায়