‘হ্যাপি বার্থডে প্রিয়তমা’ কথাটা অনেক বেশি পোস্ট হয়েছে: ইধিকা পাল

খুবই ভালো কেটেছে জন্মদিনের এবারের আয়োজন। কী বলব, ‘প্রিয়তমা’ মুক্তির পর ‘হ্যাপি বার্থডে প্রিয়তমা’ কথাটা অনেক বেশি পোস্ট হয়েছে। সবাই উইশ করছেন। অনেক শুভেচ্ছা পেয়েছি, পাচ্ছি। খুব ভালো লাগছে। দিনটা শুরু করেছি পরিবারের সঙ্গে। এরপর বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে সবার সঙ্গে দিনটা উদ্‌যাপন করেছি। সব মিলিয়ে ভালোই কেটেছে।

শাকিব খানের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ এসকে ফিল্ম থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। তা ছাড়া তাঁর কাছ থেকেও শুভেচ্ছা পেয়েছি। এমনকি আমার ‘প্রিয়তমা’ টিমের সবার কাছ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পেয়েছি।

‘প্রিয়তমা’ দেখার পর সবাই যেভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন, এটাই সেরা উপহার। কিংবা বলা যায়, এটাই হয়তো এত বছরের সেরা উপহার।

ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকের অনুসারী বাড়ে-কমে। ওঠানামা তো করতেই থাকে। শাকিব খানের সঙ্গে ছবিতে অভিনয় শুরুর খবরের পর কিছুটা প্রভাব অবশ্যই পড়েছে। আমিও পুরো ব্যাপারটা ভীষণ উপভোগ করছি।

নিঃসন্দেহে খুব ভালো ছিল। একটা দেশের সবচেয়ে বড় সুপারস্টারের সঙ্গে কাজ করাটা আসলেই অসাধারণ।

আমি তো শুটিংয়ের কারণে বেশ কিছুদিন তাঁকে কাছ থেকে দেখেছি। আমার মনে হয়েছে, শাকিব খান খুবই পেশাদার অভিনেতা। শুধু পেশাদারই নন, খুব বিনয়ী স্বভাবের এবং নিরহংকার তিনি।

একদমই তা–ই। বন্ধুরা অনেক কিছু জানতে চেয়েছে। তাদের সঙ্গে অনেক গল্প করেছি। ওখানে কেমন কাজ করেছি, কেমন অভিজ্ঞতা হয়েছে এসব শুনতে চেয়েছে। আমিও আমার সুন্দর সুন্দর অভিজ্ঞতা ওদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেছি।

বাংলাদেশে এ সময় থাকতে পারলে তো খুবই ভালো লাগত। আর কিছুটা প্রত্যাশা তো ছিলই, কারণ, শাকিব খানের বিপরীতে কাজ করেছি। শাকিব খান তো বাংলাদেশের বড় তারকা। মানুষের এত ভালোবাসা ও উচ্ছ্বাস দেখে আরও বেশি ভালো লাগছে।

আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা কলকাতায়। তবে আমি দাদুর কাছে গল্প শুনেছি, আমাদের পূর্বপুরুষেরা বাংলাদেশে থাকতেন, সম্ভবত তাঁরা ঢাকায় থাকতেন। তো বাংলাদেশের সঙ্গে আমার একটা যোগাযোগ আছে। তবে এই মুহূর্তে পরিবারের কেউ বাংলাদেশে থাকেন না।

আমার পরিবারের কেউই শোবিজের সঙ্গে ছিলেন না, আমিই প্রথম। বিভিন্ন অভিনেতা ও অভিনেত্রীর কাছ থেকে প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত হই, যাঁদের কাছে থেকে অনেক কিছু শিখেছি, যাঁদের দেখেও অনেক কিছু শিখেছি। এখনো শিখছি। প্রতিনিয়ত তাঁরা আমাকে কাজ করার প্রেরণা জোগান।