দুই বাংলার চলচ্চিত্র ও ওয়েব সিরিজে রাফিয়াত রশিদ মিথিলার উপস্থিতি সরব। গত শুক্রবার ভালোবাসা দিবসে নতুন সিনেমা নিয়ে এসেছেন তিনি। সরকারি অনুদানের এ সিনেমার নাম ‘জলে জ্বলে তারা’। অরুণ চৌধুরী পরিচালিত ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রের অভিনয়শিল্পী মিথিলা। ছবিটিসহ অন্যান্য প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে কথা বলল বিনোদন
‘কাজলরেখা’র পর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল ‘জলে জ্বলে তারা ’। তাও ভালোবাসা দিবসে। এ ছবির সঙ্গে এই দিবসের যোগসূত্র কী বলে মনে করছেন?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: গত বছর আমার ছবি ‘কাজলরেখা’ মুক্তি পেয়েছিল। এ বছর ‘জলে জ্বলে তারা’। আমি খুব কম কাজ করি। পরপর দুই বছর দুটি ছবি মুক্তি পাওয়াটা আনন্দের বিষয়। ভালোবাসা দিবসে ছবিটি মুক্তির একটা যোগসূত্র অবশ্যই আছে। এই ছবি মূলত একজন ভাসমান নারীর সংগ্রামের গল্প হলেও ছবিতে খুব মিষ্টি একটি প্রেমের অধ্যায় আছে, যা পুরো ছবিটিতে থাকে।
ছবিটির শুটিং শুরু করেছিলেন ২০২১ সালের অক্টোবরে। টানা কাজ করে শেষ করেছিলেন। একাধিকবার মুক্তির তারিখ শোনা গেলেও হয়নি। শুটিংয়ের পর এত দেরিতে যে ছবির মুক্তি, সেই ছবির আবেদন কতটা থাকে বলে মনে করেন?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: এটা সত্যি যে শুটিংয়ের অনেক দিন পর ছবি মুক্তি দিলে দর্শকের কাছে আবেদন কমে যাওয়ার একটা আশঙ্কা থাকে। তবে এই ছবিতে তারা (মিথিলা) আর হোসেন (নাঈম) মাঝির ভালোবাসা দর্শকের আবেদনকে ফিরিয়ে আনবে। আমি আর নাঈম এই প্রথম জুটি বেঁধেছি। আমাদের বিশ্বাস, দর্শক আগ্রহ হারাবেন না।
‘জলে জ্বলে তারা’ ছবিতে আপনি নদীপারের একজন মেয়ে, নাম তারা। এই চরিত্র হয়ে উঠতে আপনার সামনে রেফারেন্স কী ছিল? কীভাবে চরিত্রটি হয়ে উঠেছেন? নদ–নদীর পারের মানুষের জীবন কি এর আগে আপনার দেখার সুযোগ হয়েছিল?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: আমি কর্মসূত্রে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি–গোত্রের মানুষের সঙ্গে মিশেছি, কাজ করেছি। এই ছবির চরিত্রের প্রস্তুতির জন্য আমি সামনে রেফারেন্স না থাকাটাই ভালো মনে করেছি। আমি সাধারণত রেফারেন্স দেখতে চাই না। আমি চাই আমার মতো করে চরিত্রটি হয়ে উঠতে, যেন তাতে অন্য কোনো চরিত্রের আদল ফুটে না ওঠে। গত পাঁচ বছরের সব কাজে তাই দর্শক আমাকে নতুনভাবেই পেয়েছেন, এবারও পাবেন।
এ ছবিতে আপনার সহশিল্পী নাঈম, যাঁর সঙ্গে আপনার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। কাজের সময় পরিবেশ কেমন ছিল?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: নাঈমকে আমি কলেজে পড়ার সময় থেকে চিনি। তখন থেকেই আমাদের বন্ধুত্ব। সহশিল্পী পূর্বপরিচিত হলে বা বন্ধুত্ব থাকলে অবশ্যই অভিনয় করাটা সহজ হয়।
আপনাকে কলকাতার কয়েকটি চলচ্চিত্রে টানা কাজ করতে দেখা গেছে। ওখানে সামনে নতুন কোনো কাজে আপনাকে দেখা যেতে পারে?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: কলকাতায় আমার এখনো একটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। অর্ণব মিদ্যা পরিচালিত ছবিটির নাম ‘মেঘলা’। এর বাইরে আপাতত নতুন কোনো কাজের পরিকল্পনা হয়নি।
বাংলাদেশে নতুন কাজের কী অবস্থা?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: এ বছর নতুন কাজের কথা চলছে। ইতিমধ্যে একটি জনপ্রিয় কোরিয়ান ড্রামার বাংলা ডাবিংয়ে কণ্ঠ-অভিনেতার কাজ করছি। সামনে অভিনয় প্রতিভা খুঁজে বের করার একটি রিয়েলিটি শোতে বিচারকের ভূমিকায় থাকব। আর নিজের অভিনীত কাজের কথা এ মুহূর্তে বলছি না। সময় হলেই সবাই জানতে পারবে।
নিজের কাজের বাইরে তো অন্য কাজও নিশ্চয় দেখেন। ইদানীং আপনার দেখা কোন কাজ, যেটা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন? যদি হয়ে থাকেন, সেই মুগ্ধতার কারণ কী?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: আমি নেটফ্লিক্সে গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের বই অবলম্বনে ‘ওয়ান হানড্রেড ইয়ার্স অব সলিটিউড’ সিরিজটি দেখলাম সম্প্রতি। বইটি আমার সবচেয়ে প্রিয় বই হওয়ার কারণে কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিলাম যে সিরিজটি কেমন হবে। তবে সিরিজটি আমার দারুণ লেগেছে। এমনিতে ছবি, সিনেমা দেখার সময় পাই না। তবে প্রিয় বই অবলম্বনে তৈরি এই ছবি ভালো লেগেছে।