এবারের ঈদে মুক্তি পেয়েছে অনন্য মামুন পরিচালিত ‘সাইকো’। এ ছবিতে অভিনয় করেছেন পূজা চেরি। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় যখন তাঁকে ফোন দেওয়া হয়, তখন তিনি ছিলেন বগুড়ায়।
বগুড়ায় কি বেড়াতে গেছেন?
না না। ঠিক বেড়াতে নয়। এখন কি বেড়ানোর সময় আছে! আমাদের ছবি মুক্তি পেয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হলগুলোয় যাচ্ছি সদলবল। বগুড়ায় সোনিয়া হল ভিজিটে এসেছি।
‘সাইকো’ দেখে দর্শক কী বলছেন?
সব হলেই পজিটিভ-নেগেটিভ দুই ধরনের রিভিউই আছে। তবে আমি যতটুকু শুনেছি, তার মধ্যে ৯৮ শতাংশই পজিটিভ রিভিউ দিচ্ছে। তারা বলছে, এ রকম সিনেমা মুক্তি পেলে দর্শক অবশ্যই সিনেমা দেখতে হলে আসবে। এর চেয়ে বড় কিছু আর হতে পারে না। এ ধরনের সিনেমা তারা বারবার চায়। যেসব হলে গিয়েছি, নিজের চোখে দেখেছি, সব হল হাউসফুল ছিল। দেখে মনটা ভরে গেল। আরেকটা কথা, হাউসফুল বললেই তো হাউসফুল হয় না। আগে হল হাউসফুল হতে হয়, তারপর বলতে হয় হাউসফুল।
পরপর দুই ঈদে আপনার ছবি মুক্তি পেল। ক্যারিয়ারের জন্য কতটা ইতিবাচক বলে মনে করছেন?
ঈদের মতো বড় উৎসবে সিনেমা মুক্তি দেওয়ার জন্য সবাই মুখিয়ে থাকেন। আমার ক্যারিয়ার মাত্র সাড়ে চার কি পাঁচ বছরের। সেখানে দ্বিতীয় ছবি ‘পোড়ামন ২’ ঈদে মুক্তি পেয়েছে। এরপর গত ঈদে ‘গলুই’ আর ‘শান’ একসঙ্গে, এবার ‘সাইকো’। এই স্বল্প সময়ে এত অর্জন আমার জন্য অনেক বড় ব্যাপার। এটা আমার ক্যারিয়ারের জন্য অনেকটাই ইতিবাচক। আশাজাগানিয়া। ভরসা পাচ্ছি।
‘গলুই’ যুক্তরাষ্ট্রেও মুক্তি পেয়েছে...
কিছু কিছু অনুভূতি আছে, ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। বলতেও পারি না, কতটা ভালো লাগছে। আমি অনেক সৌভাগ্যবান। আমার কোনো সিনেমা যুক্তরাষ্ট্রে দেখাচ্ছে, সঙ্গে প্রশংসাও পাচ্ছে। বাংলাদেশের সিনেমা শুধু বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ নয়, বাইরেও যাচ্ছে। বাইরের মানুষও দেখছেন। সব মিলিয়ে গর্ব হচ্ছে, আমাদের সিনেমা সবকিছুই করতে পারে।
ঈদে মুক্তি পাওয়া বাকি দুটি সিনেমা ‘পরাণ’ ও ‘দিন: দ্য ডে’ দেখেছেন?
ঈদে আমার সিনেমা যদি মুক্তি না পেত, তাহলে প্রথম বা দ্বিতীয় দিন সবার আগে সিনেমা দুটি দেখে ফেলতাম। নিজের সিনেমার প্রচারে বিভিন্ন হলে যেতে হচ্ছে। এসব কাজ গুছিয়ে এনে ছবি দুটি দেখার পরিকল্পনা আছে। কারণ, ইন্ডাস্ট্রিতে এখন খুব ভালো ভালো সিনেমা হচ্ছে, যা আমাদের সবার জন্যই ইতিবাচক দিক।
মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলো নিয়ে এ ঈদে কাদা–ছোড়াছুড়ি দেখা গেছে।
করোনাকালে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি মুখ থুবড়ে পড়েছিল। এখন অনেক ভালো সিনেমা হচ্ছে, মানুষ হলে আসছেন। এ সময় নিজেদের মধ্যে কাদা–ছোড়াছুড়ি মোটেও কাম্য নয়। আমার একটা দুঃখ, আমরা একই ইন্ডাস্ট্রির মানুষ একই ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতা–অভিনেত্রী, তবু একজন আরেকজনকে কটাক্ষ করে কীভাবে কথা বলি। যিনি অন্যকে কটাক্ষ করছেন, সেটা করে যে তিনি বড় হচ্ছেন, তা কিন্তু নয়। দর্শক তাঁকেও ছোট করছেন। কেউ কোনো দিক থেকে বড় হচ্ছেন না। তা ছাড়া তিনটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, এখন যদি তাঁর সিনেমা সফল হয়, তাহলে আমাদেরটাও হবে। এভাবে কাদা–ছোড়াছুড়ি উচিত নয় বলে আমি মনে করি। আমরা সিনেমা বানিয়েছি, তিনিও সিনেমা বানিয়েছেন। আমরা একে অপরকে উৎসাহ দেব, শুভকামনা জানাব। এভাবে একে অপরের পাশে দাঁড়ালে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি অনেক দূর এগিয়ে যাবে।