ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পেয়েছে ‘সংসার আনলিমিটেড’। আবু হায়াত মাহমুদ পরিচালিত চরকি ফ্লিকে অভিনয় করেছেন ইরেশ যাকের। এটিসহ অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তাঁর সঙ্গে
সংসার কেমন চলছে?
ভালোই তো চলছে। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বেশ ভালো আছি।
‘সংসার আনলিমিটেড’–এর কথা বলছিলাম...
আমাকে তো ভালো–মন্দ কেউ কিছু বলে না। সত্যি কথা বলতে, আমাকে কেউ কখনো কোনো ফিডব্যাক দেয় না। এটা অদ্ভুত একটা বিষয়।
কেন কিছু বলে না বলে মনে করেন?
আমার সঙ্গে মানুষের তো যোগাযোগ একটু কম। বাকি কোনো কারণ জানি না, তবে আমার সঙ্গে যারাই কাজ করে, তাদের নিয়ে অনেক কথাটথা বলে। কিন্তু আমাকে দেখি কেউ কিছু বলে না। অভিনয়ের শুরুতে যা–ও একটু পেতাম, এখন পাই না। যখন নিয়মিত কাজ করতাম, সবার সঙ্গে দেখা হতো। ভালো–মন্দ বলত। ফোনেও বলত। এখন যেহেতু কাজ কম করি, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগও কম। তবে ওভারঅল রিভিউ ভালো শুনেছি।
আপনি নিজে কি দেখেছেন?
আমি দেখেছি। কিন্তু আমার কাজ নিয়ে বিচার করাটা আমার জন্য ডিফিকাল্ট। তবে আমি রিসেন্টলি কী দেখলাম, সেটা নিয়ে কথা বলতে পারব। যেমনটা ‘হাওয়া’ ছবি দেখে ভালো লেগেছে। আমি দেখেছি, আমাদের কাজগুলো নিয়ে স্পেশালি আর্টিস্ট কমিউনিটিতে কথা হয়। ভালো–খারাপ এসব মন্তব্য তাঁদের কাছ থেকেই আসে।
কিন্তু আর্টিস্ট কমিউনিটিতে আপনার তো যোগাযোগ আছে?
আছে, কিন্তু ওই রকমভাবে নেই। আমি সোশ্যাল মিডিয়ায়ও অতটা অ্যাকটিভ না। তাহলে হয়তো পোস্ট দিলে মানুষ জানত। জেনুইনলি এমন হতে পারে, আমার কাজ কারও ভালো লাগেনি। কেউ তো ফোন করে বলে না যে তোমার কাজ ভালো বা খারাপ হয়েছে।
পরিবার কী বলে?
মা তো বরাবরই পছন্দ করে। মিমের (ইরেশের স্ত্রী মিম রশিদ) এখনো দেখা হয়নি। মা সবই দেখে। অভিনয় খুব ভালো লেগেছে বলেছে। আমার বোন বিদেশে চলে গেছে, নানি মারা গেছে কয়েক দিন আগে তো—সবকিছু মিলে একটা অন্য রকম অবস্থার মধ্যে মা আছেন।
আপনার কাজ কম করার কারণ কী?
কাজ করতে হলে অনেক সময় বের করতে হয়। কিন্তু আমাকে তো কেউ কাজেও নেয় না।
কিন্তু অনেকের তো অভিযোগ, আপনাকে পাওয়াই যায় না?
এটা একটা মিথ। আমার মনে হয় কি, সত্যি কথা বলতে, আপনি যার সঙ্গে প্রেম করতে চান, সে আপনার সঙ্গে প্রেম করতে চায় না। আর যে আপনার সঙ্গে প্রেম করতে চায়, আপনি তার সঙ্গে করতে চান না—বিষয়টা এ রকম আরকি। আমার জন্য এটাও সত্যি, তিন বছরের কন্যাসন্তানের বাবা ফুলটাইম হওয়া, ফুলটাইম বিজনেসে কাজ করা খুব ডিফিকাল্ট। পাশাপাশি আমার ফটোগ্রাফি ও লেখালেখিতে শখ আছে। ওগুলো ঠিক আছে, কিন্তু কম–বেশি করলাম না হয়। অভিনয় করাটা কষ্টসাধ্য কিন্তু এটা অসম্ভব না। গত বছর কিন্তু আমি ব্যাক টু ব্যাক গুণীন ও বলি দুটোই করেছি। টানা পাঁচ সপ্তাহ শুটিং করছি। ইট ওয়াজ টাফ, বাচ্চাকে রেখে শুটিং। বাট ইফ ইজ ওয়ার্থ ইট, আই ইউল ডু ইট। অতটা অভিনয়, খুব যে অফার পাচ্ছি সে রকমও কিছু না। অনেকে এমনও মনে করে, আমাকে পাওয়া যাবে না। কাজ যদি ভালো লাগে যেভাবে হোক সময় বের করব। এটা ঠিক, আমি যদি কোনো কাজ করি, এটা সিনসিয়ারলি করি। আমার কারণে কোনো কাজ ফাঁসছে, কাজ খারাপ হয়েছে বা কোনো অ্যাফোর্ট দিইনি—এটা কেউ বলতে পারবে না।
ওটির জন্য নতুন কাজ করছেন কি?
‘কাজলরেখা’ চলচ্চিত্রের কাজই তো শেষ হচ্ছে না।
অনেক দিন ধরেই তো এই ছবির কাজ করছেন?
সেই এপ্রিল থেকে শুটিং করছি। ৩১ আগস্ট আবার যাব খুলনায় শুটিং করতে যাব। আগামী মাসের শেষে আবার নেত্রকোনায় যাব। প্রতি মাসে ৪–৫ দিন করে শুটিং হচ্ছে।