সৃষ্টিশীল বা সফল তরুণদের গল্প নিয়ে তৈরি হচ্ছে ১০ পর্বের অনুষ্ঠান ‘দ্য ইয়ুথ আনলিশড উইথ এলিটা করিম’। এটি সঞ্চালনা করেছেন সংগীতশিল্পী এলিটা করিম। আগামী আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ইএমকে সেন্টারের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘ইএমকে সেন্টার’–এ। এই অনুষ্ঠান, গানসহ নানা প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছে ‘বিনোদন’
‘দ্য ইয়ুথ আনলিশড উইথ এলিটা করিম’–এ কী থাকবে?
এটি একটি ওয়েবকাস্ট। এর ভাবনা, চিত্রনাট্য সবই আমার। উপস্থাপনাও আমি করছি। বাংলাদেশে যেসব তরুণ চেঞ্জমেকার আছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলি, গল্প করি। তাঁদের জার্নি জানার চেষ্টা করি। আপাতত এমন ১০ জনকে নিয়ে ১০টি পর্ব হচ্ছে।
এসব তরুণ কারা?
কেউ পানিদূষণ, কেউ কৃষিপ্রযুক্তি, কেউ সংগীত নিয়ে কাজ করছেন, আবার কেউ শিক্ষা নিয়ে কাজ করছেন। আমাদের সমাজে তরুণেরা অনেক কিছুরই চেঞ্জ আনছেন। আমরা তাঁদের গল্পই শোনাব। এই গল্প শোনার পর অনেকের এই কাজে আগ্রহ তৈরি হবে। এই চেঞ্জমেকারদের গল্প তরুণ দর্শক যাঁরা শুনবেন, ওই সব তরুণের কারও না কারও মধ্যে এ ধরনের কাজের ভাবনা আসতেই পারে।
ভাবনাটা এল কী করে?
কয়েক বছর আগে আমি যখন ডেইলি স্টার-এ কাজ করতাম, তখন একটা পাতা শুরু করেছিলাম ‘স্টার ইয়ুথ’। ওই পাতায় অনেক ছেলেমেয়ের ফিচার করেছিলাম, যাঁরা এ ধরনের পরিবর্তনের অংশ। যখন পত্রিকা ছেড়ে দিলাম, চেঞ্জমেকার ইয়াংদের প্রতি আগ্রহ শেষ হয়ে যায়নি। ভাবলাম আগে এই সব তরুণকে নিয়ে লিখতাম, ফিচার করতাম, এখন ভিডিও আকারে এদের নিয়ে কীভাবে ফিচার করা যায়। তখন এই আইডিয়া যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ইএমকে সেন্টারে নিয়ে গেলাম। প্রায় দুই মাস আগে প্রস্তাবটি জমা দিয়েছিলাম। এরপর চূড়ান্ত হয়। প্রথম সিজনে ১০ পর্ব হবে, প্রতি পর্বে একজন সফল তরুণের জার্নির গল্প থাকবে। প্রতি পর্ব ২০ থেকে ৪০ মিনিটের হবে।
গানের খবর কী?
সপ্তাহখানেক আগে জয় শাহরিয়ারের আজব রেকর্ডসের জন্য একটি গান করলাম। এখনো নাম ঠিক হয়নি। এর আগে বাপ্পা মজুমদারের একটি প্রজেক্টে গান করেছি। এর ভিডিও রেকর্ড হবে। এ ছাড়া সাকের রাজা, শিতম আহমেদসহ আরও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কাজ হবে। কাজগুলো মোটামুটি প্রস্তুত।
অনেক দিন আপনার গানের অ্যালবাম নেই।
২০১৫ সালে ‘এলিটা’ আর ২০১৬ সালে ‘চলো উৎসবে’ নামে দুটি অ্যালবাম বের হয়। সেগুলো ছিল সিডিতে। এখন এই ডিজিটাল যুগে গান প্রকাশের ধরন পাল্টেছে। ফলে এখন তো আর কেউ অ্যালবাম বের করছেন না। একটা একটা করে নানা প্ল্যাটফর্মে গান প্রকাশ করছেন। সেভাবেই কাজ করছি।
স্টেজেও আপনাকে কম দেখা যায়...
আমি তো গত ডিসেম্বরে ফুলব্রাইট ফেলোশিপ শেষ করে দেশে ফিরেছি। এসেই কোভিড হয়েছিল। তারপরও চলতি বছরের শুরুর কয়েক মাসে ১০-১২টি শো করেছি। আগে থেকেই সিলেকটিভ স্টেজ শো করি। সে কারণেই কাজ কম হয়।
এখন তো সিনেমার গান জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
আমি সংগীতশিল্পী। সব মাধ্যমেই আমাকে কাজ করতে হবে। সিনেমার গানেও আগ্রহ আছে। তবে সবাই তো সব ধরনের গান করতে পারেন না। আমার কণ্ঠে যায়, আমার টাইপের এমন গানে প্রস্তাব এলে অবশ্যই করব। সিনেমায় আমার খুব একটা বেশি গান করা হয়নি। প্রথম ২০১৫ সালে ‘পদ্মপাতার জল’ ছবিতে গান করি। এরপর ‘ভয়ংকর সুন্দর’ ছবিতে তাহসান ভাইয়ের সঙ্গে ডুয়েট করেছি। আর যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন আরেকটি ছবিতে গান করেছি। এখনো মুক্তি পায়নি।
একসময় নাটকে অভিনয় করতেন, আর করবেন না?
এখন করলেও ওই শখের বশেই করা হবে। নাটকে যাঁরা অভিনয় করেন, তাঁদের প্রতি আমার সম্মান আছে। কারণ, এই কাজে করতে প্রচুর খাটতে হয়। তাই এমন পরিশ্রম করে এখন আর কাজ করতে পারব কি না, জানি না। একটি চরিত্রে আমাকে যায়, যদি তেমন হয়, মজা করে করা যাবে।