শুক্রবার ছিল ঢাকাই সিনেমার নায়িকা মাহিয়া মাহির জন্মদিন। এবার জন্মদিনটি ছিল ভিন্ন, প্রথম সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে জন্মদিনের কেক কেটেছেন তিনি। জন্মদিনসহ নানা প্রসঙ্গে গতকাল তাঁর সঙ্গে কথা বলল বিনোদন
জন্মদিনটি কীভাবে কেটেছে?
এবার একটু ভিন্নভাবেই শুরু হয়েছিল জন্মদিনের প্রথম প্রহরটি। রাকিবের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর এ নিয়ে তিনটি জন্মদিন গেল। প্রতিবারই আমাদের রেস্তোরাঁ ফারিস্তায় বড় আয়োজনে রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথম কেক কাটা হয়। সেখানে রাকিবের রাজনৈতিক বন্ধু, বড় ভাই, ছোট ভাই—সবাই থাকেন। কেক কাটতে গিয়ে প্রতিবার রাকিবের কাছ থেকে সারপ্রাইজ পেয়েছি। রাকিব আমার জন্য আগেই নতুন সব পোশাক-আশাক কিনে রেখেছে। যেটি আমাকে জানানো হয়নি। রেস্তোরাঁয় গিয়ে নতুন পোশাকে জন্মদিনের কেক কেটেছি। জন্মদিনের জন্য যেসব উপহার রাকিব কেনে, আমার পছন্দের সঙ্গে অদ্ভুতভাবে সবই মিলে যায়। এবার প্রথম আমার সন্তান ফারিশকে সঙ্গে নিয়ে জন্মদিনে কেক কাটলাম।
মায়ের জন্মদিনের কেক কাটার অনুষ্ঠান কেমন উপভোগ করেছে ফারিশ?
ফারিশের বয়স আট মাস পার হচ্ছে। ও তো কোনো কিছুই বোঝে না। তবে অনুষ্ঠানে ফারিশ কোনো কান্নাকাটি করেনি। সারাক্ষণ মুখে মুচকি হাসি লেগেই ছিল। আমার মতোই ও সব সময় চিল মুডে থাকে। অনুষ্ঠানটি নানা রঙের বেলুনে নাল, নীল আলোয় সাজানো হয়েছিল। মনে হয়েছে, সেসব দেখে ফারিশ বেশ ভালোই উপভোগ করেছে। এবার ফারিশের কারণে জন্মদিনটি পরিপূর্ণভাবে পালন করতে পেরেছি।
জন্মদিনে রাকিবের কাছ থেকে সেরা উপহার কী?
বলতে পারেন, জন্মদিনে সেরা উপহার রাকিব ও ফারিশ। তাদের দুজনকে পাশে নিয়ে কেক কেটেছি। এর চেয়ে সুন্দর মুহূর্ত আর কী হতে পারে।
নতুন কাজের খবর কী?
বেশ কিছু চিত্রনাট্য হাতে এসেছে। তবে গল্পগুলো হালকা মনে হয়েছে। যেহেতু আমি এখন আর সারা বছর টানা সিনেমা করব না, তাই বছরে দু-তিনটি মনে রাখার মতো কাজ করতে চাই। ওটিটির গল্প অনেক সময় বেশ সাহসী হয়। সে রকম গল্পের বেশ কয়েকটি কাজ এসেছিল। যেহেতু আমি এখন রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়েছি। আগে থেকেই আমার স্বামী রাজনীতিতে জড়িত। ইমেজের কথা ভেবে কাজগুলো চূড়ান্ত করিনি।
চলচ্চিত্রের ১২ বছর পার করছেন। কেমন লাগে?
মানুষ যখন ভালো থাকে, তখন ভবিষ্যতে কী হবে, এসব ভাবে না। ২০১২ সালে প্রথম ছবি দিয়েই আলোচনায় এসেছিলাম। এরপর দর্শকের টানা ভালো ভালো কাজ উপহার দিয়েছি। ওই সময়টা আমি ভালোভাবে উপভোগই করিনি। এখন এসে সেটি উপলব্ধি করতে পারছি। ওই সময়গুলো অনেক ভালো ছিল।
এই এক যুগে প্রাপ্তি কী?
মাহিয়া মাহি হতে পেরেছি, আমার নাম বললে সবাই চেনেন—এটাই আমার শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি। যাঁরা কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করেন, মিলিয়নিয়ার বা বিলিয়নিয়ার; তাঁদের সবাই কিন্তু চেনেন না। আমি মাঝেমধ্যে রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিভিন্ন জায়গায় যাই, মানুষ আমাকে চিনতে পারেন। এটিও চলচ্চিত্রে ১২ বছরের অবদান।
এক যুগের ক্যারিয়ারে সেরা সময় কোনটি ছিল?
এই দীর্ঘ সময়ে আমার অনেক ছবিই আলোচনায় এসেছে। তবে ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চলচ্চিত্রে সবচেয়ে দুর্দান্ত সময় গেছে আমার। ওই সময় ‘পোড়ামন’, ‘অগ্নি’, ‘অগ্নি ২’ মুক্তি পেয়েছিল। ‘পোড়ামন’ ছবির ‘জ্বলে জ্বলে জোনাকি’ গানটি বাসার ড্রয়িং রুম থেকে চায়ের দোকানে বাজতে শুনেছি। সে এক অদ্ভুত ভালো লাগার সময় গেছে।