‘চুরি করেছ আমার মনটা...’, ‘বন্দী পাখির মতো...’, ‘চুমকি চলেছে একা পথে...’, ‘পাখির বাসার মতো দুটি চোখ তোমার...’, ‘মাগো মা...’-এর মতো বহু জনপ্রিয় গানের শিল্পী মো. খুরশীদ আলম। প্রায় ৪৫০টি ছবিতে গান করেছেন। এখনো টেলিভিশন, মঞ্চসহ নানা মাধ্যমে গান করছেন। একুশে পদকপ্রাপ্ত জনপ্রিয় এই শিল্পীর ৭৮তম জন্মদিন ছিল ১ আগস্ট। প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপনে বলেছেন সংগীতজীবনের নানা গল্প।
৭৮তম জন্মদিন ছিল, কীভাবে কাটল?
শোকের মাস আগস্ট। এ কারণে জন্মদিনে কোনো আনুষ্ঠানিকতা আমার পছন্দ নয়। প্রতিবছর সাদামাটাভাবে দিনটি পালন করি। তবে এবারের জন্মদিনটা একটু ব্যতিক্রম ছিল। প্রয়াত সংগীতগুরু আজাদ রহমান প্রতিষ্ঠিত সংগীত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জন্মদিনে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে তারা কেক কাটা ছাড়াও আমার সম্মানে সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ ছাড়া আমার ফেসবুক নেই। পরিচিত বন্ধু, স্বজন, শ্রোতা ও ভক্তরা মুঠোফোনে শুভেচ্ছায় ভাসিয়েছেন। ৭৮ বছর বয়সেও সুস্থ আছি, মহান আল্লাহর প্রতি লাখো কোটি শোকরিয়া। আমার সমবয়সী বন্ধুদের অনেকেই অসুস্থ, অনেকে চলেও গেছেন পৃথিবী ছেড়ে। আমি শারীরিকভাবে সুস্থ আছি। এখনো এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে কারওয়ান বাজার কিংবা গুলশান-বনানীতে হেঁটে যাই। কোনো ক্লান্তি লাগে না। অনেক তরুণও আমার সঙ্গে হাঁটতে পারবে না।
শিল্পী হিসেবে জন্ম কতটা সার্থক?
দাদা সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। দুই চাচা ছিলেন চিকিৎসক ও শিক্ষক। তাঁদের পথ ধরে আমিও চিকিৎসক-প্রকৌশলী হতে পারতাম। শিল্পী হতে পেরেই ধন্য আমি। অন্য পেশায় গেলে হয়তো প্রচুর অর্থবিত্ত পেতাম, কিন্তু কোটি মানুষের এত ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হতাম। দুটি ঘটনার কথা বলি, একবার বাণিজ্যমেলা থেকে হেঁটে ফেরার পথে আগারগাঁওয়ে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছিলাম। ছিনতাইকারীর কোমরে অস্ত্র ছিল। পরিচয় জানার পর বললেন, ‘আপনার গানের খুব ভক্ত। দুই লাইন গেয়ে শোনান।’ এরপর ছিনতাইকারী নিজেই খানিকটা পথ এগিয়ে দিয়েছিল। একবার বগুড়ায় একটা ফাংশনে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য বেঁচে যাই। আমাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন ভক্তরা। হাজারো ভক্ত-শ্রোতা আমার জন্য দোয়া করেছেন। শিল্পীর প্রতি মানুষের এ ভালোবাসায় মুগ্ধ।
শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে?
আমার জন্ম ১৯৪৬ সালে বৃহত্তর বগুড়া (এখন জয়পুরহাট) জেলার কালাই উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামে। বাবা এ এফ তসলিম উদ্দিন আহমেদ, মা মেহেরুন্নেসা খানম। তিন ভাই, দুই বোনের মধ্যে আমি বড়। জন্মের ছয় দিনের মাথায় দাদার চাকরির সুবাদে মায়ের কোলে চড়ে ঢাকায় আসা। দাদা জসিম উদ্দিন ছিলেন ঢাকা বোর্ডের ইন্সপেক্টর অব স্কুল। পুরান ঢাকার কাজী আলাউদ্দিন রোডের নাজিরাবাজারে যৌথ পরিবারে শৈশব কেটেছে। শৈশবে পড়াশোনা নবাবপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে। সেখান থেকে ম্যাট্রিক পাস করার পর ভর্তি হই কলেজ অব মিউজিকে। এই কলেজের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলাম। এই কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাসের পর ভর্তি হই জগন্নাথ কলেজে। সেখান থেকে ১৯৭১ সালে স্নাতক পাস করি। এক চাচা ছিলেন বগুড়ার মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ। তাঁর চাকরির সুবাদেই শৈশবের কিছুদিন বগুড়ায় কেটেছে।
সংগীতে হাতেখড়ি কীভাবে?
আমার সেজ চাচা ডা. আবু হায়দার সাজেদুর রহমান ঢাকা ডেন্টাল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন। রবীন্দ্রসংগীত গাইতেন ও শেখাতেন। সংগীতের হাতেখড়ি তাঁর কাছেই। একটা বাড়িতে গার্লস স্কুল ছিল। প্রতি শুক্রবার চাচা সেখানে শেখাতেন। বিভিন্ন স্কুল থেকে ছেলেরা সেখানে আসত। স্কুল ব্রডকাস্টিং অনুষ্ঠান হতো। সেখানে রবীন্দ্রসংগীত গাইতাম। নবাবপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের গানের শিক্ষক শেখ আবুল ফজলের কাছে তালিম নিয়েছি। ১৯৬২ ও ১৯৬৩ সালে ইস্ট পাকিস্তান এডুকেশন উইকে পরপর দুইবার রবীন্দ্রসংগীত ও আধুনিক গানে পুরো পূর্ব পাকিস্তানে প্রথম ও পল্লিগীতিতে দ্বিতীয় হই। ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত নাজিমউদ্দিন রোডের রেডিওতে রবীন্দ্রসংগীত গাইতাম। ১৯৬৫ সালে আইয়ুব খান রবীন্দ্রসংগীত ‘নিষিদ্ধ’ করলেন। ১৯৬৬ সালে কণ্ঠশিল্পী খন্দকার ফারুক আহমেদের কাছে সাতটি আধুনিক গান শিখে বেতারে অডিশন দিলাম। বিচারক ছিলেন আবদুল আহাদ, ফেরদৌসী রহমান ও সমর দাস। গান গাওয়ার পর সমর দাস বললেন, ‘তুমি একজনের গান নকল করো। ভালো শিল্পী হতে পারবে না। লক্ষ্মীবাজারে থাকি, সকালে চলে এসো। গান শেখাব।’ সুরকার, গীতিকার ও উচ্চাঙ্গসংগীতের ওস্তাদ আজাদ রহমান কলেজ অব মিউজিকের শিক্ষক বারীণ মজুমদার, জাহেদুর রহিমের কাছে গান শিখেছি। ১৯৬৬ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত ছায়ানটে গান করতাম।
বেতারে গান দিয়ে সংগীত শুরু হলো?
বাংলাদেশ বেতারে প্রথম গান করলাম ১৯৬৭ সালে। বাণিজ্যিক কার্যক্রমে। আজাদ রহমানের সুরে দুটি গান রেকর্ড হয়েছিল। গীতিকার জেবুন্নেসা জামালের কথায় ‘চঞ্চল দুনয়নে বলো না কী খুঁজছ?/ চম্পা না করবী না পলাশের গুচ্ছ...’ এবং কবি সিরাজুল ইসলামের কথায় ‘তোমার দুহাত ছুঁয়ে শপথ নিলাম/ থাকব তোমারই আমি কথা দিলাম...’। গানটি পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে ডিস্ক করে আনে এইচএমভির। ডিস্ক বিক্রিতে সেটি পুরো পাকিস্তানে সপ্তম স্থানে ছিল। প্রথম গানে ২০ টাকা সম্মানী পেয়েছিলাম। এরপর বেতারে প্রায় দুই হাজার আধুনিক ও দেশের গান করেছি। বেতারে প্রচারিত গানের মধ্যে আজাদ রহমানের সুরে ‘যে সাগর দেখে তৃপ্ত দুচোখ মুগ্ধ তোমার মন...’সহ অনেক গান জনপ্রিয় হয়েছে।
চলচ্চিত্রের গানের শুরুর গল্পটা বলুন?
১৯৬৯ সালে নির্মিত বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘আগন্তুক’ ছবির সংগীত পরিচালক ছিলেন আজাদ রহমান। প্রযোজক ছিলেন ইফতেখারুল আলম। নায়ক রাজ্জাকের লিপে একটা একক গান গাওয়ার প্রস্তাব দিলেন আজাদ রহমান। বাংলামোটরে একটি বাড়িতে গানের রিহার্সাল দিলাম। ফার্মগেটে স্টুডিওতে রেকর্ডিং করতে গেলে প্রযোজক বললেন, ‘এই ছেলেকে দিয়ে গান গাওয়ালে ছবি সুপার ফ্লপ হবে। অন্য শিল্পী নেন।’ তখন আজাদ রহমান বললেন, ‘খুরশীদকে বাদ দিতে হলে আমাকেও বাদ দিতে হবে।’ আজাদ রহমান নাছোড়বান্দা। আমাকে দিয়ে গান গাওয়ানোর সিদ্ধান্তে অটল থাকলেন। নায়ক রাজ্জাক একদিন তাঁর বাসায় ডাকলেন। তিনি বাসায় স্ত্রী, ড্রাইভারসহ বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কীভাবে কথা বলেন, কীভাবে রেগে যান, কেমন করে হাসেন, রোমান্টিক হলে কেমন করে কথা বলেন, আমাকে অনুসরণ করতে বললেন। সপ্তাহখানেক পর ‘বন্দী পাখির মতো মনটা কেঁদে মরে...’ গান রেকর্ডিং হলো। ছবি মুক্তির পর এ গান ব্যাপক সুপারহিট হলো। গানটি হিট করলে ১০০ টাকা সম্মানী দেওয়ার কথা ছিল, হিট না করলে কোনো পয়সা দেবে না। গান হিট হওয়ায় ১০০ টাকা সম্মানী পেয়েছিলাম। দ্বিতীয় গান ছিল এহতেশাম পরিচালিত ১৯৭০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পীচ ঢালা পথ’ ছবিতে। আহমদ জামান চৌধুরীর লেখা ও রবিন ঘোষের সুরে ‘পাগল পাগল দুনিয়ায় মানুষ চেনা দায়...’। তৃতীয় গান ‘সাধারণ মেয়ে’ ছবিতে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা ও সত্য সাহার সুরে জাফর ইকবালের লিপে ‘ডিম মারো ডিম মারো...’। এরপর গাইলাম সত্য সাহার সুরে ‘শাপমুক্তি’, ‘সমাধি’, ‘গড়মিল’, ‘মানুষের মন’, আজাদ রহমানের সুরে ‘মতিমহল’, ‘রাতের পরে দিন’, ‘অনন্ত প্রেম’, আলম খানের সুরে ‘মিন্টু আমার নাম’ ছবিতে ‘আজকে না হয় ভালোবাসো আর কোনো দিন নয়...’, ‘দোস্ত-দুশমন’ ছবিতে ‘চুমকি চলেছে একা পথে...’সহ প্রায় ৪৫০টি ছবিতে গাইলাম। আলী হোসেনের সুরে ‘অশ্রু দিয়ে লেখা’ ছবিতে মোহাম্মদ মনিরুজ্জমানের লেখা ‘ও দুটি নয়নে স্বপনে চয়নে নিজেরে যে ভুলে যায়...’, ‘ওয়াদা’ ছবিতে সুবল দাসের সুরে ও মাসুদ করিমের লেখা ‘যদি বউ সাজো গো, আরও সুন্দর লাগবে গো...’ এখনো মানুষের মুখে মুখে।
কত ছবিতে গান গেয়েছেন?
প্রায় ৪৫০টি ছবিতে ৩ হাজারের মতো গান গেয়েছি। প্রথম ছবি ছিল নায়ক রাজ্জাকের লিপে ১৯৬৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘আগন্তুক’। বেশি গান গেয়েছি নায়ক রাজ্জাকের লিপেই। এ ছাড়া ওয়াসিম, জাভেদ, মাহমুদ কলি, আলমগীর, জাফর ইকবাল, ইলিয়াস কাঞ্চন, সোহেল রানা, বুলবুল আহম্মেদসহ প্রায় সব নায়কের লিপেই গান করেছি। ছায়াছবিতে শেষ গান করেছি ২০১৬ সালে নায়ক রাজ্জাক পরিচালিত ‘কোটি টাকার ফকির’ ছবিতে। ১৯৭৪ সালে ইবনে মিজান পরিচালিত ‘জিঘাংসা’ ছবিতে প্রথমবারের মতো করেছিলাম পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরা রুনা লায়লার সঙ্গে। ‘পাখির বাসার মতো দুটি চোখ তোমার, ঠিক যেন নাটোরের বনলতা সেন...’ গানটির গীতিকার ছিলেন দেওয়ান নজরুল এবং সুরকার মনসুর আহমদ। আজাদ রহমান, সত্য সাহা, মনসুর আহমেদ, খন্দকার নুরুল আলম, সমর দাস, সুবল দাস, দেবু ভট্টাচার্য, আনোয়ার পারভেজ, শেখ সাদী খান, আলম খান, আলী হোসেন, রফিকুজ্জামান, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, কে জি মোস্তফা, আজিজুর রহমান, দেওয়ান নজরুল, আবদুল আহাদ, আবদুল লতিফ, ধীর আলী, রাজা হোসেন খানের মতো প্রথিতযশা গীতিকার ও সুরকারের গান করেছি। তবে আফসোসও আছে। খান আতা ও আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের সুরে কোনো গান গাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি আমার।
দীর্ঘ সংগীতজীবনে অতৃপ্তি আছে?
১৯৭৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রহিম নেওয়াজ পরিচালিত ‘আপনজন’ ছবিতে রাজ্জাক-সুজাতার লিপে ‘স্লামালেকুম, কেন এত দেরি হলো...’ গানটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল। এ ছবিতে নায়ক রাজ্জাক ও গানটির সুরকার আলী হোসেন শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পেয়েছিলেন। না পাওয়ার বেদনায় কখনো আফসোস করিনি, হোঁচটও খাইনি। আমার গাওয়া গানের তুমুল জনপ্রিয়তার কারণে অনেক ছবি সুপারহিট ব্যবসা করেছে। পুরস্কারও জিতেছে। ছবি সুপারহিট হওয়ায় অনেকেই গাড়ি-বাড়ি করেছেন। আমার টাকাপয়সা, বাড়ি-গাড়ি কিছুই হয়নি। তাতে আফসোসও নেই।
নকল সুর ও অশ্লীল কথার গানও করেছেন। কেন?
আমার গাওয়া অনেক জনপ্রিয় গান আছে। তবে ‘নরমগরম’ ছবির ‘আকাশ থেকে পড়ল যেন তালগাছের এক খাম্বা...’-এর মতো চটুল গানও করতে হয়েছে। কারণ, বেছে বেছে গান করিনি। সব গীতিকার ও সুরকারকে শ্রদ্ধা করতাম। কেউ গানে চাইলে ‘না’ করতে পারিনি। তা ছাড়া গান গাওয়ার উপার্জনে সংসার চলত। অর্থনৈতিক বিষয়ও ছিল। তবে চটুল গানে কখনো মন থেকে সায় ছিল না। ফেরদৌসী রহমানের সঙ্গে একটি ছবিতে গান করার কথা ছিল। তবে ‘অশ্লীল’ শব্দ থাকায় দুইবার চেষ্টা করেও গানটি গাইতে পারিনি। সেই ছবির সুরকার ছিলেন রাজা হোসেন ও সুজেয় শ্যাম। ফেরদৌসী আপা বললেন, ‘আমার সামনে এই লিরিকস খুরশীদ গাইতে পারবে না। সাবিনা ইয়াসমীনকে নিয়ে আসো।’ পরে সাবিনা আমার সঙ্গে গেয়েছেন। সুবল দাস একদিন ডাকলেন। কামাল আহমেদ পরিচালিত ‘লালু ভুলু’ ছবির ছয়টি গানই করতে হবে। সেখানে ছবির প্রযোজকও ছিলেন। বললাম, ‘একই কাহিনি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানে ছবি হয়েছে। একই সুরে গান হয়েছে। নকল সুরে গান গাইতে পারব না। বিবেকে বাঁধবে, অন্য কাউকে নিন।’ প্রযোজক বললেন, ‘আপনি গেয়ে পয়সা নেবেন। ছবি ফ্লপ হলে আমাদের হবে।’ সুবলদার জেদে শেষ পর্যন্ত রাজি হলাম। একই ঘটনা ঘটেছিল ইবনে মিজান পরিচালিত ‘একমুঠো ভাত’ ছবির গানেও।
‘মা’কে নিয়ে অনেক জনপ্রিয় গান করেছেন...
মাকে নিয়ে ৫০টি গান করেছি। সব কটিই জনপ্রিয়। সত্য সাহার সুরে দিলীপ বিশ্বাস পরিচালিত ‘সমাধি’ ছবিতে গাওয়া ‘মা গো মা আমারে বানাইলি তুই দিওয়ানা...’ গানটির কারণে ছবিটি সুপারহিট ব্যবসা করেছিল। গানের গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার। আরেকটি বিখ্যাত গান ‘মতিমহল’ ছবিতে আহমদ জামান চৌধুরীর লেখা ও আজাদ রহমানের সুরে, ‘মাগো তোর চরণতলে বেহেশত আমার...’। সুবলদার সুর ও মাসুদ করিমের লেখা মাকে নিয়ে আরেকটি জনপ্রিয় গান, ‘মা তুই বেহেশতেরই খোদার হাসি মা...’।
পুরস্কার ও স্বীকৃতির কথা বলবেন?
২০১৮ সালে একুশে পদক পেয়েছি। এ ছাড়া সংগীতের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস’-এ আজীবন সম্মাননা পেয়েছি। এ বছর ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক পেয়েছি। সিটি ব্যাংক এনএর ‘গানে গানে গুণীজন সম্মাননা’ ছাড়াও এটিএন বাংলা ও আরটিভি থেকে আজীবন সম্মাননা পেয়েছি। ২০০১ সালে ‘এই আকাশকে সাক্ষী রেখে...’ ও ‘চুরি করেছ আমার মনটা...’ নামে দুটি অ্যালবাম বের করে সঙ্গীতা ও সাউন্ডটেক। টেলিভিশনের বিভিন্ন চ্যানেলে নিয়মিত গান করছি। মঞ্চেও গাইছি।