আইশা খান
আইশা খান

শিল্পী নয়, চরিত্র আমাকে অনুপ্রাণিত করে

দীপ্ত প্লের ড্রামা সিরিজ `হৃদমাঝারে'–তে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন হালের তরুণ অভিনেত্রী আইশা খান। এ বছর আরও কয়েকটি সিনেমা ও সিরিজে পাওয়া যাবে তাঁকে। গতকাল সোমবার বিকেলে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছে ‘বিনোদন’।

প্রশ্ন

‘হৃদমাঝারে’–তে চিকিৎসকের চরিত্রে দর্শকের সামনে এলেন। সিরিজটি আপনার কেমন লেগেছে?

চিকিৎসকদের কী ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়, সেগুলোই এই সিরিজে উঠে এসেছে। আমি কাজ কম করলেও বৈচিত্র্যময় চরিত্রে কাজ করছি। চরিত্রটা খুব একটা চ্যালেঞ্জিং না হলেও গল্পটা ইউনিক। আমার ভালো লেগেছে।

‘হৃদমাঝারে’–তে চিকিৎসকের চরিত্রে আইশা খান; সিরিজটি নির্মাণ করেছেন আবু হায়াত মাহমুদ
প্রশ্ন

গত বছর আপনার সাতটার মতো কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে, এ বছরে আপনার পরিকল্পনা কী?

গুণগত মানকে প্রাধান্য দেব। গত তিন বছর যে ধরনের চরিত্রে কাজ করেছি, এ বছর তার চেয়ে ব্যতিক্রম চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছা। একটু বড় পরিসরে কাজ করতে চাই, মানে শুধু সিনেমাই নয়, ওয়েব সিনেমাও হতে পারে। আরেকটু ভালো চরিত্র, আরেকটু বেশি সময় ধরে পর্দায় উপস্থিতি প্রত্যাশা করছি। আমার ধারণা, এখন আমি বেশি সময় ধরে পর্দায় উপস্থিতির চাপটা নিতে পারব।

প্রশ্ন

টিভি নাটকের বাইরে আপনার ওটিটির কনটেন্টগুলো বেশি আলোচিত হয়েছে। আপনারও কি তেমন মনে হয়?

‘কন্ট্রাক্ট’ থেকে ‘মারকিউলিস’—বেশির ভাগ ওটিটির কনটেন্টেই ভালো ভালো শিল্পীর সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছি। শতাব্দী ওয়াদুদ দাদা, ইন্তেখাব দিনার ভাইয়ার সঙ্গে কাজ করেছি। ওনারা মঞ্চ কাঁপানো অভিনেতা। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে সব সময় তাঁরা আমাকে সহযোগিতা করেছেন, অনুপ্রাণিত করেছেন। আমি এসব কাজ করে আরাম পাই। সে কারণেই হয়তো দর্শকেরও ভালো লাগে। এত বড় বড় শিল্পীর সঙ্গে পর্দায় থাকলেও দর্শকেরা আমাকে আলাদা করে মনে রাখতে পেরেছেন। এখনো কোথাও গেলে, দর্শকেরা আমাকে বলেন, ‘আপু, আপনি কাইজার–এর সাবা না? আপনার দাগ দেখেছি।’

আইশা খান
প্রশ্ন

নৃত্যশিল্পী, উপস্থাপক, মডেল থেকে অভিনয়শিল্পী; এক পরিচয় ছাপিয়ে আরেক পরিচয় তৈরি করাটা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?

আমার খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি। আমি মনে করি, আমার ৭৫ ভাগ ভাগ্য আর ২৫ ভাগ পরিশ্রম কাজে দিয়েছে। সব সময় নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। নাচ দিয়ে শুরু, এরপর শিশুশিল্পী থেকে উপস্থাপক, মডেল। যখন যেটা করেছি, মনোযোগ দিয়ে করেছি। এখন অভিনয়টা মনোযোগ দিয়ে করছি।

প্রশ্ন

কাকে অনুসরণ করেন? দেশে ও দেশের বাইরে কী ধরনের কাজ আপনি দেখেন?

আমি সেভাবে কাউকে অনুসরণ করি না। কোনো শিল্পী নয়, চরিত্র আমাকে অনুপ্রাণিত করে। যেমন ‘জোকার’, ‘ওপেনহেইমার’–এর মতো চরিত্র আমাকে অনুপ্রাণিত করে। নতুন কোনো কনটেন্ট এলেই দেখে ফেলি। দেশের বাইরে দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা দেখি। নেটফ্লিক্সে `হাই নান্না', `আন্নাপুরানি' দেখলাম। `হাই নান্না' সিনেমাটি ভালো লেগেছে। দেশের সিনেমার মধ্যে `সুড়ঙ্গ', `মুজিব: একটি জাতির রূপকার' দেখেছি। মানুষ দেখতে চেয়েছিলাম, তবে দেখা হয়নি; এর আগেই ছবিটি হল থেকে নামানো হয়েছে।

আইশা খান
প্রশ্ন

অভিনয়শিল্পী হিসেবে আপনার স্বপ্ন কী?

বাইরের চলচ্চিত্র উৎসবে যে ধরনের সিনেমা প্রদর্শিত হয়, সে ধরনের সিনেমায় কাজ করা ইচ্ছা আছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আমার একটি কাজ বাইরের উৎসবে গিয়েছিল, তবে আমি বলছি কান, বুসানের মতো উৎসবের কথা।

আইশা খান
প্রশ্ন

সামনে আপনার কী কাজ আসছে?

গত বছর শেষের দিকে নির্মাতা বিপ্লব হায়দার ভাইয়ার `ভয়াল' নামে একটি ওয়েব সিনেমা করেছি। এতে আমাকে ও ইরফান সাজ্জাদ ভাইয়াকে দর্শকেরা নতুনভাবে দেখতে পাবেন। জাহিদ প্রীতম ভাইয়ার `বুকপকেটের গল্প' নামে আরেকটি ওয়েব ফিকশনেও কাজ করছি। এটি ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পাবে।