দেশের নানা শ্রেণি–পেশার মানুষের সঙ্গে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী সাবিলা নূরও। এ প্রসঙ্গের পাশাপাশি কাজ ও নানা বিষয় নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মুঠোফোনে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেত্রী।
শুরু থেকেই বন্যার্তদের জন্য কাজ করছেন...
সাবিলা নূর : এবারের বন্যার পরিস্থিতি ভয়াবহ। আক্রান্ত অঞ্চলের মানুষের অবস্থা দেখে নিজের কাছে খারাপ লেগেছে। বসে থাকতে পারিনি। এ জন্য শুরুর দিকে বিভিন্ন টিমের মাধ্যমে অর্থসহায়তা দিয়ে সহযোগিতার চেষ্টা করেছি। আমার এক স্কুল বান্ধবীর একটি সংস্থা আছে। তারা নানা সময় মানুষের জন্য কাজ করে। এবারও বন্যার্তদের জন্য কাজ করছে। পরে আমি তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করছি। সংস্থাটি থেকে গত বুধবার ১ হাজার ২০০ পরিবারের খাবার নিয়ে একটি দল কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুরে গেছে। আরও পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ ছাড়া বন্যাপরবর্তী সময়েও কাজের পরিকল্পনা করছি।
সেটি কেমন?
সাবিলা নূর : বন্যায় ঘরবাড়ি, গবাদিপশু, জমির ফসল বানের জলে ভেসে গেছে। বন্যার পানি সরে গেলে মানুষের বাসস্থানের দরকার হবে। তা ছাড়া মানুষের নানা ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে। খাবারের অভাব দেখা দিতে পারে; বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমরা পরিকল্পনা করছি। কিছু কিছু জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পুনর্নির্মাণ করে দিতে চাই। নতুন করে ওই সব অঞ্চলে খাবার লাগবে, সেটিও ব্যবস্থা করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।
শুটিংয়ে ফিরেছেন?
সাবিলা নূর : এখনো কাজ শুরু করিনি। শেষ শুটিং করেছিলাম ঈদুল আজহার আগে মাশিকুল আলমের ‘অর্ধাঙ্গিনী’ নাটকের। প্রায় আড়াই মাস কোনো কাজ করিনি।
কেন?
সাবিলা নূর : এই সময়ের মধ্যে খুব একটা ভালো চিত্রনাট্য হাতে আসেনি। দুটি চিত্রনাট্য পছন্দ হয়েছিল। সেগুলো নিয়ে কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। মাঝখানে নানা কারণে কাজ করা হয়নি। এখনো পুরোদমে কাজ শুরু হয়নি। ভালো গল্পের দুটি চিত্রনাট্য হাতে আছে। কথাবার্তা চলছে। কবে শুটিং শুরু করতে পারব, এখনই বলা যাচ্ছে না। আমি তো কয়েক বছর ধরেই বেছে কাজ করছি।
ঈদুল আজহায় হইচইয়ে মুক্তি পাওয়া ‘গোলাম মামুন’ সিরিজটিতে কেমন সাড়া পেয়েছিলেন?
সাবিলা নূর : দর্শক দারুণভাবে সিরিজটি পছন্দ করেছেন। অনেকে বলেন, আমি কেন ওটিটিতে কম কাজ করি, এর উত্তর এই সিরিজ। কারণ, এখানে আমাকে দর্শক নতুনভাবে পেয়েছেন। এই সিরিজে আমার বিপরীতে ছিলেন অপূর্ব ভাই। তিনিও দর্শকদের পছন্দের অভিনেতা। তা ছাড়া পরিচালক শিহাব শাহীনের কাজে দর্শকের একটা আলাদা আগ্রহ থাকে। তাঁর কাজে একটা জাদু থাকে সব সময়; সেটিও দর্শক উপভোগ করেছেন। তবে সিরিজটি দর্শকের এত আগ্রহ তৈরি করবে, ভাবিনি। এটি আমার জন্য আশীর্বাদ।
সিরিজটির দ্বিতীয় কিস্তি নাকি তৈরি হবে?
সাবিলা নূর : যেখানে গিয়ে সিরিজটি শেষ হয়েছে, গোলাম মামুন ও রাহির প্রতি দর্শকের আরও আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকে সিরিজটির সিকুয়েল দেখতে চেয়েছেন। শুনেছি, পরিচালক বিষয়টি ভাবছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো জানতে পারিনি। তাঁর আগে নতুন একটি ওয়েব ফিল্মের কাজ হওয়ার কথা আছে।
ওয়েব ফিল্মের কাজ কবে শুরু করবেন?
সাবিলা নূর : ওটিটির কাজ তো টিমওয়ার্ক। সময় নিয়ে করতে হয়। প্রস্তুতির একটা ব্যাপার থাকে। চিত্রনাট্যটি পড়েছি, বেশ ইন্টারেস্টিং। বাকি শিল্পীদের নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বলতে পারেন, কাজটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে।
বলেছিলেন, চলতি বছরই বড় পর্দায় নাম লেখাবেন...
সাবিলা নূর : একটা ছবিতে কাজের কথাবার্তা মোটামুটি চূড়ান্ত হয়ে আছে। ছবির গল্প, পরিচালক ও সহশিল্পী মিলে চলচ্চিত্রের শুরুটা আমার জন্য বড় কিছু হতে পারে। চলতি বছরের শেষে গিয়ে কাজ শুরুর কথা ছিল। কিন্তু সেটি মনে হয় হবে না। কয়েক মাস ধরে দেশের পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি।