নব্বইয়ের দশকের ব্যাপারটা ধারণ করা কঠিন ছিল: ইয়াশ রোহান

চরিত্রটির অনেকগুলো দিক আছে। দর্শকেরা দেখলে বুঝতে পারবেন, কী ধরনের চরিত্রের কথা বলছি। এই ধরনের চরিত্র আগে করা হয়নি। আমাকে এমন একটা ভূমিকায় দেখে দর্শক কিছুটা অবাক হবেন। আমি খুবই আশাবাদী চরিত্রটি নিয়ে। যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা তো ভালো বলেছেন, আমি এখনো ফোন পাচ্ছি।

এই ধরনের চরিত্রের ক্ষেত্রে অনেক চিন্তা করতে হয়। শারীরিক ও মানসিকভাবে নিজের গণ্ডি থেকে বের হয়ে অন্য জায়গায় নিজেকে নিয়ে যেতে হয়। চেষ্টা করেছি পুরোটা দেওয়ার। আমি জানি, পুরোপুরি পারিনি; আরও অনেক দূর যেতে হবে।

এটা আমার জন্য খুবই কঠিন ছিল। কারণ, আমি তো আসলে এই যুগের ছেলে, নব্বইয়ের দশকের ব্যাপারটা ধারণ করা কঠিন ছিল। এ জন্য ওই সময়ের প্রচুর নাটক, সিনেমা দেখেছি। ওই সময়ের মানুষদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা কী করতেন, কীভাবে হাঁটতেন, কী চিন্তা করতেন, জানার চেষ্টা করেছি; এরপর নিজের মতো করে যতটুকু সম্ভব করেছি।

মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। কেউ খুব ভালো বলেছেন, কারও ভালো লাগেনি। তবে পুরো ব্যাপারটা নিয়ে আমি খুশি। সত্যি বলতে, আমার সব কাজ তো দর্শকের ভালো লাগবে না। কিন্তু ভালো লাগুক না–লাগুক, মানুষ যে এটা দেখেছেন, সেটা নিয়ে আমি খুব খুশি।

সিনেমাটি ভালো, মানুষ দেখলে খুশি হব। কিন্তু ছবির ব্যাপার তো আসলে বলা যায় না। আমার কাছে যে সিনেমাটা ভালো লাগছে, যেটা নিয়ে বেশি আশাবাদী, সেটা দর্শকদের কাছে ভালো না–ও লাগতে পারে। অবশ্যই চাইব, মানুষ সিনেমাটা দেখুক।

ঈদের কাজ নিয়ে। কয়টি কাজ করেছি, তা মনে রাখিনি। তবে ঈদে বেশ কয়েকটি কাজ করেছি।

সব কাজই উপভোগ করি, নিজের সন্তুষ্টি থেকে করি।

এটা অনেক দিন থেকেই করার ইচ্ছা ছিল। ছোটবেলা থেকেই ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করি। মনে হলো, এত জায়গায় যাচ্ছি কিন্তু জায়গাগুলোর কোনো ডকুমেন্টেশন করছি না। এই ভাবনা থেকেই করা। ভবিষ্যতে এটা অবশ্যই চালু রাখব।

খুব ভালোবেসে, উপভোগ করেই কাজটা করেছি। সামনে এ ধরনের কাজ আরও করব।

ওভাবে কাউকে অনুসরণ করা হয় না। তবে আমার প্রচুর পছন্দের অভিনেতা আছেন। তাঁদের কাজ দেখি, শেখার চেষ্টা করি। এডওয়ার্ড নর্টন, নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী খুব পছন্দের।