১০ বছরের ক্যারিয়ারে অনেক টিভি নাটক করেছেন তানিয়া বৃষ্টি। এই ঈদেও তাঁকে ‘ছোবল’, ‘আইসিইউ’সহ ১০টির বেশি নাটকে দেখা যাবে। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছে ‘বিনোদন’।
শুটিংয়ে আছেন?
হ্যাঁ। আজ সকাল আহমেদের একটা নাটকের শুটিং করেছি। আমার সঙ্গে ইয়াশও (রোহান) আছে।
ঈদের কয়টি কাজ করলেন?
আলহামদুলিল্লাহ, অনেকগুলো কাজ করেছি। আমার আগে করা একটা খুবই পছন্দের কাজ ‘পিনিকেই ঝিনিক’। ওই টিমেরই আরেকটা কাজ করলাম ‘জাগায় খায় জায়গায় ব্রেক’। এটাসহ মোশাররফ করিম ভাইয়ের সঙ্গে এবারের ঈদে আমার চারটা কাজ আসবে, জোভানের সঙ্গে তিনটা। এ ছাড়া বান্নাহ (মাবরুর রশিদ) ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম কাজ করা হলো। নিলয়ের (আলমগীর) সঙ্গে আসছে দুই-তিনটা, শামীমের (হাসান সরকার) সঙ্গে আসছে তিনটা। অপূর্ব (জিয়াউল ফারুক) ভাই ও চঞ্চল (চৌধুরী) ভাইয়ের সঙ্গেও একটা করে কাজ করলাম। সব কটিই ঈদে আসবে।
ঈদের কোন কাজটি নিয়ে বেশি আশাবাদী?
পছন্দের গল্পের কথা যদি বলি, তাহলে প্রথমেই বলব ‘ছোবল’-এর কথা। এটাতে অনেক পরিশ্রম করেছি। এ ছাড়া আইসিইউ ও জাগায় খায় জায়গায় ব্রেক-এর গল্প দুটোও খুব পছন্দের। এই তিন গল্পে আমি তিন ধরনের চরিত্রে কাজ করেছি। তিনটি গল্পই আমার খুব কাছের।
‘ছোবল’ নাটকে নাকি কক্সবাজারের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন?
আমার চরিত্রটা কক্সবাজারের শুঁটকিপল্লির স্থানীয় এক মেয়ের। ওখানকার এক ছেলেকে (জোভান) আমি পছন্দ করি। তবে দুজনের মধ্যকার ভালোবাসার ব্যাপারটা কখনো প্রকাশিত হয় না। এর মধ্যে আমার জীবনে একটা ট্র্যাজেডি ঘটে, যেটার কারণে আমার জীবনে বড় একটা পরিবর্তন ঘটে। কীভাবে কী ঘটল, এসব নিয়েই গল্প।
কক্সবাজারের ভাষা নিয়ে সমস্যা হয়নি?
ভাষাটা তো আর সহজ নয়। ওখানকার ভাষার যে টোন, সেটা রাখার চেষ্টা করেছি।
ইরফান সাজ্জাদের সাহায্য নিতে পারতেন…
নিয়েছি তো। তবে এভাবে তো আসলে হয় না। এটার জন্য অনেক দিনের চর্চা দরকার।
নাটক নির্বাচনে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখেন?
গল্প পছন্দ হতে হবে, এরপর পরিচালক। অনেক সময় গল্প ভালো, তবে পরিচালক ভালো না হলে নির্মাণটা ভালো হয় না। যতই পরিশ্রম করি না কেন, কাজটা কাঙ্ক্ষিত জায়গায় যায় না। এরপর সহশিল্পীর কথা ভাবি। এই তিন বিষয় মাথায় রেখে কাজ করছি।
অভিনয়জীবনে আপনার সবচেয়ে পছন্দের কাজ কোনটি?
প্রথমেই বলব ‘পিনিকেই ঝিনিক’-এর কথা। এই কাজে আমি নিজেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছি, তাই কাজটা খুব কাছের। এটা মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে করা। মোশাররফ ভাই এত ভালো অভিনয় করেন, ওনার সামনে কেউ দাঁড়াতে পারে না। তবু এই প্রথম একটা কাজ নিয়ে মানুষ আমাকে আলাদাভাবে চিনেছিল। মানুষ জেনেছে, এই মেয়েটা বৈচিত্র্যময় চরিত্র করতে পারে। কাজটি করার সময় আমি যখন মেকআপ নিয়ে বের হয়েছিলাম, তখন মানুষ আমাকে চিনতেই পারেনি। এমনকি মোশাররফ ভাইও আমাকে চিনতে পারেননি।
এক দশকের অভিনয়জীবনে আপনার প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি কী?
এতটুকুই বলতে পারি, জীবনে আমি যে ক্যারিয়ার চাইছিলাম, সেটা করতে পেরেছি। অভিনয়টা করতে পারছি, এটাই অনেক বড় প্রাপ্তি। অপ্রাপ্তি বলতে—অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে যতটুকু নম্বর দিতে চাই, এখনো সেটা আমি নিজেকে দিতে পারব না।