চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার গান ‘ফেট ফুরেদ্দে তোঁয়াল্যাই’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাড়া জাগিয়েছে। মেইড ইন চিটাগং সিনেমার জন্য আমানউল্লাহ গায়েনের লেখা আঞ্চলিক এই গানে পার্থ বড়ুয়ার সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন নিশিতা বড়ুয়া
‘ফেট ফুরেদ্দে তোঁয়াল্যাই’ তো ভাইরাল।
অনেক ভালো লাগছে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল একটা পুরোনো গানকে নতুন করে সবার সামনে নিয়ে আসা। চট্টগ্রামের অনেক বিখ্যাত গান আছে, যা দর্শকদের সামনে এখনো আসেনি। তার মধ্য ‘ফেট ফুরেদ্দে তোঁয়াল্যাই’ অন্যতম। নতুন করে গানটা যে দর্শকদের এত ভালো লাগবে, বুঝিনি। শিক্ষার্থীরা ফ্ল্যাশমব করছেন, দর্শকদের মুখে মুখে এখন এই গান। দর্শকদের কাছে গানটা যে এত দ্রুত পৌঁছে যাবে, সেটা আমরাও ভাবিনি।
এই গানের সঙ্গে যুক্ত হলেন কীভাবে?
পার্থদা প্রথমে আমাকে গানটি গাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। মেইড ইন চিটাগং ছবিতে এটি ব্যবহারের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। পরে গানটি এত ভালো কম্পোজিশন হয় যে পার্থদা সিদ্ধান্ত নিলেন, এটি মেইড ইন চিটাগংয়ে ব্যবহার করবেন।
শুনলাম, এর মধ্যে আরও কিছু প্লেব্যাক করেছেন?
কিছুদিন আগে বেলাল খানের সুরে চট্টগ্রামের আরেকটি আঞ্চলিক গানে কণ্ঠ দিয়েছি। গানটি অনুদানের ছবি জামদানিতে ব্যবহার হবে। এর আগে চট্টগ্রামের একটি আইটেম সং গেয়েছি। আরও তিন-চারটি ছবির প্লেব্যাক কমপ্লিট করা আছে। ছবিগুলো মুক্তির অপেক্ষায় আছে।
কোন ধরনের গান গাইতে ভালো লাগে, আঞ্চলিক নাকি আধুনিক?
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান গাইতে খুবই ভালো লাগে, যেহেতু আমি চট্টগ্রামের মানুষ। আর আধুনিক গানসহ সব ধরনের গান করতেও ভালো লাগে। কারণ, আমি একটা প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে এখানে এসেছি। আসলে আমি সব ধরনের গান গাইতে পারি।
ফেসবুকে দেখলাম, বাইরে গিয়েছিলেন...
হ্যাঁ, পারফর্ম করতে সুইডেনে গিয়েছিলাম। অনেক প্রস্তাব এলেও করোনার কারণে টিম নিয়ে বাইরে যাওয়া হয়নি। মিউজিশিয়ান টিম নিয়ে আমি ভারতেও গান গেয়েছি। কিন্তু ফরেন ট্যুর যদি বলি, তাহলে সুইডেনেই প্রথম। আরও কয়েকটি দেশে পারফর্ম করার কথা চলছে।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান গাইতে খুবই ভালো লাগে, যেহেতু আমি চট্টগ্রামের মানুষ। আর আধুনিক গানসহ সব ধরনের গান করতেও ভালো লাগে। কারণ, আমি একটা প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে এখানে এসেছি। আসলে আমি সব ধরনের গান গাইতে পারি
২০০৭-এর পর আর কেন অ্যালবাম নেই?
শ্রোতারা তো এখন অ্যালবাম শোনেন না, সিঙ্গেল গান বেশি শোনেন। আর তাই সিঙ্গেল গান করা। আমার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল আছে। সেখানে আমার গান আছে। আর আমি মনে করি, তিন-চারটি গান নিয়ে অ্যালবাম করলে মানুষের নজর পড়ে না। একটা একটা গান করলে সহজে মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। আমাদের উদ্দেশ্য, গানটা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
ভবিষ্যতে নতুন কী গান করছেন?
সামনে কয়েকটি গানের কথা চলছে। সবকিছু ফাইনাল হলে কণ্ঠ দেব। আর দুটি নতুন গানে কণ্ঠ দিয়েছি কিছুদিন আগে। গানের টাইটেল এখনো ঠিক করা হয়নি। গানগুলো মুক্তির অপেক্ষায় আছে।