>আজ দীপ্ত টিভিতে প্রচারিত হবে ধারাবাহিক নাটক ‘বকুলপুর’–এর ২০০তম পর্ব। এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারজানা ছবি। এ ছাড়া ২০২০ সালের প্রথম ছবি ছিল তাঁর অভিনীত ‘জয়নগরের জমিদার’। ফারজানা ছবির সঙ্গে যখন যোগাযোগ করা হলো, তখন তিনি শুটিং করছেন পুবাইলের ভাদুন গ্রামে। আলাপ হলো দুটো শটের মাঝখানে।
‘বকুলপুর’ নাটকটির ২০০তম পর্ব প্রচারিত হবে আজ, অভিনন্দন। কেমন লাগছে?
ধন্যবাদ। এই নাটক একেবারেই আমাদের শিকড়ের, আমাদের সংস্কৃতির নাটক। গ্রামীণ সমাজের মানুষের দুঃখ–সুখের গল্প। সব শ্রেণির দর্শক যেভাবে নাটকটিকে আপন করে নিয়েছেন, তা আমাকে আপ্লুত করেছে। আমরা খুব আনন্দ নিয়ে কাজটা করেছি। আর যখন সেটে নির্মাতা আর শিল্পীরা পেশাদারত্ব বজায় রেখে কাজ করেন, তখন তা অন্য সবাইকে প্রভাবিত করে। লাইটম্যান, চা–বয় থেকে শুরু করে সবার আচরণ বদলে যায়। এই নাটকের ক্ষেত্রে সেটা ঘটেছে।
কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
আমি একটা শুটিংয়ের জন্য রিকশায় চড়েছি। হঠাৎ রিকশাওয়ালা বললেন, ‘আরে আপা, আপনি মুক্তামণি না?’ শুটিং করতে প্রত্যন্ত যে গ্রামে গিয়েছি, চরে গিয়েছি—সব মানুষ আমাকে মুক্তামণি নামে চিনেছেন। যাঁরা আমার নাম জানেন না, সেই সব দর্শক আমাকে মুক্তামণি নামে ডেকেছেন। মুক্তামণি তাই ফারজানা ছবিকে ছাপিয়ে গেছে। এখানেই ‘বকুলপুর’–এর স্বার্থকতা। এখানেই একজন অভিনয়শিল্পীর স্বার্থকতা।
‘বকুলপুর’ তো ‘সুলতান সুলেমান’–এর পর প্রচারিত হয়, তা–ই না?
হ্যাঁ, তাহলেই বুঝুন, আমার প্রতিযোগিতা কার সঙ্গে। হুররম সুলতানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টিকে থাকতে হয়। তারপরেও লোকে হুররম সুলতানকে পাশে রেখে আমাকে তাঁদের হৃদয়ে জায়গা দিয়েছেন।
অভিনয়শিল্পী হিসেবে দর্শকদের প্রতি আপনার অভিমান হয়?
অনেক নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী এটা বলেন। আমার কিন্তু কোনো অভিমান নেই। আমার মনে হয়, নির্মাতা আর অভিনয়শিল্পীরা মাঝেমধ্যে আমাদের দর্শকদের বুঝতে পারেন না, ভুল বোঝেন। কিন্তু আমার পর্যবেক্ষণে দর্শক সব সময় ভালো কাজকে আপন করে নেন। অতীতেও নিয়েছেন, ভবিষ্যতেও নেবেন। আমাদের ভালো কাজ করে যেতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘জনকের মুখ’–এ আপনাকে দেখা যাবে সন্তান হারানো এক মায়ের ভূমিকায়। ব্যক্তিজীবনেও দুই সন্তানের মা, তাতে কি ক্যামেরার সামনে মা হতে সুবিধা হয়েছে?
না, সে রকম কিছু না। অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমার কাজই ক্যামেরার সামনে একেকটা চরিত্র বাস্তবসম্মতভাবে হয়ে ওঠা। সেটার সঙ্গে ব্যক্তিজীবনের কোনো সম্পর্ক নেই। অ্যাকশন আর কাটের মধ্যে আমি কখনোই ব্যক্তি আমি থাকি না। আর অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমি সব অনুভূতির ভেতর দিয়ে যেতে চাই। ক্যামেরার সামনে চিত্রনাট্য অনুসারে আমাকে যে পাত্রে রাখা হবে, সেই পাত্রের আকার ধারণ করাই আমার পেশা।