হলে গিয়ে ছবি দেখেছেন?
না, এখনো যাইনি। তবে এ সপ্তাহে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। ঈদের দিন তো কোরবানি নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এরপর দুদিন আত্মীয়স্বজনের বাসায় গিয়েছি। তাই ছবি দেখার সময় পাইনি।
যাঁরা দেখেছেন, তাঁদের কাছ থেকে কী শুনছেন?
যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা বলেছেন মোটামুটি। ফোক ঘরানার ছবি। হ্যারি পটারের যুগে এ ধরনের ছবি দেখার ব্যাপারে দর্শকের যে খুব বেশি আগ্রহ হবে, তা আমার মনে হয়নি। তবে আমার কষ্ট লাগছে যে সম্পাদনার টেবিলে অনেক কাটাকুটি করা হয়েছে। ছবিতে আমার চরিত্রের অনেক কিছুই বাদ দেওয়া হয়েছে।
সেটা কেমন?
ছবির গল্প আর চিত্রনাট্য দেখে আমি অভিনয় করতে রাজি হয়েছি। ছবির মূল চিত্রনাট্য আমার কাছে এখনো আছে। শুটিং সেভাবেই হয়েছে। কিন্তু মুক্তির কয়েক দিন আগে যখন ছবিটি দেখতে বসি, তখন শুটিংয়ের সঙ্গে পর্দার অনেক কিছুই মেলাতে পারছিলাম না। মনে হয়েছে, সম্পাদনার সময় আমার চরিত্রের চার ভাগের তিন ভাগই ফেলে দেওয়া হয়েছে। একজন শিল্পীর জন্য তা খুবই অপমানজনক। আমার চরিত্রকে খুবই সাধারণ করা হয়েছে। পর্দায় যাঁরা ছবিটি দেখবেন, তাঁরা আমার চরিত্রটি দেখে হতাশ হবেন। তারপরও ‘সোনাবন্ধু’র জন্য আমার শুভকামনা রইল।
এবার কোথায় ঈদ করেছেন?
ঢাকায়। বছরের দুটি ঈদ আমি দাদার বাড়ি খুলনায় করি। বছর তিনেক পর এবার ঢাকায় ঈদ করেছি। কারণ, এবার আমার অভিনীত ছবি ঈদে মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির আগে ও পরে ছবির প্রচার নিয়ে বিভিন্ন চ্যানেলে গিয়েছি।
কোরবানি দিয়েছেন?
হ্যাঁ। ১৯৯৭ সাল থেকে আমি কোরবানি দিই। এবার খুলনায় কোরবানি দিয়েছি। আর বাবা-মা ঢাকায় দিয়েছেন। ঈদের দিন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মাংস ভাগ করে দিয়েছি। এতিমখানায়ও পাঠিয়েছি। এ ধরনের কাজ নিজের কাছে খুব শান্তি লাগে।
এবার ঈদে ‘রংবাজ’ আর ‘অহংকার’ মুক্তি পেয়েছে। ছবি দুটি প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখবেন?
হলে বসে ছবি দেখার মজাই আলাদা। ‘রংবাজ’ আর ‘অহংকার’ দেখার ইচ্ছা আছে। সময় ও সুযোগ পেলে অবশ্যই দেখব। তবে ‘সোনাবন্ধু’ আগে দেখব।