>সব কটি টেলিভিশন চ্যানেল মিলিয়ে এবারের ঈদে শতাধিক নাটক প্রচারিত হবে। একক ও ধারাবাহিক নাটক নিয়ে বিভিন্ন চ্যানেলের পর্দায় থাকছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। ঈদে প্রচারিত নাটকগুলো ও ঈদ পরিকল্পনা, ‘শনিবার বিকেল’ বা ‘স্যাটারডে আফটারনুন’ ছবিটি নিয়ে সোমবার দুপুরে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
আপনার অভিনীত কতটি নাটক এবারের ঈদে প্রচারিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে?
ধারাবাহিক ও এক ঘণ্টার নাটক মিলিয়ে ১২টি নাটক প্রচারিত হতে পারে। এর মধ্যে মাসুদ সেজান, সাগর জাহান ও আবু হায়াত মামুদের সাত পর্বের নাটক প্রচারিত হবে।
ঈদে সাধারণত হাস্যরস ও প্রেমের নাটকের ছড়াছড়ি থাকে। আপনার অভিনীত নাটকের বিষয়বস্তুও তাই?
ঠিকই বলেছেন, ঈদে হাসির ও প্রেমের নাটকই বেশি দেখা যায়। কিছু সিরিয়াস গল্পের নাটকও কিন্তু থাকে। বরাবরই ঈদে আমি সব ধরনের গল্পে কাজ করতে আগ্রহী। আমার নিজের চাওয়া, দর্শকেরা আমাকে সিরিয়াস, প্রেম–ভালোবাসার এবং গল্পনির্ভর নাটকেও দেখুক। সেই ভাবনা থেকে ঈদে পাঁচমিশালি গল্পে কাজ করি। এবারও তেমনটাই ছিল।
সব কটি নাটকের মধ্যে যদি একটিকে আপনার দৃষ্টিতে সবচেয়ে ভালো লাগার নির্বাচন করতে বলি, তাহলে কোনটি বেছে নেবেন?
যেসব গল্প, পরিচালক কিংবা সহশিল্পী পছন্দ হয়েছে, সেসব নাটকেই আমি অভিনয় করেছি। কোনগুলো বেশি ভালো ছিল বুঝতে পারব ঈদের পর দর্শক প্রতিক্রিয়া পেলে। তত দিন পর্যন্ত আমাকে অপেক্ষা করতে হবে।
নিজের অভিনীত নাটকের বাইরে কার কার নাটক দেখার ইচ্ছে আছে?
এমনিতেই ঈদে আমি অনেকের কাজ দেখার চেষ্টা করি। নতুন পরিচালকের কাজ যেমন দেখি, শিল্পীদেরও দেখি। নিজের উন্নয়নের জন্য সব শিল্পীর কাজ দেখা উচিত বলে আমি মনে করি। সবাই কী ধরনের কাজ করছেন, এটা বোঝার চেষ্টাও করি।
ঈদ নিয়ে জীবনের সবচেয়ে কষ্টকর কোনো স্মৃতি আছে কি?
আমার জীবনে সবচেয়ে কষ্টের ঈদ ছিল বাবা মারা যাওয়ার পর। ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে বাবা মারা যান। পরের বছরের সেই ঈদা আমার নয়, পুরো পরিবারের জন্য ছিল ভীষণ কষ্টের। একটা বিরাট শূন্যতা। মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়েছে।
নির্মাতা স্বামী মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে ঈদে কী দিয়েছেন, তিনি আপনাকে কী দিয়েছেন?
কিছু দেওয়া হয়নি। সরয়ারও আমাকে কিছু দেয়নি। আসলে আমরা একে অপরকে এত বেশি প্রশংসা দিই, বছরের বেশির ভাগ সময়ে একে অপরকে এত বেশি উপহার দিই—বিশেষ দিনে আলাদা করে কিছু দিতে হয়, সেটা নিয়ে ভাবি না। প্রতিদিনই আমাদের ঈদ, জন্মদিন ও ভালোবাসা দিবস। (হাসি)
ঈদের সময়টা কীভাবে কাটবে?
ঈদের দিন ঢাকায় থাকছি। ৭ জুন সিডনি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০১৯–এ শনিবার বিকেল প্রদর্শিত হবে। উৎসবে অংশ নিতে আমি ও সরয়ার অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছি। সেখানে আমার দেবরও থাকে। সে হিসেবে বলতে পারি, অর্ধেক ঈদ ঢাকায়, অর্ধেক সেখানে হতে যাচ্ছে। ১৮ জুন দেশে ফিরব।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল জয় দিয়েই শুরু করেছে। এমন শুরুটাকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
শুরু যখন হয়েছে সুন্দর একটা জয় দিয়ে, আশা করব শেষটাও হবে সুন্দর জয় দিয়ে। প্রথম খেলার জয় আমাদের মধ্যে ঈদের আগে ঈদের আনন্দ বইয়ে দিয়েছে।
গত এপ্রিলে মস্কো ফিল্ম ফেস্টিভালে ‘শনিবার বিকেল’ ছবিটি নিয়ে আপনাদের অংশগ্রহণ ছিল। ছবিটি নিয়ে সেখানকার দর্শকের কেমন প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন?
মিলনায়তনের প্রতিটি দর্শক কেঁদেছেন। তাঁরা আমাদের ছবির ভীষণ প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশি যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ছবিটি দেখে গর্ব করেছেন। অন্য দেশের দর্শক যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ছবির বিষয়বস্তুর প্রশংসা করেছেন।
তিশা ও ফারুকী পরিবারের সদস্য দুই থেকে বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আছে?
সদস্যসংখ্যা তো প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সহকারী পরিচালকের সংখ্যা বাড়ছে, ওরা আমার পরিবারের মতো। যেই পরিবারের কথা বোঝাতে চেয়েছেন, ওটার জন্য দর্শক, ভক্তদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।