সুশান্ত হইনি, আমি বিজয়ী হয়েছি

ধন্যবাদ।

বেশ কয়েক বছর ধরে এই অঙ্গনের অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগ ছিল না, এখন হচ্ছে। সকাল থেকে অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অনেকের সঙ্গে দীর্ঘদিন পর কথা হলো।

বাবা বেঁচে থাকতে সব আয়োজন তিনিই করতেন। আমার ছেলের জন্মের পর আর কেক কাটিনি। আমার জন্মদিনের কেক ছেলে কেটে নিজেই খেতে শুরু করে। এবারও বাপ-ছেলে মিলে মজা করলাম। ছেলে আমার জন্য টি-শার্ট ও পিৎজা নিয়ে এসেছে। তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি।

প্রথমত, আমি ফিল্মের কাজ শুরু করতে চেয়েছিলাম। দ্বিতীয়ত, বাবা মারা যাওয়ার পর পরিবারে ক্রাইসিস শুরু হয়। সম্পত্তির জন্য পরিবারের কিছু মানুষ আমার নামে মিথ্যা গুজব রটায়। সত্য না জেনে বিনোদন অঙ্গনের কিছু মানুষ সেসব নিয়ে নেতিবাচক কথা ছড়ায়। এসব নিয়ে অভিমান করে কাজ ছেড়ে দিই।

তাঁরা ছড়াল, আমি নেশা করি। আমি যে মাদকাসক্ত নই, সেটা প্রমাণ করব কীভাবে? শুটিং সেটে গেলেই সবাই এসব নিয়ে প্রশ্ন করতেন।

এসব মিথ্যা। সম্পর্ক নিয়ে ক্রাইসিস তৈরি হতেই পারে। সে কারণে আমরা আলাদা থাকতে পারি। একে বিচ্ছেদ বলা ঠিক হবে না। এ ঘটনাগুলোই পরিচিত অনেকে উসকে দিয়েছিল।

আমার মা, স্টেপ ফাদার, সহকর্মী, বন্ধুদের আমি পরিবারের সদস্যই মনে করতাম। কিন্তু তাঁদের অনেকের আচরণে আমি ভেঙে পড়েছিলাম। মনে হতো পৃথিবীতে ভালোবাসার ভ্যালুটা কম। তখন পরিচিত মানুষের আসল চেহারা দেখতে পেয়েছি। দূরে সরে যাওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।

আমি লুজার না। কোনো অপবাদ নিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে চাই না। সুশান্তর মতো ‘নাই’ হয়ে যাব, এটা আমি ভাবিনি। আমার মানসিকতা ছিল যুদ্ধ করে ফিরে আসার। এই যুদ্ধটা আর্থিক এবং মানসিকভাবে আমার একার জন্য কঠিন ছিল। এই সময় আমার সঙ্গে ছিল আমার ছেলে। ছেলের কারণেই বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখেছি। আমি কখনো হতাশ হইনি। আমি সুশান্ত হইনি, আমি বিজয়ী হয়েছি।

অভিনয়ে ফিরে আসব, এটা চূড়ান্ত ছিল। সেই জন্য চলচ্চিত্র নিয়ে ভাবছিলাম। প্রচুর ছবি দেখতাম। ফিল্মের গল্প সংগ্রহ করতাম। বই পড়তাম।

বেশ কিছুদিন আগে জামালপুরে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছিলাম। সেই ঘটনায় দেখলাম সবাই আমার পক্ষে দাঁড়িয়েছিল। তারাই আমাকে কাজে ফিরতে উৎসাহিত করেছে। তা ছাড়া আমি এক যুগ ধরে কাজ করছি, ফিরব না কেন!

এখন নাটক ও চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় করতে চাই। বেশ কিছু একক নাটক ও ওয়েব সিরিজের কাজ আছে।