‘রুবিরন’ টেলিছবির শুটিং কবে করেছিলেন?
যত দূর মনে পড়ে, ২০১৬ সালের অক্টোবরে। এর মধ্যে অনেক কিছুই ভুলে গেছি। টেলিছবিটিতে কাজ করার প্রধান কারণ ছিল, এর গল্প আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের।
আপনি তো মাঝেমধ্যে ছোট পর্দায়ও কাজ করেন?
প্রায়ই নাটক ও টেলিছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পাই। গল্প পছন্দ হলে মাঝেমধ্যে অনুরোধে সেসব কাজ করতে হয়। সেই হিসেবে চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি নাটক ও টেলিছবিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা হয়েছে। সায়ীদ স্যারের গল্পে এবারই প্রথম কাজ করলাম।
কলকাতায় ‘নোলক’ ছবির শুটিং করছেন, পরিচালক ছাড়াই নাকি শুটিং চলছে। এ নিয়ে জটিলতাও তৈরি হয়েছে...
জটিলতা নিয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না, কারণ আমি অনেক কিছুই জানি না। তবে প্রথম ভাগের শুটিংয়ে পরিচালক হিসেবে রাশেদ রাহা ছিলেন। এবার কলকাতায় আসার পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রযোজক ও পরিচালকের জটিলতার বিষয়টি শুনছি। কলকাতায় ছবির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যাঁরা আছেন, তাঁদের আমার মতামত জানিয়েছি। যেহেতু এত দূর এসেছি, সেহেতু দায়িত্ববোধ থেকে আমার অংশের শুটিং শেষ করে ঢাকায় ফিরব। তবে পরিচালক না নিয়ে এভাবে শুটিংয়ের বিষয়টি আমার ও সানী (ওমর সানী) কারোরই ভালো লাগেনি।
আপনি তো বিজ্ঞাপনচিত্রেও কাজ করছেন। সব মিলিয়ে তাহলে ব্যস্ততা অনেক...
ব্যস্ততা আছে। কিন্তু কাজ করছি বেছে বেছে। পছন্দের কথা খেয়াল করেই কাজ হাতে নিচ্ছি। তা ছাড়া অনেক বেশি কাজ হাতে নিলে জমতে জমতে যখন শিডিউলগুলো কাছাকাছি চলে আসে, তখন একঘেয়ে লাগে। বিরতি দিয়ে কাজ করলে আনন্দ পাই, কাজের প্রতি আগ্রহও থাকে।
যে নায়কের সঙ্গে অভিনয় করার স্বপ্ন দেখেন?
একজীবনে এত নায়কের সঙ্গে অভিনয় করেছি, নতুন কোনো নায়কের সঙ্গে অভিনয়ের স্বপ্ন দেখি না।
ওমর সানীর কোন দিকটি সুযোগ পেলে বদলে দিতে চান?
সুযোগ চাই না, সানী এমনিতেই খুব খোলা মনের মানুষ। মানুষকে খুব সহজেই বিশ্বাস করে। সে শুধু স্বামী নয়, আমার খুব ভালো বন্ধুও। ওর কিছুই বদলানোর দরকার নেই।
ছেলেমেয়েদের যে উপদেশটি সব সময় দেন আপনি?
‘সত্য বল, সুপথে চল, ওরে আমার মন। সত্য সুপথ না চিনিলে, পাবিনে মানুষের দর্শন’—এই বাণী আমি সব সময় মেনে চলি। সন্তানদেরও এই শিক্ষাই দিয়েছি।