ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পেয়েছে শেষ চিঠি। সুমন ধর পরিচালিত এই ওয়েব ফিল্মের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন দীঘি। শিশুশিল্পী ইমেজ কাটিয়ে ওঠার পর মুক্তির দিক দিয়ে এটি তাঁর তৃতীয় চলচ্চিত্র। ছবিটিসহ অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।
চার দিন হয়েছে ‘শেষ চিঠি’ চরকিতে মুক্তি পেয়েছে। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
আমরা কেউই চিন্তা করিনি এতটা সাড়া পাব। বৃহস্পতিবার রাত আটটায় মুক্তি পায়। মুক্তির পর রাত ১০টা থেকে দারুণ সব প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। ফেসবুকে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন গ্রুপে লেখালেখিও হচ্ছে। আমি অভিভূত, আমি মুগ্ধ।
‘শেষ চিঠি’তে আপনি তুলি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। চরিত্রটি হয়ে ওঠার পেছনে কে বেশি সহযোগিতা করেছেন?
আমার জন্য চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলা ভীষণ কষ্টসাধ্যই ছিল। স্ক্রিনে আমাকে দেখে যাঁরাই এখন যা অ্যাপ্রিশিয়েট করেছেন, তার বিন্দুমাত্র ক্রেডিট আমি নিতে চাই না। আমার পরিচালক ও ডিওপিকে এই ক্রেডিট দিতে চাই। কারণ, তারাই আমাকে হাতে–কলমে শিখিয়েছে বলা যায়। কোনো ছাড়ই দেয়নি। একটা শট ১৫ বারও নিয়েছি। একটা দৃশ্যে এমনও হয়েছে, চার ঘণ্টা লেগে গেছে। শেষ দৃশ্যটা, যা সবাই দেখে বেশি প্রশংসা করছেন, তা মধ্যরাতে শুটিং করা। দৃশ্যটির শুটিং শেষ করতে মধ্যরাত থেকে কখন ভোর হয়ে গেছে, টেরই পাইনি। যতবার মনে হয়েছে, সুন্দরভাবে দৃশ্য ফুটিয়ে তুলতে হবে, ততবার শুটিং করেছি। আমিও কোনো কিছুতে না করিনি। তারা আমার কাছ থেকে এভাবে আদায় না করলে আজ হয়তো এতটা প্রশংসা পেতাম না।
‘শেষ চিঠি’তে আপনার সহশিল্পী ইয়াশ রোশান। তিনি আপনার সিনিয়র হলেও কেমন সহযোগিতা পেয়েছেন?
ভীষণ রকম সহযোগিতা আমাকে করেছে। কিছু কিছু জায়গায় আমি নার্ভাস হচ্ছিলাম, সেখানেও সে আমাকে সুন্দরভাবে সহযোগিতা করেছে। তা ছাড়া ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে এটা আমার প্রথম কাজ, এখানে কিছু কৌশল আছে, ইয়াশ আগে থেকেই এই মাধ্যমে কাজ করার কারণে তা জানে। আমাকে সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছে।
এই যে ১৫ বার শট নেওয়া হচ্ছে, আবার কখনো রাত থেকে ভোর হয়ে যাচ্ছে—এতে কি বিরক্ত হতেন?
মোটেই না। আমি আরও যত বেশি করে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করেছি। মাঝেমধ্যে এমনও হয়েছে, শট আমার মনঃপূত না হওয়াতে আমি বলেছি, ভাইয়া, এই শটটা আবার নেন। তবে তারা যদি আমাকে ছাড় দিত, তাহলে আমি তুলি হতে পারতাম না।
শিশুশিল্পী ইমেজ থেকে বেরিয়ে আসার পর ‘শেষ চিঠি’ আপনার তৃতীয় কাজ। এর আগে যে ছবিটা মুক্তি পেয়েছিল, সেটা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। ‘শেষ চিঠি’ মুক্তির পর কি তা পুষিয়ে দিয়েছে?
ওই ছবি মুক্তির পর আমার মেন্টালি ব্রেকডাউন হয়েছিল। এই ছবির সেটেই তা হয়েছিল। শেষ চিঠির শুটিংয়ের সময়ই মুক্তি পাওয়া দ্বিতীয় ছবিটি নিয়ে খুব সমালোচনা হয়। এক অর্থে এখন মনে হয়েছে, ওই সময় ব্রেকডাউনটা দরকার ছিল। এ কারণেই হয়তো আমার আরও ভালো অভিনয় করার তাড়না ছিল। আমার ওই সময়ে যে পরিমাণ সমালোচনা হয়েছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি এবার পেয়ে গেলাম। সামনে আরও পাওয়া বাকি আছে। এই কাজ আমার কনফিডেন্স বাড়িয়ে দিয়েছে।
নতুন কাজের খবর বলুন।
নতুন কাজের খবর আরও পরে বলতে চাই। আরও কিছু কাজের প্রস্তাব পাচ্ছি। বুঝেশুনে কাজ হাতে নিচ্ছি। সেপ্টেম্বরে তো মুজিব মুক্তি পাচ্ছে। ওই ছবি সবার সঙ্গে প্রেক্ষাগৃহে দেখার অপেক্ষায় আছি।