>জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপি করিম। সম্প্রতি পাঠ-অভিনয় করলেন ডিয়ার লায়ার মঞ্চনাটকে। প্রথমবারের মতো অভিনয় করেছেন একটি ওয়েব সিরিজেও। মঞ্চের সঙ্গে সম্পৃক্ততা, অভিনয় ও নানা বিষয় নিয়ে কথা হলো প্রথম আলোর সঙ্গে।
আপনি অনেক দিন পর মঞ্চে এলেন... কোনটাকে আসলে অনেক দিন পর বলে, সেটা আসলেই আমি বুঝি না।
বেশ বড় একটা বিরতি তো ছিল?
আসলে বিরতি না। যখন দেশের বাইরে ছিলাম, তখনো আমি এসে এসে শো করেছি। তবে মাঝখানে এ রকম একটা সময় গেছে। এরপর নাম গোত্রহীন মান্টোর মেয়েরা করেছি। ঢাকার বাইরের প্রদর্শনীগুলো করার সুযোগ হয়নি; কারণ আমি চাকরি করি। আরেকটা কারণ হলো, ওই নাটকটা এখন আর মঞ্চে নেই। সে ক্ষেত্রে আমার বিরতি কোথায়? অভিনয় না করলেও মঞ্চের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছেই। আমি ওপেন কাপল ও গ্যালিলিওর সেট করেছি। মঞ্চ শুধু অভিনয়ের বিষয় না। আমার কাছে মনে হয় সম্পৃক্ততার বিষয়। ওইভাবে বললে, মঞ্চের সঙ্গেই আছি।
‘ডিয়ার লায়ার’ নিয়ে অভিজ্ঞতা বলুন...
গতকাল (গত বৃহস্পতিবার) প্রথম প্রদর্শনী হলো। আমার কাছে মনে হয়েছে এটা নতুন একটা ধারা। পাঠও হচ্ছে, আবার অভিনয়ও হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে দর্শকেরাও বলেছেন যে এটা একটা নতুন ধরনের ফরম্যাট। প্রথম প্রদর্শনীর আগে আমি একটু ভয়ে ছিলাম কী হতে যাচ্ছে এই ভেবে। সত্যি বলতে কি, আমি একটু কনফিউজড ছিলাম দর্শকেরা কেমন করে নেবেন নাটকটি, সে বিষয়ে। তো গতকালের (বৃহস্পতিবার) দর্শকেরা প্রশংসার পাশাপাশি আমার সমালোচনাও করেছেন। এই জায়গাগুলোয় আরেকটু উন্নতি করতে হবে। আমার মনে হয় যে আমাকে আরও অনেক বেশি চর্চা করতে হবে।
আপনি ‘রক্তকরবী’ নাটকের নন্দিনী দিয়ে সবচেয়ে বেশি পরিচিত হয়েছিলেন। আবার কি দেখা যাবে?
স্বাভাবিক। রক্তকরবী বিখ্যাত নাটক। চরিত্রটি সব সময় সমসাময়িক। সেখানের এই চরিত্রটিতে স্বাভাবিকভাবেই অন্য সবকিছু থেকে আলাদা একটা মাত্রা থাকবেই। আর রক্তকরবী নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের প্রযোজনা ছিল। আমি নাটকটির ৮৪টি কি ৮৫টি শো করি। এরপর আরেকজন করতে থাকেন। আমি ১০০ তম শোর পর আর করিনি। এখন মনে হয়, রক্তকরবী বন্ধ হয়ে গেছে। এটা নিয়ে এখন কী চিন্তাভাবনা, আমি জানি না।
প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে অভিনয় করলেন...
অমিতাভের সঙ্গে কাজ করার একটা সুবিধা হলো, আরামে কাজ করা যায়। নিজের চাকরি, একটা ফার্ম আছে। এগুলোর বাইরে যখন আমি কাজ করতে যাই, তখন যে জিনিসটা বেশি প্রয়োজন, সেটা হলো কাজ করে আরাম পাওয়া। আমি সেই পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করি, যাঁরা আমার সময়ের মূল্য দেন এবং কাজের চাপটাকে বোঝেন। সবচেয়ে বড় কথা হলো, তাঁরা আমাকে বোঝেন। যাঁরা এটা বোঝেন, তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে পছন্দ করি। অমিতাভের শিল্পীর প্রতি সেই বিশ্বাস আছে। আরেকটা কারণ হলো, ওয়েব সিরিজটির চরিত্র জয়গুন বিবি। জয়গুন বিবি আমার খুব পছন্দের একটা চরিত্র। এত রকম শেড আছে এই একজন নারীর। চরিত্রটিকে খুব বেশি আমার মতো মনে হয়। আমাদের সাধারণ একজন নারীর মতো। আমরা চুপ করে থাকি, চুপ করে থাকি, একসময় যখন বচসা করি, তখন আমাদের খারাপ বলে, নয়তো আমাদের ওই স্থান থেকে বের হয়ে যেতে হয়। জয়গুন বিবি আসলে আমাদের বাংলাদেশের প্রত্যেক নারীকে কোনো না কোনোভাবে প্রতিনিধিত্ব করে।
মঞ্চের প্রিয় চরিত্র?
নন্দিনী নন্দিনী নন্দিনী।
ঘুম থেকে উঠে দেখলেন যে ১৭ বছর বয়সে ফিরে গেছেন। কী হওয়ার পরিকল্পনা?
এটা তো কঠিন প্রশ্ন...হুম হুম...ব্যক্তিগত জায়গার হলে মায়ের আরও একটু আদর্শ মেয়ে হওয়ার চেষ্টা করতাম। আর স্থাপত্যের দিকে জোর দিতাম।
মঞ্চের কোন চরিত্রটি দেখে মনে হয়েছে, এটি যদি আমি করতে পারতাম...
বিনোদিনী (শিমূল ইউসুফ অভিনীত)