জন্মদিন নিয়ে অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণের নেই কোনো আলাদা আগ্রহ। ভক্ত ও পরিচিত মানুষের কেক ও উপহার দুই দিন ধরেই আসছে বাসায়। দিনটি কাটিয়েছেন শুটিং ইউনিটে। সম্প্রতি একটি ওয়েবের কাজ শেষ করে শুরু করতে যাচ্ছেন আরেকটির শুটিং। কাজ ও ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে কথা বললেন এই অভিনেত্রী।
শুভ জন্মদিন?
ধন্যবাদ।
আশপাশে অনেক আওয়াজ। পাশ থেকে কে যেন আপনার নাম ধরে ডাকছেন। কোথায় আপনি?
দিনের আলোয় শুটিং শেষ করতে হবে তো, এ জন্য নাটকের নির্মাতা মাহমুদুর রহমান লাইট–ক্যামেরা রেডি করে ডাকছেন। নাটকে প্রমোর গানের জন্য একটি রোমান্টিক দৃশ্যে শর্ট বাকি রয়েছে।
তাহলে কি শুটিংয়েই কাটছে বিশেষ এই দিনটি?
ঠিক তাই। ‘প্রেম রোগ’ নামে একটি ভালোবাসা দিবসের নাটকের শুটিং করছি। সহশিল্পী জোভান। দিনটা আমার কাছে মোটেও বিশেষ নয়। বয়স বেড়ে যাচ্ছে, তাই মন খারাপ লাগে। ভালো লেগেছে অনেকেই ফেসবুকে, ফোনে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, ভক্ত–পরিচিতরা বাসায় উপহার ও কেক পাঠিয়েছেন। রাতে মায়ের জন্য সারপ্রাইজড উপহার কিনব—এটাই বিশেষ। প্রতিবছর জন্মদিনে মায়ের জন্য উপহার কিনি।
আমাদের তো গল্পসংকট, কাজের ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব ফেলে?
সংকট তো আছেই। আর এখন ভালোবাসা দিবসের রোমান্টিক কাজগুলো করছি। আর যতটা পারি গড়পড়তা কাজ না করে বাছবিচার করে কাজ করতে। ভালো গল্পে কাজ করে আনন্দ পাওয়া যায়।
টেলিভিশনের অনেক নিয়মিত অভিনয়শিল্পী ওয়েবে নিয়মিত, আপনার কি ইচ্ছে আছে ওয়েব মাধ্যমেই কাজ করে যাবেন?
আমি নিজেকে কোনো গণ্ডিতে আবদ্ধ করতে চাই না। আমার লক্ষ্য ভালো গল্প নির্মাতার সঙ্গে কাজ করা। যেকোনো মাধ্যমে নিয়মিত কাজ করতে আমার আপত্তি নেই।
শুটিংয়ের ফাঁকে সহকর্মীদের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি শুনতে হয় কোন কথাগুলো?
ওভাবে কারও সঙ্গে আমার তেমন খাতির নেই। মানে ব্যক্তিগত জায়গায় না, কাজের জায়গায়—যারা আমাকে এমন কথা বলতে পারেন। অনেকেই বলেন, অভিনয় ভালো হয়েছে।
শুটিংয়ে আড্ডা দেওয়া হয়?
সেই রকম আড্ডা দেওয়া হয় না। কাজের চাপে কথা বলার সুযোগ থাকে না। ফ্রি টাইম থাকলে ঘুম দিই।
ইচ্ছে হয় খুব, কিন্তু শুটিংয়ের কারণে করা হয় না?
আগে তো এত রেস্ট্রিকশন ছিল না। যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় চলে যেতাম। এখন ট্রাভেল করাকে খুবই মিস করি। ঘুরতে পারি না।
ভক্তদের সঙ্গে মজার কোনো ঘটনা আছে?
প্রায়ই ছবি তুলতে এলে ফানি ঘটনা ঘটে। একবার শপিং করতে গিয়ে অনেকের সঙ্গে ছবি তুলছিলাম। তাঁদের মধ্যে একটি ছেলে সেই ছবি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে আমাকে ট্যাগ দিয়ে লিখেছেন, শপিং উয়িথ মাই বেস্ট ফ্রেন্ড (হাসি)। পরে মনে হলো, সে যদি আমাকে সেরা বন্ধু মনে করতে পারে সমস্যা কী। আরেক ভক্ত ছবি তুলেছিলেন। তিনি ফেসবুকে সেই ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন ম্যারিড উয়িথ তাসনিয়া ফারিণ। হা হা হা।
নিজের কোন দিকটা বদলাতে চান?
আমি অনেক কিছুই বদলাতে চাই। আমার ধৈর্য অনেক কম। ধৈর্য বাড়াতে চাই। কারণ, অনিয়ম দেখলে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। এখন অনেক অনিয়মই মেনে নিই।
এ বছরই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তাসনিয়া ফারিণ, কতভাগ সত্য?
এটা আমি জানি না। কারণ, আমি তো ভবিষ্যৎ দেখতে পারি না।
শতভাগ নিশ্চিত যে কাজটা করবেন?
এ বছর অভিনয়ের পাশাপাশি অন্য একটা কিছুতে দর্শক দেখতে পারবেন। সেটা গান বা অন্য যেকোনো কিছু হতে পারে।
আবার ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন, এর আগেরবার একটি ওয়েবে কাজ করার জন্য পাবলিক বাসের যাত্রী হয়ে চরিত্রে ঢুকেছিলেন, এবার তেমন কিছু করতে হয়েছে?
এটা নিয়ে একদমই কথা বলা যাবে না। তবে এবারের চরিত্রটা আমার অনেক চেনা। আমার খুবই কাছ থেকে দেখা একটি চরিত্রে কাজ করছি। যাকে আমি দেখেছি, যার সঙ্গে আমার মিল আছে। এবার আমার অভিজ্ঞতাকেই কাজে লাগাচ্ছি। আরও একটিতে কাজ করছি সেটার জন্য সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে হয়েছে।