‘ডান্স এক্সচেঞ্জ: ফিলিপাইন আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসব ২০১৯’- এ অংশ নিতে গত ২৬ এপ্রিল ফিলিপাইনে যায় তুরঙ্গমী ডান্স থিয়েটার। ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই উৎসব চলেছে। সেখানে নৃত্য পরিবেশন, কর্মশালার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন তুরঙ্গমীর শিল্পনির্দেশক পূজা সেনগুপ্ত। সেখান থেকে ফিরে সেই অভিজ্ঞতার কথা বললেন তিনি।
কেমন হলো ফিলিপাইন ভ্রমণ?
চমৎকার। দ্বিতীয়বারের মতো ফিলিপাইন আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসবে যোগ দিতে গিয়েছিলাম। বাংলাদেশের নাচ ভীষণ পছন্দ করতে শুরু করেছেন সেখানকার মানুষজন। দেশটা সাংস্কৃতিকভাবে খুব শক্তিশালী। সেখানে প্রায় সবাই নাচ করেন। একটা রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলাম। সেখানে কর্মীরা জানালেন, উৎসবের দিন আমাদের বাংলাদেশের নাচ দেখেছেন তাঁরা। তাঁরাও নাচ করেন। আসলে দেশটার স্কুলপর্যায় থেকে নাচ বাধ্যতামূলক।
বাংলাদেশের নাচের কোন জিনিসগুলো তাঁরা পছন্দ করেছে?
বাংলাদেশের নাচের সাজ, শাড়ি আর অন্যান্য কস্টিউম তাঁদের বেশি পছন্দ। ‘কমলা সুন্দরী’ নাচে আমরা আবির ব্যবহার করেছি। সেটা তাঁরা খুব পছন্দ করেছেন। তারপর ‘আমি পুরব দেশের পুরনারী’ গানটায় আমরা মিরপুরের কাতান পরে নাচ করেছি। ফিরোজা বেগমের গাওয়া এ গানের কথাও সবাই জানতে চেয়েছে। বলেছি, তিনি বাংলা গানের একজন কিংবদন্তি শিল্পী।
কর্মশালায় কী শিখলেন, কী শেখালেন?
আমি ধামাইল নাচের একটি কর্মশালা করিয়েছি। প্রায় ১ হাজার ২০০ জন অংশ নিয়েছে। ফিলিপাইনের শিল্পীই বেশি ছিল। এটা আমার জন্য দারুণ অভিজ্ঞতা। ফিলিপাইনে ধামাইল নাচ শিখিয়েছি, ভাবতেই ভালো লাগছে। এটা যে সিলেট অঞ্চলের বউ নাচ, সেটা পড়াশোনা করার সময় আমি জানতে পারি। এ নাচ করার সময় পায়ের পাতা দেখা যাবে না। নতুন বউ এলে এই নাচটা করতে হয় তাঁকে। সব দেশের শিল্পীরা মিলে যখন একটা নাচ করেছি, তখন খুব ভালো লেগেছে।
তুরঙ্গমী থেকে কতজন গিয়েছিলেন?
দলের শিল্পনির্দেশক হিসেবে আমি, সদস্য শিল্পী সুস্মিতা লোপা আর আমার ছাত্রী লোপা অধিকারী গিয়েছি। পাঁচ দিনের উৎসব আমাদের দারুণ কেটেছে। ওলোটালিয়া দ্বীপ আর কেপিজ প্রভিন্সিয়াল পার্কে আমরা ‘কমলা সুন্দরী’ দুবার মঞ্চস্থ করেছি। কেপিজ প্রভিন্সিয়াল পার্কে তুরঙ্গমীর জনপ্রিয় প্রযোজনা ‘অনামিকা সাগরকন্যা’র অংশবিশেষ মঞ্চস্থ করেছি। ২৯ এপ্রিল আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসের দিন আমন্ত্রিত দেশগুলোর সঙ্গে ফিলিপাইন দলের প্রধানদের পরিচালনায় উৎসবের বিরাট দলটির সঙ্গে নাচ করেছি আমি। ম্যানিলায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়েছে। আমাদের এ সফরের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড ও এসএমসির ব্র্যান্ড জয়াকে ধন্যবাদ।
নতুন কোনো কাজে হাত দিয়েছেন?
হ্যাঁ, বিদেশি একটা কাজ। এখনই তা নিয়ে তেমন কিছু বলতে চাই না।