প্রেক্ষাগৃহে গতকাল শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে ‘বয়ফ্রেন্ড’ ছবিটি। পরিচালক উত্তম আকাশ। এই ছবিতে নায়িকা হয়েছেন ‘লাক্স তারকা’ সেমন্তী সৌমি। ২০১২ সালে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত দশে ছিলেন তিনি। এরপর ছোট পর্দায় একাধিক নাটক আর বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছেন। এর আগে ‘অস্তিত্ব’ ছবিতে দেখা গেছে তাঁকে। তবে বড় পর্দায় এবারই প্রথম নায়িকা হয়েছেন। এবার তিনি কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে।
প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিটি দেখেছেন?
ছবির টিমের তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তাই ইচ্ছা থাকার পরও প্রথম দিন প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিটি দেখা হলো না। নিজেকে বড় পর্দায় দেখার জন্য খুব লোভ হচ্ছে। আশা করছি, আজ শনিবার সন্ধ্যার শো দেখতে যাব। সঙ্গে আমার বাবা, মা আর বন্ধুরা থাকবেন। পয়লা বৈশাখে মধুমিতা, শ্যামলী, জোনাকি আর অভিসার হলে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে।
প্রেক্ষাগৃহ থেকে কোনো খবর পেলেন?
গতকাল সারা দিন বাসায় বসে বিভিন্ন জায়গায় ফোনে খবর নিয়েছি। কয়েকটি হলের ব্যবস্থাপকের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা ভালো খবর দিয়েছেন। আমার পরিচিত যাঁরা ছবিটি দেখেছেন, সবাই প্রশংসা করেছেন। ছবির গল্প সবার ভালো লেগেছে।
‘বয়ফ্রেন্ড’ ছবিতে সুযোগ পেলেন কীভাবে?
এই ছবির অন্যতম নায়ক আমান রেজার মাধ্যমে পরিচালকের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়। অডিশন দেওয়ার পর কাজের সুযোগ হয়। তবে কাজটি করার ইচ্ছা ছিল না। কারণ, ওই সময় বড় পর্দার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। তারপরও পরিচালকের আগ্রহের কারণে কাজটা করেছি।
প্রথম দিন শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
ভয়াবহ! শুটিংয়ের প্রথম দিনই রোমান্টিক একটি গানের দৃশ্য করতে হয়েছে। শুটিং হয়েছিল গলফ ক্লাবে। গানের মধ্যে তাসকিনকে জড়িয়ে ধরতে হবে, তাঁর বুকে মাথা রাখতে হবে। শুনেই নার্ভাস হয়ে যাই। কারণ, তাসকিনের সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল না। একজন অপরিচিত ছেলের সঙ্গে শুটিংয়ের প্রথম দিনই এ ধরনের অভিনয় করা সহজ ছিল না। প্রথম শটই অনেকবার বাতিল করতে হয়েছে।
শুটিংয়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন?
কোনো সুযোগ হয়নি। কারণ, চুক্তি হওয়ার পরই শুটিংয়ে যেতে হয়েছে। নাচ কিংবা অভিনয়ের কোনো অনুশীলন করার সুযোগ হয়নি। ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতার দিনগুলোয় যে গ্রুমিং হয়েছিল, সেই অভিজ্ঞতা এখানে কিছুটা কাজে লেগেছে। তবে প্রথম ছবি করার পর বড় পর্দায় আগ্রহ বেড়েছে। এখন নিজেকে প্রস্তুত করব।
নতুন কোনো ছবিতে কাজের প্রস্তাব পেয়েছেন?
‘বয়ফ্রেন্ড’ ছবিটি শেষ করার পর তিন-চারটি নতুন ছবিতে কাজের প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু চূড়ান্ত করিনি। কারণ দর্শক ‘বয়ফ্রেন্ড’ ছবি দেখে কেমন প্রতিক্রিয়া দেন, তা জানার পর নতুন কাজ হাতে নেব।
আপনার সঙ্গে যে ‘লাক্স তারকা’রা বের হয়েছেন, তাঁদের অনেকই ছোট পর্দায় ব্যস্ত। আপনাকে কিন্তু সেভাবে দেখা যায় না।
আমার আদি বাড়ি কলকাতা। বছরের তিন-চার মাস ওখানেই থাকা হয়। ফলে, নিয়মিত কাজের প্রস্তাব থাকলেও করা হয় না। যখন এখানে থাকি, তখন কাজ করি।
আপনি বললেন বড় পর্দায় কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তাহলে ছোট পর্দায় কাজ করবেন না?
‘বয়ফ্রেন্ড’ ছবির শুটিং শুরুর আগে থেকে শেষ হওয়া পর্যন্ত ছোট পর্দায় কোনো কাজ করিনি। করার ইচ্ছা হয়নি। কারণ, বড় পর্দার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে চেয়েছি। কিন্তু এখন সিনেমার অবস্থা তেমন ভালো না, তাই কিছু ওয়েব ফিল্ম করার ইচ্ছা আছে। এর মধ্যে সাফি উদ্দিন সাফি ও অপূর্ব রানার যৌথ পরিচালনায় ‘সিনেমাটিক’ নামে একটি ওয়েব ফিল্মে কাজ করেছি।
‘বয়ফ্রেন্ড’ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে তাসকিনের সঙ্গে নাকি আপনার প্রেম হয়েছে?
এটি সত্যি না। কাজটি করতে গিয়ে দুজন মধ্যে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। নায়ক-নায়িকার মধ্যে বোঝাপড়ার জায়গাটা ভালো না হলে কাজটা ভালো হয় না। সে ক্ষেত্রে শুটিংয়ের দিনগুলো থেকে দুজনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক, বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এটুকুই।
কিন্তু এর আগে ছোট পর্দার তারকা জোভানের সঙ্গেও আপনার প্রেমের গল্প শোনা গেছে।
প্রেম নয়, আমরা দুজন দুজনকে পছন্দ করতাম।