প্রকাশিত হয়েছে সংগীতশিল্পী মেহরাব–এর নতুন গান ‘পৃথিবীর মায়া’। স্টেজ শো নিয়েও ব্যস্ত তিনি, চলছে আরও কয়েকটি নতুন গানের পরিকল্পনা। কথা হলো তাঁর সঙ্গে।
‘পৃথিবীর মায়া’ গান থেকে সাড়া কেমন?
প্রশংসা পাচ্ছি। সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন ভাই ফোন করে গায়কি ও কম্পোজিশন নিয়ে তাঁর ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন। গানের ভিডিওর গল্পটাও তিনি পছন্দ করেছেন। এই গানের ভিডিওতে একজন মানুষ মারা গেলে তার আপনজনের যে অনুভূতি হয়, সেটা তুলে ধরেছি।
এই গান থেকে উৎসাহ নতুন গান তৈরিতে কতটা অনুপ্রাণিত করছে?
অনেক। ইতিবাচক সাড়া আমার সামনের কাজের ক্ষেত্রে উৎসাহ বাড়াচ্ছে। আমার ও আমার স্ত্রীর দুবার করোনা হয়েছিল, এরপর তো মানসিকভাবে ডিপ্রেসড ছিলাম। গান প্রকাশের পর মানুষের পজিটিভ কমেন্ট খুব হেল্প করছে।
নতুন গান তৈরি আছে নাকি করবেন?
তিনটি গানের রেকর্ডিং শেষ। আরও কয়েকটির পরিকল্পনা চলছে। এসব গান আমার নিজের ও অন্যান্য কোম্পানির ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হবে।
সমসাময়িকদের তুলনায় আপনার গানের সংখ্যা কম কেন?
আমাকে সবাই বলে, আপনার মৌলিক গানের সংখ্যা কম। এর কারণ হিসেবে আমি বলি, টেলিভিশনের লাইভ শোর এক্সাইটমেন্টে আমার স্টুডিও ওয়ার্ক কম হয়েছে। এখন এই এক্সাইমেন্ট কমেছে। বিশেষভাবে আমি ধন্যবাদ দেব আমার স্ত্রী রুশি চৌধুরীকে। বিয়ের পর জোর করে সে আমাকে স্টুডিওমুখী করেছে। তাই বিয়ের পর আমার অনেকগুলো মৌলিক গান প্রকাশিত হয়েছে।
বিয়েটা তাহলে আরও আগে করলে ভালো হতো?
(হাসি) তা–ই তো মনে হয়। আমাদের প্রেমের বয়স প্রায় আট বছর। মনে হচ্ছে, প্রেমটা কমিয়ে বিয়েটা আরও আগে করলে ভালো হতো। সত্যিই রুশির জোরাজুরিতে মৌলিক গান বেড়েছে। সে আমার জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা। আমি আবার গানের সাউন্ড, মিউজিক নিয়ে বেশ খুঁতখুঁতে ছিলাম। এসবেও সে আমাকে ইজি করেছে। স্টুডিওতে গান রেকর্ডিং শেষে সে আমার পাশে বসে শোনে, মতামত দেয়।
শিল্পীর শিল্পচর্চা এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সঙ্গী কতটা সহায়ক?
শিল্পীর শিল্পচর্চার ক্ষেত্রে ঘরের সাপোর্ট সবচেয়ে জরুরি। একজন শিল্পীর স্বামী বা স্ত্রী বা পরিবার যদি শিল্পীকে না বোঝে, সাপোর্ট না করে, তাহলে ওই শিল্পী কোনো দিনই নিজেকে বিকশিত করতে পারেন না।
স্টেজ শোর ব্যস্ততা কেমন?
করোনার কারণে স্টেজ শো কী, সেটা আমরা ভুলেই গিয়েছিলাম। এবার বেশ ভালো লাগছে, স্টেজে উঠলে, শ্রোতাদের সামনে গাওয়ার সময় অনেকটা স্বপ্নময় লাগে।
সংগীত নিয়ে আপনার স্বপ্ন কী?
সারা জীবন গান করে যেতে চাই। বাংলা গান নিয়ে পৃথিবী ভ্রমণ করতে চাই।