পরিচালক টাকার চিন্তা করলে ছবি বানাবেন কখন

এ রকম সম্মাননা প্রথম পেলাম। আর এ তো জীবনে একবারই পাওয়া যায়। এই সম্মাননার অনুভূতি ঠিক মুহূর্তে মুহূর্তে যেমন আকাশের রং বদলায়, তেমন। আমি সত্যিই অনেক খুশি।

আমার দেশের চলচ্চিত্র এখন কোমায় আছে। তবে আমি আশাহত হচ্ছি না। আমরা সিনেমা বানাচ্ছি ডিজিটাল, কিন্তু প্রেক্ষাগৃহ ডিজিটাল করছি না!

বিদেশি ছবি দেশে আগেও মুক্তি পেয়েছে। দেশের মানুষ বরাবরই দেশের সিনেমাকেই গুরুত্ব দেয়। এটা নিয়ে আমি মোটেও চিন্তিত নই।

অস্কারেও লবিংয়ের খবর শুনি। একই অভিযোগ শোনা যায় পৃথিবীর নানা পুরস্কারের ক্ষেত্রেও। আমাদের দেশে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ক্ষেত্রে কিছু লবিং হয়েছে চোখে পড়ার মতো। তাই এমনটা ভাবা খুবই স্বাভাবিক। কারণ, একটা শ্রেণি সব সময়ই থাকে, মৌমাছির মতো কীভাবে মধু নেওয়া যায়।

অনুদানে যে পরিমাণ টাকা দেওয়া হয়, তা একটি ভালো ছবির জন্য অপ্রতুল। অনুদানের সিনেমার চিত্রনাট্য যাঁরা পড়েন বা দেখেন, চলচ্চিত্র নিয়ে তাঁদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আছে। যারা পায় বেশির ভাগই লবিংয়ের কারণে পায়। সরকারের ছয়–সাতটা ছবির অনুদানের টাকায় ছবি করা যাবে তিনটা। সরকারের উচিত ভালো পরিচালকদের ডেকে সব রকম সুবিধা ও আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে ছবি বানাতে বলা। পরিচালক টাকার চিন্তা করলে ছবি বানাবেন কখন।

ভালো ছবি বানাতে হবে, দেশের সব প্রেক্ষাগৃহ ডিজিটাল করতে হবে। একজন মানুষের পুরো শরীরের একটা অঙ্গহানি হলে তাকে কেউ সুন্দর মানুষ বলবে না। চলচ্চিত্রও একটা শারীরিক কাঠামোর মতো। সব সেক্টরে ভালো না করা গেলে চলচ্চিত্রের ঐতিহ্য ফিরবে না।