আজ দুরন্ত টিভিতে রাত সাড়ে আটটায় প্রচারিত হবে ধারাবাহিক নাটক ব তে বন্ধু’র হুটোপুটির ১০০তম পর্ব। ধারাবাহিকটি রচনা করেছেন মাতিয়া বানু এবং পরিচালনা করেছেন যুবরাজ খান। এতে অভিনয় করেছেন জিনাত শানু স্বাগতা। নাটকটি নিয়ে কথা হলো স্বাগতার সঙ্গে।
‘ব তে বন্ধু’র হুটোপুটি’তে আপনি ‘বকুল খালামণি’। বাচ্চাদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন?
খুবই ভালো। আসলে ব তে বন্ধু’র হুটোপুটির যে চরিত্র, সেটা নাট্যকার মাতিয়া বানু শুকুর বাচ্চাদের সঙ্গে কাটানো জীবনেরই চরিত্র। তাঁর তিন সন্তান। তাদের সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক। আসলে তাদের জীবনে আমি নতুন নতুন জিনিস যুক্ত করতাম। হয়তো নতুন সফটওয়্যার নিয়ে যেতাম তাদের জন্য, অথবা বই, আবার কখনো দারুণ কোনো খেলনা। মোটকথা, তাদের সঙ্গে আমার বন্ধুর মতো সম্পর্ক। ব্যক্তিজীবনে বাচ্চাদের সঙ্গে আমার যে সম্পর্ক, সেটাই নাটকে তুলে ধরা হয়েছে।
বাচ্চাদের সঙ্গে শুটিং করতে কেমন লাগে?
আমি বাচ্চাদের সঙ্গে বরাবরই মিশতে পারি। কারণ, আমাদের বাসায় একটি গানের স্কুল আছে। সেখানে অনেক বাচ্চাই গান শিখতে আসে। সেখানে গান শিখতে আসা বাচ্চারা আমার সঙ্গে মিশে বেশ মজা পায়।
এ সময় কী নিয়ে ব্যস্ততা আপনার?
ধারাবাহিক নাটক করছি। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি একক নাটক করলাম। আমাদের পুরোনো একটি নাটকের দল আছে। আনন্দম নাট্যম। এটা আমার বাবার হাতে গড়া। সেটা থেকে বাচ্চাদের একটি নাটক নির্দেশনা দিলাম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের খ্যাতির বিড়ম্বনা নাটকটি একদম প্রস্তুত। নির্বাচনের পরপরই মঞ্চে আসব এই নাটক নিয়ে।
দেশের বাইরে নাকি যাচ্ছেন?
হ্যাঁ, ইন্দোনেশিয়ায় যাচ্ছি। সেখানে বেশ কয়েকটি নাটকের শুটিং হবে। এগুলো পরিচালনা করবেন সকাল আহমেদ।
শেষ তিন প্রশ্ন
কার গান ভালো লাগে? ভাই সন্ধি, নাকি বোন সভ্যতা?
সভ্যতার গান ভালো লাগে। ও তো গানটাই নিয়মিত গায়।
স্বামী রাশেদ জামান আপনাকে কী নামে ডাকেন?
স্বাগতাই বলে। তবে ওর ধারণা, আমি সব বিষয়ে জ্ঞান রাখি। এ কারণে মাঝেমধ্যে গুগলি বলে ডাকে। গুগলের নারী সংস্করণ!
আপনার অভিনয় নিয়ে শোনা বাজে মন্তব্য কোনটি?
একজন বলেছিলেন, আমি নাকি হাসির নাটক ভালো করি। সিরিয়াস অভিনয়ে ভালো না।
সাক্ষাৎকার: হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক, ঢাকা