সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জিতলেন, অনুভূতি কেমন?
দুবার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী হয়েছি। এবার সাধারণ সম্পাদক। তবে আমি এখন নিজেকে নির্বাচিত ভাবছি, জয়ী নয়। আমার দায়িত্ব তিন বছরের। আমার দায়িত্বে থাকা সময়ের মধ্যে কথা দেওয়া কাজগুলো যদি শেষ করতে পারি, তাহলে আমি নিজেকে জয়ী ভাবব।
আপনি কী কী কাজ করতে চান?
সংগঠনের জন্য ভালো একটি ফান্ড তৈরি করতে চাই। চিকিৎসাসহ অন্যান্য প্রয়োজনে যেন সহকর্মীদের পাশে থাকতে পারি। অবসর ভাতা দিতে চাই। অভিনয়ের কর্মশালা করার জন্য স্কুল দেওয়ার ইচ্ছা আছে, সিনিয়রদের স্কিল আরও বেশি উন্নয়নের জন্য নিয়মিত কর্মশালার আয়োজন করব। শিল্পীদের আন্তর্জাতিক মানের ওয়েবসাইট তৈরি করা, সেখানে প্রতিটি শিল্পীর পোর্টফোলিও থাকবে। বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ দেশের শিল্পী কারা জানতে পারবেন। এ ছাড়া শুটিংয়ে কর্মপরিবেশের মান উন্নয়ন করা, আমাদের নিজস্ব একটি কার্যালয়সহ একাধিক পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।
জেতার ব্যাপারে কতটা আস্থা ছিল? এখন কী চ্যালেঞ্জ সামনে রয়েছে?
অনেকটাই ছিল। আমি সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করার জন্য ১৫০–এর বেশি সিনিয়র ও তরুণ অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের পরামর্শ নিয়েছি। সহকর্মীরাই আমার শক্তি। আর চ্যালেঞ্জের কথা যদি বলি, গত ৫০ বছরে যা হয়নি, সেটাই আমরা করব। বাস্তবায়ন করাটাই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছি।
অভিনয়শিল্পীরা ব্যস্ত থাকেন, সময় দিতে পারেন না, এমন অভিযোগ থাকে...
আমি বিশ্বাস করি, এবার যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁরা সবাই সময় দেবেন। আমার সঙ্গে এমনও হয়েছে, শুটিংয়ে কুয়াকাটা রয়েছি। সেখানেই একটি দোকানে সারা রাত কম্পিউটারে কাজ করেছি সংগঠনের জন্য। আমি দায়িত্বপালন সম্পর্কে সব সময় সচেতন।
অভিনয়শিল্পীরা অনেকেই মনে করছেন, এবার নির্বাচিত কমিটি জুনিয়র হয়ে গেছে, এটাকে কীভাবে দেখছেন?
আমাদের সভাপতির চেয়ে কানাডার প্রেসিডেন্টের বয়স কম। তিনি কি দায়িত্ব পালন করছেন না? তাঁর অনেক জনপ্রিয়তা। দায়িত্বপালনে বয়স কোনো ব্যাপার নয়। আমাদের এক যুগের বেশি সময়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তা ছাড়া ১৯৯৮ সালে যখন অভিনয়শিল্পী সংঘ তৈরি করা হয়, তখন উদ্যোগ গ্রহণ যাঁরা করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন তৌকির আহমেদ, জাহিদ হাসানের মতো অভিনেতারা। সেই সময় তাঁরা তরুণ ছিলেন। তাঁদের বয়স ৩০/৩৫ বছর ছিল। নেতৃত্বের জন্য বয়স কোনো ব্যাপার নয়।
এবারের নির্বাচন যে কারণে আলাদা?
আবুল হায়াত, দিলারা জামান, শর্মিলী আহমেদ, আসাদুজ্জামান নূর ভাইসহ গুণী সব অভিনেতা ভোট দিতে এসেছিলেন। তাঁরা আমাদের ওপর ভরসা করেছেন, এটাই অনেক বড় প্রাপ্তি। আমাদের সব সদস্য, টেলিভিশনের সব সংগঠনকে নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই।